ফজলু - মামুন শোনো, তোমার তো স্ক্যানার আছে। আমার এই চিঠিটা একটু স্ক্যান করে দাওতো।
মামুন - ঠিক আছে, দিচ্ছি।
কিছূক্ষণ পর
মামুন - নেন ফজলু ভাই, আপনার চিঠি স্ক্যান হয়ে গেছে। দেখেন ঠিক আছে কিনা।
ফজলু - এটা কি স্ক্যান করলা তুমি, চিঠির লেখার সাথে তো স্ক্যানের কোন মিলই নাই দেখছি। (একটু ভালভাবে পরখ করে) আরে ? তুমি তো দেখি আমার আসল চিঠিটাই বরবাদ করে দিলে।
মামুন - মানে ?
ফজলু - চিঠিতে তারিখ ছিল প্রথম লাইনে, এখন দেখি সেটা তিন নম্বর লাইনে নেমে গেছে। আর বানানওতো দেখছি উল্টা পাল্টা।
মামুন - আপনি আমাকে যে চিঠি দিয়েছেন, আমি তো সেটাই স্ক্যান করেছি। এর বেশী তো কিছু করি নাই। ভূল যদি থাকে তাহলে আপনার চিঠিতেই ছিল।
ফজলু - ভূল আমি করিনি। আমার চিঠি ঠিকই ছিল। মাঝখানে স্ক্যান করে তুমি চিঠিটা নষ্ট করে দিলে।
মামুন - আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন ফজলু ভাই, স্ক্যানার কোনভাবেই কাগজের লেখাকে পরিবর্তন করতে পারে না। এখানে কালির কোন কারবার নাই। এটা অনেকটা ক্যামেরার মত কাজ করে। এটা যদি কাগজের লেখাকেও পরিবর্তন করতে পারতো, তাহলে একটা নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়ে যেত।
ফজলু - আমাকে শিখাতে এসো না। তুমি ছোটভাই, আমার চেয়ে তুমি বেশী জানো না। ভূল করে থাকলে বল, কিছু হবেনা। কিন্তু আমার কাছে মিথ্যা বলোনা।
মামুন - (মনে মনে) তুমি আমার ...... .......। আবাল কোথাকার। আর জীবনেও এইসব গন্ডমূর্খদের কোন উপকার করবো না।