somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন প্রিয়া সাহা'র অভিযোগ ও তার বাস্তবতা!!!!!

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা 162,951,560 জন
মুসলমান জনসংখ্যা 146,656,404 জন
বাদবাকি 16,295,156 জনের ভিতর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই অন্তর্ভূক্ত।
(তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়ার বর্তমান তথ্য) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ (৩৭ মিলিয়ন) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছেন। কিন্তু দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ১৫৬ জন (১৬ মিলিয়ন) সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রয়েছে। একটা বিষয় মাথায় ধরে না যে, তাহলে বাকি মানুষগুলো কোথায় গেল? তার বর্ণনা অনুযায়ী ৩৭ মিলিয়ন গুম, যেখানে সংখ্যালগু মানুষের সংখ্যাই ১৬ মিলিয়ন!!! তার ভাষ্য অনুযায়ীই বলছি, বাকী ২১ মিলিয়ন মানুষ কোত্থেকে এসেছে বা গিয়েছে! মিথ্যা অভিযোগেরও একটা লিমিট থাকা উচিৎ ছিল। মাংকিদের (বার্মা) দেশ থেকে ১ মিলিয়ন মানুষ তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা পুরো পৃথিবীর সবাই জানল। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ১ না, ২ না,,,, গুনে গুনে ৩৭ মিলিয়ন মানুষ বাংলাদেশ থেকে গায়েব সেটা পৃথিবীর কেউ জানলো না। জানলো শুধু প্রিয়া সাহা'রা!!!!
"প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তখন তাঁর কাছে জানতে চান, কারা এসব করেছে। প্রিয়া সাহা বলেন, উগ্রপন্থী মুসলমানরা এটা করেছে। সব সময় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় তারা এটা করে থাকে।" এটাও নতুন কোনো ষড়যন্ত্র নয় তো! আমি ইন্টারনেটের কোথাও ঘেটেও এই তথ্য খোঁজে পাই নি যে, বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।বরং আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাই,,,, বাংলাদেশে সংখ্যালগুদের পদায়ণই বেশি হয়। ১০% (-+) সংখ্যালগুরা ২৫ % চাকরির জায়গা দখল করে আছে।
★★★বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে আছেন একজন সংখ্যালগু ?
তার নাম শুভঙ্কর সাহা।

★★★ বাংলাদেশ বেতার মহাপরিচালক!
তিনিও একজন হিন্দু,  নারায়ণ চন্দ্র শীল।

★★★ পর্যটন করপোরেশনে খোঁজ নিয়ে দেখবেন,সেখানকার চেয়ারম্যান সংখ্যালগু অপরূপ চৌধুরী।

★★★ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে যাবেন,
তারও চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী

★★★ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে যাবেন, তার পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়।

★★★ পাবলিক লাইব্রেরী যেয়ে দেখবেন সেখানেও উচ্চ পদস্থ একজন হিন্দু।
তার মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার।

★★★ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (ডিপিডিসি) যাবেন, সেখানেও চেয়ারম্যান তাপস কুমার,

★★★ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায়, একজন হিন্দু।

★★★ পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসাবে অধিষ্ঠিত একজন নারায়ন চন্দ্র সাহা।

★★★ প্রেস কাউন্সিলের প্রধান শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ।যিনি সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের।

★★★ বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অফিসে প্রধান হিসাবে আছে
রাম চন্দ্র দাস,
সহকারী কমিশনার জয়দেব চক্রবর্তী।

★★★ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসে যাবেন?
সেখানেও আছে শ্যাম কিশুর রায়।

★★★ সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মৃণাল কান্তি দেব।
সহকারী কমিশনার অফিসে আছে বর্ণালী পাল।

★★★ খুলনা বিভাগীয়  অতিরিক্ত কমিশনার
নিশ্চিন্ত কোমার পোদ্দার।

★★★ ঢাকা বিভাগীয় সহকারী সিনিয়র অফিসে আছে সংখ্যালগু শুক্লা সরকার।

★★★ ময়মনসিংহে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ।

★★★ এবার দেখুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের
অতিরিক্ত সচিব ড.অরুণা বিশ্বাস।
পরিদর্শন বিভাগের অধিকাংশই হিন্দু, নাম বলে শেষ করা যাবে না।

