somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'হিগস' কণা কি আসলেই পাওয়া গেছে, নাকি ভাঁওতাবাজি,?

১১ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ্‌ই সকল প্রশংসার প্রকৃত হকদার, অসংখ্য দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।


কয়েকজন বন্ধু এক রুমে আড্ডা দিচ্ছে।জিন্স নামক এক বন্ধু বাহির থেকে এসে বললো, এই তোরা জানিস নাকি, হিগস কণা পাওয়া গেছে। এখন অন্য বন্ধুরা সাইন্স অত বুঝে না, বেশীরভাগই সাইন্স নিয়ে পড়ালেখা করেনি। দুই একজন সাইন্সে পড়লেও তারা ফিজিক্সের ছাত্র না। এখন তারা কি এই বন্ধুর কথা মানবে কি মানবে না চিন্তায় পড়ে গেলো। তাদের চিন্তায় ছেদ টেনে

এক সাংবাদিক বন্ধু বললোঃ বিদেশ থেকে যেসব খবর আসে, এরকম ক্ষেত্রে প্রথমেই যেই ব্যাপারটি বিবেচনা করতে হবে সেটা এই যে, মিডিয়া যেই খবরটি প্রচার করছে সেটা কি সত্য কিনা? কারণ, মিডিয়া অনেক সময়ই অনেক কারণে মিথ্যা খবর প্রচার করে, অনেক সময় অসম্পূর্ণ খবর বা মূল ঘটনার সাথে কিছু বাড়িয়ে কমিয়ে প্রচার করে। আবার অনেক সময় পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের কূটনৈতিক চাল হিসাবেও কিছু মিথ্যা খবর রটিয়ে দেয়।এই যেমন দেখো, কৃত্রিম প্রাণের ব্যাপারটি।মিডিয়া বিষয়টি এমন ভাবে প্রচার করলো যে, বিজ্ঞানীরা বুঝি গবেষণাগারে একটা প্রাণী তৈরী করে ফেলেছে । পরে দেখা গেলো কি যে, সব বাড়াবাড়ি। এই ব্যাপারে জানতে হলে আমার সাথে তর্ক না করে এখান থেকে আর এখান থেকে আর এখান থেকে জেনে আসতে পারেন।

জিন্স বললোঃ আরে এই খবর সব পত্রিকাতেই এসেছে,সব টিভি চ্যানেলে দেখাচ্ছে।

২নং বন্ধু বললোঃ ধরো,মিডিয়া সঠিক খবরই প্রচার করেছে।তাহলেই কি আমাদের তা মানতে হবে? বিজ্ঞানীরা যে বলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে,তা এই পরীক্ষা নিরীক্ষা কি ঠিকমত করেছে কিনা,নির্ভুলভাবে করেছে কিনা,যন্ত্রপাতিতে কোন সমস্যা ছিলো কিনা তাতো আর আমাদের পক্ষে যাচাই করে দেখা সম্ভব হচ্ছে না।তো আমারা যাচাই বাছাই ছাড়া কারো কোন কথার উপর তো আস্থা রাখতে পারিনা।হোক না সে বিজ্ঞানী বা গবেষক,সে তো মানুষই,সে তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।আর সে যে গবেষক এটাওতো আমাদের ঐ মিডিয়া থেকে শোনা কথা।তার বুদ্ধি কতটুকু,তার স্মরণশক্তি কেমন,তার বুঝ শক্তি কেমন, পর্যবেক্ষণ শক্তি কেমন এর কোন কিছু সম্পর্কেইতো আমাদের চাক্ষুষ কোন জ্ঞান নেই।এইতো কিছু দিন আগে cern এর বিজ্ঞানীরা বলেছিলো যে আলোর চেয়ে বেশী গতির কণা পাওয়া গেছে, পরে দেখা গেলো যে , না যান্ত্রিক ত্রুটি ছিলো।( এ সম্পর্কে জানতে হলে এই লিংকে গিয়ে ৫ নং কমেন্টটি দেখুন।এছাড়া এমন ঘটনা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অসংখ্য।এই কিছু দিন আগে ২০০০ সালের ৫ই মে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অনেক বিজ্ঞানী বলেছিলো ।হুজুররা জুমার খুতবায় বারবার বলেছিলো যে,কোরআন হাদীস অনুসারে এটা হতে পারে না।কিন্তু কে শুনে কার কথা।আমার এখনও খেয়াল আছে যে,ঐ দিন রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয় গিয়েছিলো,বহু মানুষ গ্রামে চলে গিয়েছিলো।আর ইউরোপের কথা নাই বললাম।(ভাই যারা ঐ ঘটনার সাক্ষী আছেন তারা একটু কমেন্টে জানান দিয়েন।কারণ ঐ দিন নাস্তিক্যবাদীদের হয়েছিলো পরাজয়, তাই এই কথা আর বইয়ে লেখা থাকে না, আলোচনা হয় না ) আলহামদুলিল্লাহ।

