অনেক দিন পর আবার মুখোমুখি আমরা দুজন , আমি কাকভেজা-
চুপসানো দৃষ্টিতে আর তোমার চোখ ঝাপসা বৃষ্টিতে।
আমাদের মাঝে দেয়াল কেবল জলের পর্দা, সেটা না সরিয়ে আমরা
আবার যে যার মত, আপন পৃথিবীর পথে।
তথাপি, হেঁটে যাওয়া বাতাসের স্পর্শে কিছুটা অনুভূতি গায়ে মেখে
আবার আমার জুতোর ক্ষয়-আমি এ ক্ষয় থামাতে পারিনা, আমাকে যে পথ চলতে হয়।
তোমার বাড়ির সামনে থেকেই এ পদযাত্রা।
তোমাকে দেখার আশায় ক্ষয় হয়,
তোমাকে পাবার আশায় ক্ষয় হয়,
তোমার বিরহে ক্ষয় হয়।
তুমি আসলে, কেবলই আসা-হাজারো দীর্ঘশ্বাস পোড়ানোর পর,
কিছু কথা বললে, কেবলই কথোপকথন-অজস্র স্বপ্ন মোচড়ানোর পর,
তারপর আমি নির্বাক অবাক কাকতাড়ুয়া বনে গেলাম আর তুমি পাখিটা উড়ে গেলে।
কেমন একটা ব্যাপার
দেখা হল, কথা হল তারপর বাতাসে হাত নাড়ানো, শেষ!!
একটা মাত্র লাইনে এই সময়টা বাধানো হয়ে গেল।
অতচ এর মাঝেই রচিত হয় কত কবিতা, কত গল্প আর উপন্যাস, কত সময়,
মাস,বছর কারো বা পুরো জীবনটাই।
কত জন বনে যায় কবি, কেউ বা ভাবুক,
আর কেউ হা-হুতাসের নৌকা বোঝাই করে পাড়ি জমায়,
বৈঠা টা ও নিতে ভুলে যায়।
কারো আবার স্মৃতির সাথে মহাবিরোধ, সে পেছন ফেরে না,
পুরনো মেঘে সে নতুন বৃষ্টির জল ছোয়ায়,
চেনা পৃথিবীর চেনা গলিতে নতুন সুরের ধারা টানে।
অনেক গুলো ঘড়ির সময় আর ব্যাটারি ফুরিয়ে গিয়েছে,
মনের ঘরে অনেক বিজ্ঞাপন জমে আছে,
চোখের তারায় পলকে পলকে আমি তা দেখি
আর ভাবি আহা জীবন - কত সুন্দর।
চোঙ্গায় ফু দিয়ে উনুন ধরাই, আর হাড়িতে চাপাই সব অপূর্ণতা।
উত্তাপের শুদ্ধতায় উচ্ছলতার ধোয়া,
আমি বুক ভরে শ্বাস নেই,
আর ভাবি আহা জীবন- কত প্রশান্তির।
কত কিছু বদলে গেল অথচ সময়
সেই একটা থেকে বারোটা।
কত কিছু বদলে গেল কিন্তু জুতো সে পায়ের তলাতেই রয়ে গেল।
বেশভূষা বদলে গেল-আকার আকৃতি ও বদলে গেল,
কিন্তু মনের চাওয়া,মনের দৃষ্টি আর আদিমতা
কতটা বদলেছে? তবুও আমাদের চলতে হয়,
জীবনের সাথে আবেগের সখ্যতা বদলে দেবার নয়।
এসো তবে আমরা হাঁটি যে যার মত-অঝোর বৃষ্টিতে,
একটা ছাতা হবে, আমি বৃষ্টি ভেজা আকাশ দেখব ।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ফারিহা নোভা
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