★★★ কিছুদিন আগে দেশের প্রধান বিচারপতিও ছিল সংখ্যালগু।

সর্বত্রই এখন হিন্দুদের দাপট। বেছে বেছে সব উপরের পদগুলোতে বসানো হয়েছে হিন্দুদের। মুসলমানদেরকে করা হয়েছে হিন্দুদের অধিনস্ত। হিন্দু বস যা বলে, ‍অধিনস্ত মুসলিমদের তাই মুখ বুজে মেনে নিতে হয়। তবে শুধু বস হিসেবে নয়, হিন্দু হওয়ার কারণে তাদের থাকে আলাদা দাপট, বিষয়টা এমন- তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধেও কিছু বলা যায় না। হিন্দুদের দ্বারা মুসলিম কর্মকর্তারা এখন পুরোপুরি কোনঠাসা এবং নির্যাতিত। সবাই বুঝতেছে, কিন্তু কিছুই যেন করার নেই।

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সাপ্তাহিকী ‘ঠিকানা’ ৩ জানুয়ারি (২০১৪) সংখ্যায় এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ‘এক নজরে বাংলাদেশের সচিবালয় : হারিয়ে যাচ্ছে ইসলাম-মোহাম্মদরা, বাড়ছে রায়-বাবুদের আধিপত্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সূচনাতেই বলা হয়, ‘সচিবালয়ে ঢুকে আপনি কনফিউজড বা বিভ্রান্ত হবেন না দয়া করে। হয়তো ভাবতে পারেন, কোথায় আসলাম? ঢাকা নাকি দিল্লির সিভিল সার্ভিস পাড়া এটা ! ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে সিভিল সার্ভিসে হিন্দু সম্প্রদায়ের আমলাদের আধিক্য দেখে আপনি অবাক হতেই পারেন। সাইনে লেখা রয়েছে অমুক বোস বা অমুক রায়, কোনোটায় অমুক দত্ত, আবার কোনোটায় অমুক বিশ্বাস। এসব নেম সাইনের ভিড়ে হারিয়ে গেছে মোহাম্মদ বা ইসলাম নামের নেম সাইন।

সচিবালয়ে এখন নাকি মুখে কথা হয় না, ভাব বিনিময় হয় ইশারায়। হিন্দু অফিসারদের দাপটে মুসলমানরা রয়েছেন কোণঠাসা অবস্থায়। চাকরি আছে কিন্তু চেয়ার টেবিল নাই, মুসলমান এমন কর্মকর্তার সংখ্যা সচিবালয়ে এতই বেড়েছে যে, লাইব্রেরিতে বা ক্যান্টিনেও এখন আর বসে সময় কাটানোর জায়গা নেই।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন অফিসার বললেন, বর্তমান সরকারের শুরু থেকেই একটি চক্র তালিকা হাতে এ কাজটি করে আসছে। চিহ্নিত হিন্দু অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ কোথায় কোথায় বসাবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত। এমনকি কয়েকপদ ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দেয়া হয় হিন্দু ওই কর্মকর্তাদের।

ওএসডি থাকা একজন অতিরিক্ত সচিব বললেন, শুধু সচিবালয়েই নয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিচারালয়, টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর, পুলিশ-প্রশাসন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বত্র এখন দাপটে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সংখ্যালগু হিন্দু কর্মকর্তারা। তিনি জানালেন, এখন অনেকেই বলে থাকেন, খুব বেশি দূরে নয়, হয়তো দেখা যাবে পাকিস্তান আমলে ‘পাঞ্জাবি খেদাও’ অভিযানের মতো বাংলাদেশেও এ ধরনের কোনো অভিযান শুরু হয়ে যাবে। (http://goo.gl/VgHCtp)

