বিষয়টা ভারতের,,,, কিন্তু ভয়টা বেশি বাংলাদেশের।
অবশেষে সংখ্যাটা ৪০ লাখ ও নয়, ৫০ লাখ ও নয়। ঠেকেছে ১৯ লাখ। সেটাও কিন্তু কম নয়। বলছিলাম আসামে চুড়ান্ত 'এনআরসি' (ন্যাশনাল রেজিষ্টার অব সিটিজেন্স) বা নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের কথা। বেশ কয়েক বছর যাবত আলোচিত এ ইস্যুটিতে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার হতভাগা। কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয় যে, সে তালিকায় মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাত কত। কারণ শেষ পর্যন্ত ঝড়টা যাবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর দিয়েই। অনুপাতটা যদি ৫০% ও হয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভয়ের কারণ খুব কমই থাকবে। কারণ লোকসভায় এই বছরের জানুয়ারিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল পাস হয়েছে। এটা এখন রাজ্যসভায় অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমান। পাস হয়ে গেলেই হিন্দুদের জন্য কেল্লাফতে অবস্থা হয়ে যাবে। তখন অন্যান্য দেশ থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দুরা নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। যদিও এনআরসি'র ভাষ্যমতে বঞ্চিতরা পর্যায়ক্রমে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু সেখানে ক’জনই বা ঠিকবে? ৯/১০ লাখ মুসলিমের মধ্যে হয়তোবা ১/১.৫ লাখ মানুষ! কিন্তু বাকিদের অবস্থা কি হবে নাগরিকত্ব প্রমান না করতে পারলে? তাদেরকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মত বের করে দেওয়া হবে না তো আই মিন বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হবে না তো!
কারণ, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারায় ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গাদেরও একইভাবে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আর শেষফল হিসেবে আমরা দেখতেই পাচ্ছি বিতারিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আবাস গড়েছে। আসামেও ভারত সরকারের সেই প্রস্তুতি চলছে না তো! আরেকটা রোহিঙ্গা পরিস্থিতির জন্য কি বাংলাদেশ প্রস্তুত?
যদিও জয়শঙ্কর বলে গেছেন এটা ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। তারপরও কিন্তু আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৪