আমাকে দেখতে দাও সমুদ্রের বিশালতা। বিনাশ হোক পবিত্র জলে অন্তরের সমূহ ক্ষুদ্রতা। যদি পারি মেলে দিতে হৃদয়ের চোখ,বাতাসে পুণ্যি আসে। পরিশুদ্ধ মানুষ, যে আমি নামাতে চাই ধুলোময় পা জলের নীলে। তার আগে ভেজা বালিয়াড়িতে, ধবল ফেনা এঁকে রাখে পৃথিবীর মানচিত্র। তবু বাসনা জাগে, পৃথিবী পেরিয়ে সমুদ্রে যাব।
গরুড়ের ডানার নিচে লুকিয়ে আছে বাসনার মৃত্যু। আমি শব্দ চাই। ধ্বনির মাহাত্ম্যে আমিও গেয়ে ওঠতে পারি প্রার্থনা সঙ্গীত। যদি পাই তার ডানা থেকে কাঙ্ক্ষিত শব্দ,বাসনাকে করে যাব দীর্ঘজীবী। আমার সমুদ্র চাই। অলৌকিক শব্দ থেকে, আজ রচিত হোক শত-শতাব্দীর জলকাব্য।
রজনীর স্তব্ধতা ভেঙ্গে জলকুমারীর নিতম্বের মতো ঢেউ ওঠে। অন্ধকার ও জলের মিলনে,শুনতে পাচ্ছি যে সুতীব্র গর্জন, মনে হয় যেন ছুটন্ত হরিণীর নিঃশ্বাস; নাকি কোনো কুমারীর কামার্ত আর্তনাদ!