আমার গতকালকের --ভেইলিং হিজাব নিয়ে বিতর্ক - Link Link শিরনামের পোস্টটির জবাব হিসাবে সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব একটি পোস্ট লিখেছেন ইসলামে পোশাকের দিক নির্দেশনা । তিনি তার ব্লগে আমার কমেন্ট ব্যান করে রেখেছেন , তাই উত্তর দিতে পারি নি । উনি উইকিপিডিয়াকে সব চেয়ে গ্রহণ যোগ্য সোর্স মনে করেন কিন্তু উইকিপিডিয়া কোন গ্রহণ যোগ্য রেফারেন্স সোর্স নহে এবং কোন কর্তৃপক্ষ উইকিপিডিয়াকে এক্সেপ্ট করে না । আমি এখন ওনার দেওয়া সোর্স থেকে দেখিয়ে দিচ্ছি ভেইলিং হিজাবের উৎস খৃষ্ঠ পূর্ব হোলেও ইহুদী খৃষ্ঠানরা তাদের বিধানে এটাকে অন্তর্ভূক্ত করে নিজেদের ধর্মী রিচুয়াল কালচার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে ।
ওনার লিখেতে এবং ওনার পোস্টে যারা কমেন্ট করেছে বা উনি যে জবাব দিয়েছেন ---- সেখানে আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্ঠা করা হয়েছে
এটা একটা জঘন্য নিন্দনিয় কাজ এবং এই ব্যপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি , এর বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ।
আমি কখনো বলিনি যে মুসলমান মেয়েরা মাথা ঢাকতে পারবে না । আমি বলেছি তারা অবশ্যই মাথা ঢাকতে পারবে তবে ঘোমটার মাধ্যমে ভেইলিং হিজাবে মধ্যমে নহে কারন ওটা খৃস্ঠান ইহুদী কালচার ।
এই ব্লগারে কাছে জানতে চাই --- আমার এই দাবি কি করে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ প্রমাণ করে ?
এবার ওনার লিখার কিছু প্যারা নিয়ে আলোচনা করি --
অনেকে হিজাবকে বলতে চাচ্ছেন যে এটা শুধু খ্রিস্টান নানদের পোশাক। আসলে কথাটা ঠিক না। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দেও মেসোপটেমিয়া, বাইজানটাইন, পারস্য এবং গ্রীসের অভিজাত মেয়েরা হিজাব পড়তো। সম্মান ও আভিজাত্যের জন্য তারা হিজাব পড়তো। এসিরিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতে পরিষ্কার আইন ছিল অভিজাতরা হিজাব পড়তে পারবে এবং সাধারণ নারীরা পড়তে পারবে না।
Veiling did not originate with the advent of Islam. Statuettes depicting veiled priestesses date back as far as 2500 BC.[74] Elite women in ancient Mesopotamia and in the Byzantine, Greek, and Persian empires wore the veil as a sign of respectability and high status.[75] In ancient Mesopotamia, Assyria had explicit sumptuary laws detailing which women must veil and which women must not, depending upon the woman's class, rank, and occupation in society.[75] Female slaves and prostitutes were forbidden to veil and faced harsh penalties if they did so.
