পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে ও শিবিরের হামলায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৪৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার মিরপুরে ১ জন, রংপুরের মিঠাপুকুরে ৬, নাটোরে ১, নোয়াখালীতে ৪, দিনাজপুরে ২, মোলভীবাজার ৩, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৩, কক্সবাজারে ২, সাতক্ষীরায় ৭, গাইবান্ধায় ৭, সিরাজগঞ্জে ২, ঠাকুরগাঁও ৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২, বগুড়ায় ১ ও রাজশাহীর বাঘায় ১ জন।
এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে পুলিশসহ ৫ শতাধিক। এদের শতাধিক গুলিবিদ্ধ রয়েছে।
এটা ছিলো গতকালের মৃত্যুর পরিসংখ্যান, আমি একটা একটা গুণতেছিলাম....না, তাদেরকে শিবির কিংবা পুলিশ সদস্য হিসেবে নয়, গুণতেছিলাম কতটা প্রাণ বৃথা গেল, রাজনীতির দুর্বোধ্য নীতিতে কতগুলো মানুষ বেঘোরে প্রাণ দিলো। একটা সময় আমি আর গুণতে পারছিলাম, বুক ফেটে যাচ্ছিল,,,,বলতেছিলাম এরা কেন জীবন দিচ্ছে, কার জন্য দিচ্ছে, কি লাভ এই বিসর্জনে?
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বৃহস্পতিবার সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে ৮ ও ১০নং অভিযোগে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এতে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রায় ঘোষণার ঠিক পরপরই। আমার জানা মতে, শিবিরের কর্মীরা যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার অধিকারী, তারা খুব ভালো করেই জানে যে অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে....সাঈদীর ফাঁসি হয়েছে, সামনে হয়তো আরো কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হবে। এটাই নিয়তি, আর পাপতো বাপকেও ছাড়েনা, সেটা সবারই জানা।
সবার প্রশ্ন এখন তবু কেন সহিংসতা ছড়ালো জামাত-শিবির? এটাই রাজনীতি...সাধারণের মাথায় যা ঢোকেনা....
বাঙালী খুবই আবেগপ্রবণ, এদের জায়গা মত নক করলে এরা যেমন মেরে ভূত বানিয়ে দিতে পারে, তেমনি নিজে মরে ভূতও হয়ে যেতে পারে।
আমার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়েছে এতগুলোর মৃত্যুর উপর ভর করে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পাওয়া এবং রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অবস্থান আরো পোক্ত করাই জামায়াতের উদ্দেশ্য, কারণ ইতিমধ্যেই তাদের রাজনীতি বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
লাশের রাজনীতি...একটা লাশ নিয়েই কত টানা হেঁচড়া হতো...আর এখন অনেকগুলো লাশ...অনেকগুলো প্রাণ, অনেকগুলো ভূল, হয়তোবা অনেকখানি মাশুল।
আরো কত মৃত্যু আছে বেঘোরে?
১৯৭১ এর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অভিশাপে পাকিস্তান আজ মরুময়, তেমনটাকি হতে চলেছে জামায়াতের ক্ষেত্রেও...যতদূর শুনেছি, সাপের বিষ ঝাঁড়ফুঁকে নামানো যায়,,,কিন্তু অভিশাপ থেকে মুক্তির উপায় নেই.....পাপ...মহাপাপ..