অস্থিরতা লাগতে পারে
-আমরা যখন কাজের আগে না থেকে কাজের পেছনে থাকি তখন।
-কাজটা কোন কারণে আমাদের মনের মতো নয় বলে ।
-যেই কাজ গুলো নিয়ে অস্থির আছি তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় দিচ্ছি বেশি ।
-গুরুত্বপূর্ণ কাজে পছন্দ মতো/ প্রয়োজন মতো সহযোগিতা পাচ্ছি না বা ফিডব্যাক পাচ্ছি না
-অনেক সময় আমরা নিজেদের চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগার কারণেও অস্থির থাকি ।
-উচ্চ শিক্ষায় নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে না পারলে অস্থির থাকি ।
-প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি কম হলে ।
-তথ্য প্রযুক্তির যুগে সোস্যাল মিডিয়ায় অনিয়ন্ত্রিত সময় ক্ষেপনে অস্থির থাকি
- একাকীত্ববোধ থেকেও অনেক সময় আমরা অস্থির থাকি ।
এরকম আরও কারণ থাকতে পারে। এবার দেখা যাক সমাধান করা যায় কেমন করে
-পেছনে যা গেছে তা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে এই মুহুর্ত থেকেই কোন কাজ টা আগে করা দরকার তার একটা লিস্ট করে নিন
-যেই কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আপনি মনোযোগ দিতে পাচ্ছেন না, ভেবে দেখুন সেই কাজটা ঠিক মতো ঠিক সময়ে (সময় পার হয়ে গেলে যত তারাতারি সম্ভব) করে ফেললে তা দ্বারা আপনি কতোটা লাভবান হবেন
-কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলোকে আপাতত রেখে পরে বেশি সময় নিয়ে আন্তরিক ভাবে করলেই লেঠা চুকে যাবে
- সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত চেহারা নিয়ে অসন্তুষ্ট না হয়ে জন্ম থেকে বা পরবর্তীতে কোন কারণে বিকৃত চেহারা নিয়ে জীবন যাপন করা মানুষগুলোর ছবি দেখে, তাদের জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারলে নিজের হীনমন্যতা অনেকটাই কেটে যাবে ।
সুন্দর চেহারা নয় বরং গুনাবলীসম্পন্ন মানুষ হওয়ার দিকে মনযোগ দিতে হবে ।
-পছন্দের বিষয় না পাওয়ার কারণে মন খারাপ না করে বর্তমান বিষয়টাতেই আনন্দ খুঁজে পরবর্তী জীবনে এই বিষয় নিয়ে পড়ার সুফল কী কী হতে পারে তা নিয়ে ভেবে, একই বিষয়ে সফল পূর্বসুরীদের তথ্য নিয়ে আনন্দের মাঝে বর্তমান বিষয়ে মনোনিবেশ করা ।
-প্রত্যাশা করলে মনমতো প্রাপ্য না পেলে মন খারাপ হতেই পারে, সেক্ষেত্রে অস্থিরতা বাড়তে পারে ।
যার বা যাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে তাদের সীমাবদ্ধতার কথাও ভেবে নিজেকে সান্তনা দেয়া যেতে পারে ।
-অনেকেই আছেন ব্লগ বা ফেসবুকের হোমপেজে তাকিয়ে থাকে অনেকটা সময় ধরে আর তার পরিচিত/অপরচিতদের কার্যকলাপ দেখে সাময়িক আনন্দ লাভ করে এবং পরে যখন খেয়াল করে এর মধ্যে অনেকটা সময় সে ক্ষেপন করে ফেলেছে এবং এই ঘটনা দিনের পর দিন চলতে থাকে তখন অপরাধবোধ থেকে অস্থিরতা আসতে পারে । সেক্ষেত্রে নিজের বাস্তবিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে শুধু মাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী সময়টুকুই দেয়া যেতে পারে ।
-অস্থির সময়গুলোতে মন খারাপ করা, দুঃখ জাগানিয়া গান শোনা থেকে বিরত থাকাই উত্তম ।
এই সময় সফ্ট যন্ত্র সংগীত বা মন ভালো করা মেলোডিয়াস গান শোনা যেতে পারে ।
- জীবনে ভালো বন্ধুর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য । কেউ আমাদের পাশে এসে দাড়ালে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে তা যদি মানসিকভাবেও হয় তবুও আমরা অস্থির সময়টাকে সফলভাবেই পারি দিতে পারি ।এই ব্যস্ত, হিসেবী জীবনে অনেকেই আমাকে, আপনাকে সময় দিবে না । কিন্তু কেউ কেউ থাকে যারা আপনার পাশে থাকবে । খুঁজে নেবার দায়িত্ব আমার, আপনার ।
এবং সব শেষে
-যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে...
আপনার মুনাফা আপনারই থাকবে, কেউ সহযোগিতা করুক আর না করুক।
ভালো করে হাত-মুখ ধুয়ে, চা খেয়ে (যদি অভ্যাস থাকে) কাজ শুরু করুন।
[তবে অবশ্যই এই শুরুটা দিনের যেকোন সময়ে হতে পারে।রাত জাগাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।]
অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
পুনশ্চ: এই লেখার একটা অংশ কখনো কোন একজন সহব্লগারের পোস্টে মন্তব্য হিসেবে করা হয়েছিল । তারপর তাতে আরো কিছু পরামর্শ যোগ করা হয়েছে । প্রতিটা মানুষই ভিন্ন চরিত্রের। আবার অনেকের স্বভাবের সাথে অনেকের মিলে যায়। এই লেখার কোন অংশ বা অনেক কিছুই আপনার সাথে মিলতে পারে অথবা নাও মিলতে পারে । তবে নিজের ভালোটা বুঝতে সময় ক্ষেপন করাটা নিজের জন্যেই ক্ষতিকর যা পরবর্তীতে দীর্ঘশ্বাসের সাথে হিসেব কষতে বসতে হতে পারে ।
সবাই ভালো থাকুন ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৯