সংগঠন এর জন্য লোগো তৈরি করে দিয়েছেন প্রিয় মামুন রশিদ ভাই।
সাধারণত আমি কবিতা লিখি না ( কারণ কবিতা লিখতে পারি না )। কবিতা না লেখার পেছনে মূল কারণ অগ্রজদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। কারণ আমি কবিতা লিখলে রবি বাবু, জীবন বাবুদের চেয়ে আমার নামটাই বেশি উচ্চারিত হবে। যা আমি আসলে কখনোই চাই নি। আমি চাই নি কবি হিসাবে আমার নামটা তাদের আগে উচ্চারিত হোক। তারপরও মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে করে। অনেকগুলো কবিতা লিখেছি কিন্তু কখনো প্রকাশ করি নি। কিন্তু গত রাতে লেখা এই কবিতাটি প্রকাশ না করে পারলাম না। সম্মানিত পাঠক কবিতাটা সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাকে আরও ভালো কিছু লেখার জন্য উৎসাহিত করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।
সোনার তরী
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা--
এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা-পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙে দু-ধারে--
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে,
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।
যত চাও তত লও তরণী-'পরে।
আর আছে?-- আর নাই, দিয়েছি ভরে।
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে--
এখন আমারে লহ করুণা করে।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি--
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
আমাদের দেশের সাধারণ একটা বিষয় হচ্ছে, কোথাও পাঁচ জন লোক একত্রিত হলে অন্তত তিনটা দলে পরিণত হবে। আবার এই তিনটা দলের জন্য অন্তত চারটা সংগঠন দাড়িয়ে যাবে। কখনো কখনো মানুষের চেয়ে বেশি সংগঠন হয়ে যায়। আমাদের সামহোয়্যার ইন ব্লগও এর বাইরে নয়। অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে প্রকাশ্য এবং গোপন সিন্ডিকেট ছিল। ইদানিং অবশ্য তার কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ছিল সুবিধাবঞ্চিত। তাদের পক্ষ হয়ে কথা বলার মত লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি কখনো। কারণ তারা কখনোই ঐক্যবদ্ধ ছিল না। তাদের ছিল না কোন সিন্ডিকেট। এই সুবিধাবঞ্চিত ব্লগারদের জন্য আমরা শুরু করতে যাচ্ছি " কপি পেস্টিয়ান অর্গানাইজেশন " নামে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট।
এই বিশেষ সংগঠন এর সদস্য পদ পেলে আপনাকে আর কখনো একা লড়াই করতে হবে না। আপনার হয়ে এই সংগঠন লড়াই করবে অন্যান্য ব্লগারদের সাথে। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি হতে পারবেন স্টার ব্লগার। কারণ এই সংগঠনের সকল সদস্য বাধ্যতামূলক আপনার পোস্টে কমেন্ট করবেন। এই সংগঠনের সঙ্গে থাকলে আপনি নির্ভয়ে চুরি করা পোস্ট নিজের বলে চালাতে পারবেন।
এই সংগঠন শুধু মাত্র চুরি করা পোস্টের ব্যাপারেই সহায়তা করবেন না। এর পাশাপাশি লিংক সর্বস্ব পোস্ট, ফেসবুক স্ট্যাটাস এর মত পোস্ট, এক লাইনের পোস্ট সহ আরও অন্যান্য পোস্টের ব্যাপারেও সহায়তা করবেন।
" কপি পেস্টিয়ান অর্গানাইজেশন " এ সদস্য পদ প্রাপ্তির নিয়মাবলীঃ
১/ নিয়মিত অন্যের লেখা চুরি করে পোস্ট দিতে হবে। প্রতি পাঁচটি পোস্টের মধ্যে অন্তত তিনটি পোস্ট অন্যের লেখা হতে হবে।
২/ অন্যের লেখা পোস্ট দিয়ে অবশ্যই তা নিজের লেখা বলে প্রচার করতে হবে।
৩/ " কপি পেস্টিয়ান অর্গানাইজেশন " এর অন্যান্য সদস্যদের পোস্টে বাধ্যতামূলক কমেন্ট করতে হবে।
৪/ সিন্ডিকেট এর কোন সদস্যের পোস্টে চুরির অভিযোগ আসলে, সাথে সাথে তাকে ডিফেন্ড করার জন্য অন্যান্য ব্লগারদের সাথে ক্যাচাল করতে হবে।
৫/ সিন্ডিকেট এর কোন গোপন খবরাখবর বাইরের কারো কাছে প্রকাশ করা যাবে না।
৬/
৭/
৮/
কপি পেস্টিয়ান ভাই বোনেরা আসুন আমরা আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনের জন্য আরও কিছু নিয়মকানুন সংযুক্ত করি। এই ব্লগ দিবসের আগেই আমরা আমাদের সংগঠন টাকে দাঁর করানোর চেষ্টা করি। যাতে করে আমরা ব্লগ দিবসে আমাদের সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত থাকতে পারি।
" কপি পেস্টিয়ান অর্গানাইজেশন " এর সাফল্য কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪১