বিশ্বাষ এবং ফেক্ট এই দুইটার ভিতরের পার্থক্য অনেকে বুঝতে অক্ষম । প্রমাণ ছাড়া কোন কিছুকে অন্ধভাবে মেনে নেওয়াটাকে বলে বিশ্বাষ যেমন মামদো ভুতে বিশ্বাষ , পেত্নিতে বিশ্বাষ ইত্যাদি যেগুলোর কোন প্রমাণ বাস্তবে নেই ।
ফেক্ট হোল যেটা সাইনটিফিক্যাললি প্রমাণীত যেমন নিউটন ল, আইনস্টাইনের থিউরি সহ সকল সাইনটিফিক থিউরি সমূহ । ফেক্ট কোন বিশ্বাষ নহে কারন এটা পরিবর্তনশীল । যদি পরবর্তিতে অন্য কোন থিউরি আগের ধারনাকে বাতিল করে দেয় তখন নতুনটাকে গ্রহন করতে হয় , যদি এটা বিশ্বাষ হোত তাহোলে কোন পরিবর্তন গ্রহন যোগ্য হয় না সেই বিশ্বাষের অনুসারিদের কাছে ।
যে কোন মতবাদ প্রথমে হাইপোথিসিসের স্টাটাসে থাকে , প্রমাণীত হওয়ার পর ওটার স্টাটাস হয় থিউরিতে ।
ডারউইনের মতবাদের বর্তমান স্টাটাস কি ? সেটা হোল theory of evolution। তারমানে এটা সাইনটিফিকাললি গ্রহন যোগ্য হওয়ার পর হাইপোথিসিস থেকে থিউরির মর্যাদা লাভ করে ।
চার্লস ডারউইন যখন এই মতবাদ দেন তখন এটা ছিল হাইপোথিসিস কারন তখন ডিএন এ টেস্ট আবিষ্কৃত হয় নি , ফসিল সমূহের ডি এন এ টেস্ট করা সম্ভব হয় নি । এই প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ার পর ডারউইনের হাইপোথিসিসকে থিউরি হিসাবে গ্রহন করা হয় যখন তার মতবাদটার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল ।
আমরা মাইক্রোসকপিক লেভেলে জীবানু অথবা ভাইরাস সমূহের বিবর্তন সচোক্ষে দেখতে পারি , করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে ৪০০ বারে উপর বিবর্তিত হয়েছে।
আমরা দেখেছি মশার বিবর্তন , যে নাশক কোন একপ্রজাতির মশাকে ধংস করতে সক্ষম কিছু দিন পরে দেখা যায় ঐ নাশকে ঐ মশা গুলো মারা যায় না । এটা সম্ভব হয় বিবর্তন এবং সারভাইবেল অফ ফিটনেস থিউরি অনুসারে । কোন নাশক যদি কোন প্রজাতির ৯৮% মশাকে মেরে ফেলে ২% ছাড়া ,যেগুলোর ভিতরে কোন কারনে ঐ নাশকে প্রিভেন্ট করার জিন অথবা বৈশিষ্ঠ ছিল , যে কারনে এই ২% রক্ষা পায় বা সারভাইভ করে যায় । পরবর্তিতে এই ২% থেকে যে জেনারেশন জন্ম নিবে তাদের ভিতর ঐ বিশেষ নাশক বিরুধী রেজিস্ট্যাস নিয়ে জন্ম নিবে , যার জন্য এই নতুন জেনারেশন ঐ নাশকে মারা যায় না ।
ক্ষুদ্র প্রাণীদের বিবর্তন সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায় কিন্তু বিশাল দেহি প্রাণীদের বিবর্তন প্রক্রিয়া হতে লক্ষ লক্ষ বৎসর লেগে যায় ।
এবার আমরা দেখি ডারউইন কি আসলে বলেছিলেন যে মানুষ বাদর থেকে বিবর্তিত হয়েছিল
জী না এমন কথা তিনি বলেন নি কিন্তু এই ধরনের একটা মিথ্যা প্রচার অনেক মানুষ বিশ্বাষ করে । তাহোলে বিবর্তন বাদে আসলে কি বলেছে ?
বিবর্তন বাদ প্রমাণ পেয়েছে মানুষ এবং বাদর একই আদি প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়ে ভিন্ন প্রজাতির রুপ নিয়েছে । বর্তমানে ঐ আদি প্রাইমেট বিলুপ্ত হয়ে গেছে । ঐ আদি প্রাইমেট বিবর্তিত হয়ে লেজ হীন (এপ) এবং লেজ বিশিস্ঠ ( বানর) এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় , পরবর্তিতে লেজ হীন এপেরে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভব হয় ।
মানুষ সরাসরি বাদর থেকে বিবর্তিত হয় নি ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