বিষণ্ণতার বইখানা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে তুমি চললে তোমার পথে।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠার খুঁজে খুঁজে আমি ক্লান্ত, একটা সুখের কবিতা পেলাম না।
শেষ হাসির রেখাটুকু অস্তমান সূর্যের সাথে মিলিয়ে ডুব দিলে অতলে,
নদীর চৌকাঠে বসে এখন আমি বিবর্ণ পাটাতন দেখি-শুন্য দৃষ্টিতে।
আমার চোখে এখন কোন কষ্ট নেই,হারাবার ভয় নেই,
আছে শুধু অবলীলায় বয়ে চলা ছোট ছোট ঢেউ,
নদীর জল আর কচুরিপানার দল।
রাত আসে রাতের মতই, চেনা বৈশাখ আর চৈত্রের শুষ্কতা নিয়ে,
আমি বর্ষার অপেক্ষায় থাকি কবে ভিজবে আমার উঠোন,
আর আমি দেখব তোমাকে সেই রুপে, যার জন্য এত ব্যাকুলতা।
তবুও শেষ হয়েও কেন যেন শেষের সংজ্ঞায় আমার অশ্রুপাত-
জাগরণের ধারাপাত মুক্তিপায়না।
আমার ঘুমেরা এখন ঘুরে বেড়ায় উচ্ছল নৃত্যে মনপোড়া এই
শহরের আলিতে গলিতে। এখানে ফুলেরা ফোটে শুধু ঝরে পড়ার জন্য,
এখানে যৌবন রাস্তায় হাটে অকারণে নিঃশেষ হবার জন্য,
ভবঘুরে বখাটে প্রেমিক একখানা কবিতার বই খুলে পড়ে,
আর ভাবে আহা কবি,তুমি কতই না নষ্ট।
আমি এখন দ্বিধান্বিত ল্যামপোস্ট হয়ে যাই,
গ্রীষ্ম আমায় ছুয়ে যায়, বর্ষা আমার ছুয়ে যায়।
আমি নির্লিপ্ত, নিথর আধারের মত মগ্ন-ডাক বাক্সের পানে চেয়ে থাকি,
কবে আসবে পিয়ন আর তুলে নেবে আমার শেষ চিঠিখানা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