ক.
পথ ক্রমশ দীর্ঘ হয় পথিকের পায়ে
সকালে আধুলি ভাঙ্গিয়েছে কিছু
ঋণ বাড়ে ধীরে; ক্ষান্ত বিকেল আসে বিবেকের কাছে
ক্যাকটাস কাঁটায় জলাধারের গল্প!
খ.
গোপন আছ, গোপনে থাকবে
গোপনে চলে যাবে
এই শীত বসন্ত কেউ কিছু টের পাবে না
অবাধ্য বন্যা কেবল জানে তোমার কথা
বাঁধ দেয়া হয়ে গেছে
সামনের বর্ষায় তোমার এলোপাথারি ঢেউয়ে
বাঁধ ছোঁবে, তবুও পাবে না দেখা মনুষ্যবসতির
গোপন আছ, গোপনে চলে যাও।
গ.
বিরতির দীর্ঘশ্বাস ক্রমশ বাড়ছে
এইসব দুইশত চল্লিশ মিনিট হয়তো কিছুইনা
অংকের হিসাবে কয়েক মুহূর্তমাত্র
ব্রীড়াবতীর ঘোমটা ক্রমশ বাড়ছে
নেকাবের আড়ালে চলে যাচ্ছে সব
মৌন মুখর সন্ধ্যা অথবা ক্যান্ডেললাইট ডিনার!
ঘ.
ঘুমগন্ধ নামে হৃদয়ের ক্ষতে,
পোড়া চোখ সমূদ্র খোঁজে,
বালিয়ারি ছেড়ে উড়ে যায়
পারিজাত ফুল ও পাখি!
ঙ.
পেছনে অনেক ঝক্কি, সামনে কী?
ইথারের যন্ত্রে লেগেছে হাওয়া;
লেগেছে ঘূণপোকার দাঁত, করাত
কলে কাটছে সময়, স্পর্শ নিষিদ্ধ তাই
অচলাবস্থা সম্পর্কে। রাতঘুমে স্বপ্নসারথী
আসে নিয়ে যমদূতের নাম!
একলব্যের তুমুল নিশানা বুকে বিঁধে থাকে,
সকাল হয় না, সকাল আসে না!
চ.
এ্যাসট্রেতে জমতে থাকে ভাবনা, ক্রমাগত ভেবে চলে এবং ভাবনার দঙ্গলে চাপা পড়ে যায় প্রয়োজনীয় শব্দের যথাযথ ব্যবহার, অনুচ্চারিত থেকে যায় কবিতার পংক্তিমালা!
ছ.
অনুকরণীয় সময়; সাত পাঁকে বাঁধা জীবন,
সকালে ঘুম অচল, বিকেলে গাড়ির চাকা সচল
মিথ্যা মণিহার তবুও কাটেনা ঘোর!
জ.
প্রিয় অসুখ, কোন নিষিদ্ধ ঘুমে ঘুমালে!
আমার সকাল থেকে রাত অমানিশার কুয়াশায় ঢেকে!
ঝ.
সন্ন্যাসে গিয়েছে শব্দ, পাখি গেছে উড়ে
কবিতার খাতায় পড়ে রয় পালক এবং তার ইতিবৃত্ত!
ঞ.
সে ভাবে, সে আমাকে নাচায়
আমি ভাবি তাকে
আসলে নাচের মূদ্রা স্থির হয়ে
আছে নাটমন্দীরের চূড়ায়!
নাচ ঘরে তাই শুন্যতা
আমি তুমি ও সে --
একে নাচাই ওকে নাচাই
বিরামহীন আমাদের নাচ
তবুও নাচঘরে বিষাদঘড়ির
কাটা নাচে একাএকা!
ট.
শব্দদের একাকীত্ব পেয়ে বসে আমাকে
যেন সহস্রাব্দ জুরে শব হয়ে আছে
নির্ঘুম রাতের তারারা!
ঠ.
ঘুমেশ্বর, ঘুমদেবী বেছে নিয়েছেন মরণের পথ!
ক্ষ.
যুক্ত হও হে বিষাদ!
ক+ষ যেভাবে যুক্ত হয়ে
হয়েছে এক; হয়েছে ''ক্ষমার'' পূর্বাক্ষর
তেমনি বিষাদ মিলে যাও সুখের সাথে
জীবন হয়ে ওঠো!
কমেন্টকৃত