প্রথম প্রকাশ পায় ইংরেজী ভার্সন আড্ডায় (এপ্রিল 1, 2005) কলেজ জীবণ শেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ শুরূ করেছি। মনের মাঝে জমে থাকা রোমান্টিক ভাবনা বসে আছে সুযোগের অপোয়। বাসার সবার নজরের বাইরে স্বাধীন জীবণের প্রথম স্বাদ। বন্ধুদের সাথে অফুরন্ত আড্ডা। মনে মনে বলি, আহা, আহা কি আনন্দ!! একসাথে "শেষের কবিতা" পড়ি আবার ক্যাসেটেও শুনি। অমিতের মতো রোমান্টিকতা ও আধুনিকতার ঝলকে মন বড়ই কাতর। শুধু অপেক্ষা লাবণ্যের আগমনের। কাশে আমার উপস্থাপনায় আর নবীন বরণে আমার শাণিত বক্তব্যে শিক্ষকদের, সাথী বন্ধু ও বান্ধবীদের সুনজরেই আছি। লাইব্রেরীতে বসে বই পড়ি, লাইব্রেরীর স্টাফ মামা আর ভাইদের সাথে গত ক'মাসে ভালই সম্পর্ক হয়ে গেছে। প্রথম প্রেমের নাটকীয় ঘটনাটা ঘটল তখনই।
মাস্টার্সের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল আমার লাইব্রেরীর স্টাফ ভাইটি। সিনিয়র সেই ভাইটি শুধু ডিপার্টমেন্টে না, পুরো ফ্যাকাল্টীতে প্রথম হয়েছেন। তার সাথে পরিচিত হয়ে নিজেকে বড়ই ধন্য মনে করছি। এমনি সময়ে তিনি বলে উঠলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল করতে হলে প্রেম করতে হবে"। কথা শুনে তো আমার চক্ষু চড়ক গাছে। ব্যাটা বলে কী? আড় চোখে বড় ভাইটির টেবিলের দিকে তাকিয়ে খুঁিজ সুন্দরী আপাকে। শূণ্য চেয়ার। টেবিলে মোাটা মোটা বইয়ের সতুপ। আমার হতবাক বোকা চেহারার দিকে তাকিয়ে তিনি শেষ করলেন এই বলে, "প্রেম করতে হবে হয় মেয়ের সাথে, নয় বইয়ের সাথে। যেটা ইচ্ছে বেছে নাও"।
সেই তখন থেকে আমি বেছে নিয়েছি আমার প্রথম ভাল লাগাকে। সামনে তাকিয়ে দেখি, সারি সারি সাজানো বই। অসংখ্য বইয়ের মাঝে খুজেঁ পাই আমার ভাল লাগাকে। আমার চারপাশে অসংখ্য বই। বই হয়েছে আমার নিত্য সঙ্গী। বই আমার শক্তি, আমার প্রেরণা। "বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না"। কিন্তু বই আর বই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমরা মন-মানসিকতায় দেউলিয়া হয়ে গেছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০