জীবনে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
আপনার পরিবার বলল- যা খুশি কর, বাঁধা দেবো না।
প্রেমিকা/স্ত্রী/স্বামী বলল- যা খুশি কর. পাশে আছি।
বন্ধু-বান্ধব- পাশে আছি, প্রয়োজন হলে ডাকিস।
মোটিভেটার-এই পারছে, হেন পারছে, তেন পারছে পারছে, আপনিও পারবেন।
আপনি ডিম পাড়বেন না ভেঙে ভাজি করে খাবেন। যাই করেন, এই যে ধরলাম সবাই আপনার পাশে আছে, এটা আপনার পরিস্থিতি পরিবর্তনে আদৌ কোন ভূমিকা রাখবে - আমি মনে করি স্রেফ কোন কাজেই আসবে না!
যদিনা আপনি কোন কাজটি করবেন, কোন সিদ্ধান্তটি নিবেন, কোন আইডিয়াটি আপনার মাথায় আসছে কিংবা কোন কাজটি আপনি আপনার মতো ভালোবাসেন, সেটি আবিষ্কার করতে না পারেন। আর কোন আইডিয়া যদি খুঁজে না পান, তবে সবার পাশে থাকা আপনার কাছে বিষের মতো মনে হবে।
ধরুন না, মাশাআল্লাহ্ আমাদের প্রচুর বৈদাশিক মুদ্রা রিজার্ভ আছে এবং বিপুল জনশক্তি আছে। এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ টু-শব্দও করছে না, বিরোধীদল বা ক্ষমতার বাইরের অন্যান্য দল ঘুমুচ্ছে- তবুও লাখ লাখ বেকার জনগোষ্ঠী কাজ পাচ্ছে না, এর দায়ভার কার? অবশ্যই সরকারের। সরকারের সব থাকার পরেও জনগণের কিছুই নেই, সরকার সুখে আছে, পরম শান্তিতে আছে; জনগণ সে কথা পরে হবে!!! সাধারণ জনগণের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই, সংসদে টেবিল থাপড়ানোর মতো সাংসদ নেই- এ রাষ্ট্রে সরকার ও জনগণ দুটো যোজন যোজন আলাদা।
আপনি ,আমি এবং আমরা যাঁরা প্রত্যেকে চব্বিশ ঘণ্টা করে সময় পাই, সুযোগ বা সুবিধায় পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু সময় সবার জন্য সমান। বিসিএস বা সরকারী চাকরি পেনাল্টি শটের জেতার মতো। অনিশ্চিত নব্বই ভাগ। আসুন প্রত্যেকে পেনাল্টি শটের আগে নব্বই মিনিট খেলি। হোক ছোট , পরিকল্পনা করে কোন কিছু শুরু করে দিই। আমার ,আপনার একটা একটা আইডিয়ায় দেখবেন - একদিন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে আমাদের বাংলাদেশ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫১