গত দুই পর্বের লিংক
সহজ মেদভূড়িনামাঃ লিভার, ভালো রাখুন, ভালো থাকুন-
Click This Link
সহজ মেদ ভূড়ি নামা-
Click This Link
প্যানক্রিয়াস পাতার মত একটা গুরুত্বপূর্ণ অরগান। এর এনজাইমেটিক এন্ড হরমোনাল, দুই ধরণের কাজ আছে।
এনজাইমেটিক কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্য পাচক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া। Pancreatic juice অনেকগুলা এনজাইম নিয়া তৈরি, Trypsinogen, Chymotrypsinogen, Carboxypeptidase, Pancreatic lipase, Phospholipase etc. এগুলা মূলত এসিনার আর ডাকটাল সেল থেকে তৈরি। কাজেই ফ্যাট মেটাবোলিসমে এটার একটা দারুন রোল আছে।
হরমোনাল কাজের মধ্যে এটার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রন করা। প্যানক্রিয়াসের মধ্যে আইলেটস অব ল্যান্গারহ্যান্স নামের একটা বিশেষ স্ট্রাকচার আছে। এই আইলেটস অব ল্যান্গারহ্যান্সে অনেকগুলা সেল টাইপ আছে, যেমন, আলফা সেল, বিটা সেল, ডেলটা সেল, পিপি সেল, এপসিলোন সেল।
বিটা সেলগুলা থাকে আইলেটসের একেবারে সেন্টারে, আর আলফা সেলগুলা থাকে বিটা সেলগুলাকে ঘিরে।
ছবিতে ভিতরের লাল অংশ ইনসুলিন পজিটিভ বেটা সেল আর তার বাইরের ফেড কালার আলফা সেল, নীল অংশ হোলো এসিনার সেল।
দুইটা হরমোন এখানথেকে বের হয়, ১। আলফা সেল থেকে- গ্লুকাগন আর ২। বিটা সেল থেকে ইনসুলিন।
মজার ব্যাপার হলো গ্লুকাগন শরীরের গ্লুকিজের পরিমান বাড়ায় আর ইনসুলিন গ্লুকোজের পরিমান কমায়।
এখন, ইনসুলিন গ্লুকোজের পরিমান যখন আর কমতে পারে না তখন একে আমরা বলি হাইপারগ্লাইসেমিয়া, আর এ থেকে পরবর্তিতে ডায়াবেটিস রোগ তৈরি হয়। এখানে একটু জানা দরকার ইনসুলিন কিভাবে কাজ করে। ইনসুলিন মুলত কোষের ভিতর রক্ত থেকে গ্লুকোজের ট্রান্সপোর্টকে সাহা্য্য করে ইনসুলিন রিসেপ্টর আর গ্লুকোজ ট্রান্সপোর্টারের সাহা্য্যে।
এখন দুইভাবে এই ইনসুলিন কাজ নাও করতে পারে, ১। ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যাওয়া, বেটা সেলের ডেসট্রাকশনের জন্য এটা হতে পারে, আবার সিক্রেটরি মেকানিজমে প্রবলেমের জন্যও এটা হতে পারে।
২।পেরিফেরাল লেভেলে, যেমন, মাসল, এডিপোজ টিস্যু, লিভারে ইনসুলিন রিসেপ্টর কাজ না করা, ফলে কোষ গুলা গ্লুকোজকে ঠিক মত ব্যবহার করতে পারে না, ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বাড়তে থাকে।
কেন এমন হয়? আগেই আমরা আলোচনা করেছিলাম যে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ এর কারণে কোষ মারা যায়। এখানেও তাই হ্য়, ফ্রি রেডিক্যালগুলা আইলেটসের ভিতরে বেটা সেল গুলাকে ধ্বংস করে ফেলে। আরও একটা কাজ করে সেটা হলো, এই ফ্রি রেডিক্যাল ইনসুলিন রিসেপ্টরের কাজের ক্ষমতা কমায়ে ফেলে। একে বলে ইনসুলিন রেজিসটেন্স।
এখন ওবেসিটির ক্ষেত্রে কি হয়, রক্তে গ্লুকোজ আর ফ্যাটি এসিডের পরিমান বাড়তে থাকে। এই গ্লুকোজ আর ফ্যাটি এসিড প্যানক্রিয়াসকে স্টিমুলেট করে, ফলে প্যানক্রিয়াসে সাইজ আর আইলেটস অব ল্যান্গারহ্যান্সের সাইজ এবং পরিমান বাড়তে থাকে। এজন্যই অধিকাংশ মোটা লোকদের রক্তে ইনসুলিনের পরিমান বেশি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যদিও রক্তে ইনসুলিনের পরিমান বেশি পাওয়া যায়, ইনসুলিন রেজিসটেন্সের কারণে গ্লুকোজের পরিমানও বেশি থাকে।
রক্তে ইনসুলিনের পরিমান বেশি থাকাটাও কোনো ভালো ব্যাপার নয়। ইনসুলিনের একটা ইফেক্ট হলো গ্রোথ ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করা। কাজেই এটা খুব সহজেই হার্টের সেল গুলাকে সাইজে বড় হতে স্টিমুলেট করে, ফলে একটা কন্ডিসন তৈরি হয়, একে বলে হাইপারট্রফি অব হার্ট, যেটা হার্ট ফেইলরের একটা বড় কারণ।
আবার ফিরে আসি নেচারের কাছে, নেচারাল ফেনলিক কমপাউন্ড Naringin from grapes extract, Rutine- from onion; Ferulic acid- from rice bran, cereals etc; Olive leaf extract, coffee bean extract, গুলা প্যানক্রিয়াসের ড্যামেজকে প্রতিরোধ করে। Ferulic acid আইলেটসের রিজেনারেশন আর ইনসুলিনের সিক্রেশনকে বাড়াতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৮