এখানে দেখতে পারছেন ভেইলিংটা ( হাইলাইটেট অংশ) সাধারন নারীদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল না ছিল পতিতা এবং দাসীদের জন্য কিন্তু উনি লিখেছেন সাধারণ নারীদের কথা । সাধারণ নারীরা ভেইলিং কোরতো কারন না করলে তাদের মানুষ পতিতা বা দাসী মনে কোরতো তাই ।
এখানে একটা কথা উল্লেখ করতে চাই --- সিঁদূর / তিলক ইত্যাদি হিন্দুদের রিচুয়াল কালচার --- এই ধরনের মাথায় রং করা বা নকশা আকা শুধু হিন্দুরা করে না -- এটা আফ্রিকা , এশিয়া, আমেরিকার বিভিন্ন গোত্র বা ট্রাইবের ভিতরে এই ধরনের কালচার লক্ষ করা যায় যদি ও সে গুলো ধর্মীয় নহে কিন্তু এটাকে হারাম করা হয়েছে শুধু মাত্র হিন্দুদের রিচুয়াল কালচার দেখিয়ে ।
অতচ ভেইলিং কালচার খৃষ্ঠ পূর্ব হোলে এটাকে ইহুদী খৃষ্ঠানরা ডিভাইনের ভিতর নিয়ে আসে ।
পেঁচা, বাঘ , হরিণ, সিংহ হাতি ইত্যাদির মাসকাট বিভিন্ন কালচারে ব্যবহার করা হয় এবং আমাদের দেশে পহেলা বৈশাখে এগুলোর মাসকাট নিয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা করা হয় কিন্তু হুজুররা ফতুয়া দিয়েছে এগুলো হিন্দু ধর্মের প্রতিক, পেঁচা লক্ষীর বাহন ইত্যাদি তাই এগুলো হারাম ।
আমাদের হুজুররা সামান্য কিছুর মিল পেলেই ওটাকে হারাম হারাম ফতুয়া দেয় , যেমন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হারাম কারন পুজাতে ফুল দেওয়া হয় তাই কিন্তু দুটোর উদ্দেশ্য ভিন্ন ।
পহেলা বৈশাখ হিন্দু ধর্মের কালচার তাই এটা হারাম , অতচ এই নব বর্ষের ক্যালেন্ডার সম্রাট আকবর চালু করেছিল ।
সেন্ট ভ্যালেনটাইনের ঘটনাটা ঘটে খৃষ্ঠের মৃর্তুর ২৫০ বৎসর পরে এবং এর সাথে খৃষ্ঠানিটির কোন সম্পর্ক নেই , বাইবেলে ও কিছু নেই তবু এটাকে খৃষ্ঠিয় রিচয়াল কালচার হিসাবে ফতুয়া দিয়ে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে ।
অতচ ভেইলিং হিজাব খৃষ্ঠান বাইবেল দ্বারা প্রমাণীত রিচুয়াল কালচার হওয়া সত্ত্বেও এই সব লোক গুলোর কথার সুর ভিন্ন ।
খ্রিস্টান নানরা পড়ে বলে এটা পড়া যাবে না, এই ধারণা ভিত্তিহীন। খ্রিস্টান নানরা বোরকাও পড়ে। ডিজাইন হয়তো হুবহু এক না। আর হিজাব খ্রিস্টান নানরা চালু করেন নাই। বাইবেলেও হিজাবের কোন ডিজাইনের কথা বলা নাই।
খৃষ্ঠান নানরা শুধু নহে সাধারণ খৃষ্ঠান নারীরা ও এক কালে পোড়তো । যেহেতু এটা ওদের ধর্মীয় রিচুয়াল কালচার , তাই ঐ ভাবে নহে ঘোমটার মাধ্যমে মুসলমান মেয়েরা মাথা ঢাকতে পারে ।
এবার দেখি উনি যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেখানে কি লিখা আছে -- ইহুদী এবং খৃষ্ঠানদের ভেইলিং এর ব্যপারে
It is not clear whether the Hebrew Bible contains prescriptions with regard to veiling, but rabbinic literature presents it as a question of modesty (tzniut).[77] Modesty became an important rabbinic virtue in the early Roman period, and it may have been intended to distinguish Jewish women from their non-Jewish counterparts in Babylonian and later in Greco-Roman society.[77] According to rabbinical precepts, married Jewish women have to cover their hair (cf. Mitpaḥat). The surviving representations of veiled Jewish women may reflect general Roman customs rather than particular Jewish practices.[77] According to Fadwa El Guindi, at the inception of Christianity, Jewish women were veiling their heads and faces.[7]
Roman statue of a Vestal Virgin
The best-known view on Christian headcovering is delineated in the Bible within the passage in 1 Corinthians 11:4-7, which states that "every woman who prays or prophesies with her head uncovered dishonors her head".[77] The early Church Fathers, including Tertullian of Carthage, Clement of Alexandria, Hippolytus of Rome, John Chrysostom and Augustine of Hippo attested in their writings that when praying, Christian women should cover their heads, while men should pray with their heads uncovered.[78] There is archeological evidence suggesting that early Christian women in Rome covered their heads,[77] and the practice of Christian headcovering continues among female adherents of many Christian denominations today, especially among Anabaptist Christians, Eastern Orthodox Christians, Oriental Orthodox Christians and Reformed Christians, as well as others.[7
রেফারেন্স ---- What does the Bible say about Head Coverings
ওনার দেওয়া রেফারেন্সই প্রমাণ করছে, ভেইলিং হিজাব ইহুদী নাসাদের রিচুয়াল কালচার । এবার ওনার দেওয়া রেফারেন্স থেকে দেখি রসুল (সা: ) কি এটার প্রচলন করে ছিলেন
Available evidence suggests that veiling was not introduced into Arabia by Muhammad, but already existed there, particularly in the towns, although it was probably not as widespread as in the neighboring countries such as Syria and Palestine.[83] Similarly to the practice among Greeks, Romans, Jews, and Assyrians, its use was associated with high social status.
