ধৈর্য আর শংকা কাধে নিয়ে আমি বাজারে চললাম,
এক মুঠো খাবারে যার উদর দরজা লাগিয়ে দেয়,
সেই সব মানুষের মিছিল দেখছি,
পেটে সয়না যা, কাঁধে সয় তা।
হাসতে গিয়েও কেমন যেন এক ফুটো পয়সার মতো
বিবেক আমার পকেটে চলে গেলো।
আমি সাহেবি কেতাদুরস্ত ঢঙে পকেটে হাত ঢুকিয়ে
ভবিষ্যৎ হাতড়াই। নাহ আপাত কিছু বাকি নেই,
আমার ঈশ্বর আমাকে নগর চিনিয়েছিলো
সেই থেকে আমি ফটক লাগিয়ে বসে আছি।
আমার মধ্যে ঈশ্বরের কৃপা জলের মতো,
ক্ষণে ক্ষণে আকার বদলে যায়, আমি তাকে চিনতে চাই।
আমার প্রার্থনা কর্মহীন বাতাসে অর্থহীন তর্কে
অতিপ্রাকৃত শক্তির ধ্যান করে।
যখন সে জেগে উঠে, দেখে সে মাটির আদলের পুতুল।
ঘুমিয়ে যাবার পর আমাকে আর কোন প্রশ্ন করা হয়নি,
আমি ইথারের পথে, কখন কিভাবে জানা নেই,
বাজারের লোকজন কমে গেছে, মজুদ বৈকাল্যে
বিকলাঙ্গ স্বপ্ন এখন ভিখারী বসনে আমাদের
ঘরের ভেতর পায়চারী করে।
নৈশব্দের অহংকারে সব কিছু এখন মৃত্তিকালগ্নে
আমাকে জাগিয়ে দেয়, আমি জাগিনা, চোখও মেলিনা
আত্মা কখনো জাগে না, সে ঘুম চেনেনা।
এক মহাকালের বিচরণে সে ব্যস্ত।
ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৫