আমি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি পৃথিবীর একেবারে শেষ প্রান্তে।
আর এক পা বাড়ালেই মহাশূণ্যে বিলীন হব।
ভাবতে অবাক লাগছে,
একটু পর সমস্ত চঞ্চলতা মৌণতায় বিলীন হবে
থেমে যাবে সব প্রকৃতির বাধ্যগত ছাত্রটির মত।
অথচ কত স্বপ্ন উড়ছে এখনো এলোমেলো মেঘে!
যে পায়ের তলে লাখ খানেক বেলী ফুল মাড়িয়ে এসেছি
সেই পা'কে ছুঁয়ে দেবে শেষ কয়েকটা গোলাপ আজ।
আবেগ, স্তব্ধতা, রঙ নির্বিশেষে যা যা উড়েছিল,
ওরা ফিরে আসতে চাইছে নীড়ে। খুব নীরবে।
অথচ আমি একটু একটু করে ইট সিমেন্টের দালানের মত ভেঙ্গে পড়ছি।
আমার চোখ জুড়ে খেলা করে সেই জন্মলগ্ন হতে তৈরী কত ছবি!
ফেলে আসা গানগুলো নির্মম খুনির মত সাদাকালো রঙ ছড়ায়।
পা বাড়ালেই সব মিলিয়ে যাবে কালের অতলে।
এক পা বাড়ালেই আমি নিজেকে খুঁজে পাব।
আমার অস্তিত্ব থাকবেনা রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে,
বেডরুমের জ্বলন্ত মশার কয়েলে, স্কেচ প্যাডে, এলোমেলো বই,
অস্থির মুহূর্ত, খুব রাত জাগা গানে, খিলখিল হাঁসি অথবা কান্নায়।
হয়ত কখনো ডাইনিং টেবিলে স্মৃতিচারণ হবে,
কখনো গাড়ির ব্যাক সীটে,
ক্লাসরুমে খুব একা উস্কোখুস্কো চুলে বসে থাকা ছেলেটার গল্পে।
কোন বইয়ের পাতায়, কারো রঙ তুলির আঁচড়ে আমি ফুটে উঠবো বারবার।
আমি ফিরে আসব বহুবার ছন্নছাড়া যুবকের চোখের কোণে।
নোনা জল হয়ে একসময় হারানো মানুষদের ভীড়ে নাম লেখাব।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