এখানে দেখতে পাচ্ছেন এটা গ্রিক রোমানদের কথা বলা হয়েছে যারা ছিল খৃষ্ঠান ।
ভেইলিং এর প্রচলন খৃষ্ঠ পূর্ব হলেও এটা যে ইহুদীরা প্রথমে তারপর খৃষ্ঠানরা তাদের রিচুয়াল কালচারের ভিতরে নিয়ে আসে এবং তাদের ডিভাইনে এর নির্দেশ অন্তর্ভূক্ত করে এতে কোন সংন্দেহ নেই । ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবে সময়ে এটা ইহুদী নাসার রিচুয়াল কালচার হিসাবে আরবে প্রতিষ্ঠিত ছিল ।
এবার ওনার কিছু বক্যের জবাব দি --
হিন্দুরা পাঞ্জাবি পড়ে, মুসলমানরাও পাঞ্জাবি পড়ে। ইহুদি পুরোহিতরা মাথায় টুপি পড়ে ( যদিও দেখতে একটু অন্য রকম)। মুসলমানরাও মাথায় টুপি পড়ে। মহানবী (সা) যে পোশাক পড়তেন আবু জেহেলও একই পোশাক পড়তেন। কাফির থেকে কেউ মুসলমান হলে রসুল (সা) কখনও তাকে পোশাক পরিবর্তন করতে বলেননি।
এটার কারন এই সমস্ত পোষাকের ডিজাইন গুলোকে কোন ধর্ম তাদের ডিভাইনে উল্লেখ করে নি বা ব্যবহার করতে উপদেশ দেয় নি , ঠিক যে ভাবে ভেইলিং হিজাবের ব্যপারে বাইবেলে বলা হয়েছে ।
খ্রিস্টান ফাদাররা বা ভ্যাটিকানের লোকেরা লম্বা আলখাল্লা পড়ে। তার মানে এটা না যে আলখাল্লার একছত্র অধিকার শুধু ওনাদের। মুসলমানরাও লম্বা পোশাক পড়ে অনেক দেশে, নাম যাই হোক না কেন। আগেকার জমানার পুরুষরা লম্বা পোশাকই বেশী পড়তো।
এটার কারন এই সমস্ত পোষাকের ডিজাইন গুলোকে কোন ধর্ম তাদের ডিভাইনে উল্লেখ করে নি বা ব্যবহার করতে উপদেশ দেয় নি , ঠিক যে ভাবে ভেইলিং হিজাবের ব্যপারে বাইবেলে বলা হয়েছে ।
খ্রিস্টান নানরা বোরকার মত একটা পোশাক পড়ে। তার মানে এই না যে মুসলমান মেয়েরা বোরকা পড়তে পারবে না। সমাজে প্রচলিত যে কোন পোশাক পড়া যাবে যদি তা ইসলামের পোশাক সংক্রান্ত চাহিদা পুরন করে। তবে কিছু পোশাক আছে যেগুলি শুধু অন্য কোন ধর্মের পুরোহিতদের জন্য নির্দিষ্ট। যেমন নির্দিষ্ট রঙের গেরুয়া পোশাক
এটার কারন এই সমস্ত পোষাকের ডিজাইন গুলোকে কোন ধর্ম তাদের ডিভাইনে উল্লেখ করে নি বা ব্যবহার করতে উপদেশ দেয় নি , ঠিক যে ভাবে ভেইলিং হিজাবের ব্যপারে বাইবেলে বলা হয়েছে ।