আমার দৃষ্টিতে, বর্তমান সময়টা ঠিক ব্রিটিশ আমলের মত। ব্রিটিশ পিরিয়ডের শুরুতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের প্রাধান্য বিস্তারের জন্য সকল মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরিয়ে শুধু হিন্দুদের নিয়োগ করেছিলো। আর এতদিন গোলামি খাটা নিচু জাতের হিন্দুরা হঠাৎ সুযোগ পেয়ে অধিনস্ত মুসলমানদের উপর চালিয়েছিলো নির্যাতনের স্টীম রোলার।

আর এভাবে আপনারাও হয়তো আরো সংখ্যালগু প্রধান সার্ভিসের কথা জেনে থাকবেন।
আর এতকিছুর পরও প্রিয়া সাহা'রা প্রকাশ্যে মিথ্যা  অভিযোগ জানায় ট্রাম্পদের কাছে। আর মুসলিম দেশের বাসিন্দা হিসাবে আমাদের জন্য আরো বেশি লজ্জার কথা যে, সরকার তাদের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না চেয়ে বরং তাদের আরো ছত্রছায়া দেয়। (কিন্তু কেন? প্রিয়া সাহা'দের পিছনে বড় কোনো শক্তি কলকাঠি নাড়ছে না তো?)আর এভাবেই প্রিয়া সাহা'র মত নিমকহারামী গুলো আমাদের শান্তিপ্রিয় দেশের বিরুদ্ধে গান গেয়েই যায়।

বর্তমান আওয়ামী সরকার যেভাবে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ( শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছে- - চাকুরীতে হিন্দুদের তুলনামূলক বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে) হিন্দুদের হাতে দেশ তুলে দিচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে নতুন করে পরাধীনতার শিকল এমনভাবে ঘিরে আছে,  ধরছে  বাংলাদেশকে তা থেকে বের হতে কত যুগ পেরিয়ে যায় !
আল্লাহ হেফাজত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
৭৬ বার পঠিত
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঢাকায় শান্তিতে বসবাসের জায়গাগুলো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৪






ঢাকায় শান্তিতে বসবাস করা যায় যেসব এলাকা: একটি বাস্তবভিত্তিক পর্যালোচনা

ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী শহর, জনসংখ্যা ও যানজটের দিক থেকে অন্যতম ব্যস্ততম নগরী হলেও এখানকার কিছু কিছু এলাকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হেজেমনি, কাউন্টার-হেজেমনি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৪


একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিঃশব্দ অথচ গভীর যুদ্ধ চলে তার ইন্টেলেকচুয়াল সেক্টরে। গোলা-বারুদের বদলে এখানে অস্ত্র হয় কলম, টকশো, নাটক, পাঠ্যবই, এবং ইউটিউব। বাংলাদেশে এই হেজেমনি বহুদিন ছিল প্রথম আলো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে দলীয় সরকার কখনই জনগণের সরকার হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৫



সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করলেও আওয়ামী লীগ সেটা স্বীকার করলো না। সেজন্য তারা বাকশাল নামে একদলীয় শাসন শুরু করে ছিল। কিন্তু সেনা বিদ্রোহে তাদের বাকশালী শাসনের অবসান ঘটে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রস্থান-পথ কঠিন হয়ে গেছে মুহাম্মদ ইউনূসের

লিখেছেন কবির য়াহমদ্্, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ২:২৪



অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (৮ই আগস্ট ২০২৪ থেকে চলমান...) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা ছাড়ার পথ কঠিন হয়ে গেছে।

এমনিতেই তার পদ ছাড়ার প্রবল অনাগ্রহ, তার ওপর আছে ক্ষমতা গ্রহণের পরের মাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃষ্টি ঝরছে সারাদিন

লিখেছেন সামিয়া, ৩১ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪



ইচ্ছা ছিল প্রথম আষাঢ়ে ছাদে যাবো
বৃষ্টি দেখতে,
যাওয়া হয় নাই।
বৃষ্টি তো আর ক্যালেন্ডার দেখে আসে না।
সে কখনো মাসের আগেভাগেই দরজায় কড়া নাড়ে,
আবার কখনো হুট করে হাওয়ায়
হালকা জলছবি আঁকে।

বৃষ্টি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×