৩নং বন্ধু বললোঃ আরো কথা আছে,বিজ্ঞানীরাও তো লোভ আর খ্যাতির মোহ থেকে মুক্ত নয়।অনেক বিজ্ঞানী আছে যারা আরেকজনের আবিষ্কার নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে।আবার অনেক সময় আরেকজনকে পিছনে ফেলে আবিষ্কারের কৃতিত্ব নিজে নেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করে গবেষণা কর্ম শেষ করেছে।(এই বিষয়ে কিছু জানতে পারবেন এই লিংকে )আর সবচেয়ে খারাপ যেটা সেটা হলো,অনেক সময় একটা কিছু আসলে পায় নাই, কিন্তু সেটা নিজের হাতে বানিয়ে, মাটির নীচের ফসিল হিসাবে পেয়েছে বলে চালিয়ে দিয়েছে।যেমন ভন্ড বিবর্তনবাদী কিছু বিজ্ঞানী এমন করেছে ।এ সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে জানতে হলে এই লিংকে গিয়ে ১৪ নং ও ১৮নং কমেন্ট দু'টি দেখুন।আর বিস্তারিত জানতে হলে এই লিংকে যান।আর বাংলায় চাইলে এই লিংকে গিয়ে দেখেন কিভাবে তারা ধোঁকাবাজি আর মিথ্যার বেসাতী করেছে । তারপরে আবার দেখো,মানুষ যে চাঁদে গেছে এটাই তো অনেকে বলছে যে একদম মিথ্যা এবং তাদের যুক্তিও বেশ মজবুত।((এ সম্পর্কে জানতে হলে যান এই লিংকে , এই লিংকে , এই লিংকে, এই লিংকে আর এই লিংকে এবং এই লিংকেও যাবেন এবং সেখানকার কমেন্টের যুক্তি পাল্টাযুক্তি গুলোও পড়ে দেখুন))।তাহলেই চিন্তা করো এত বড় বিশ্ব ধাপ্পাবাজ যারা তাদের কথা কিভাবে বিশ্বাস করা যায়।সুতরাং এসব বিজ্ঞানীদের কথা নিজেরা যাচাই করতে না পারলে,ব্যাপারটি স্থগিত রাখাই বুদ্ধিমানের পরিচয়।তারা যা মন চায় বলুক,সেগুলোকে কোন গুরুত্ব দেয়ার বা সেগুলো নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই।তবে যেসব বিজ্ঞানী উল্টাপাল্টা আর বাস্তবক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় সব থিওরীর পিছনে না পড়ে মানবজাতির জন্য উপকারী সব যন্ত্রপাতি,ঔষধাদি ইত্যাদি আবিষ্কার করে যাচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবো,এবং তাদের মতো বাস্তবমুখী বিজ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করবো।(একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, এইসব থিওরীর উপর ভিত্তি করে বলতে গেলে তেমন কিছুই আবিষ্কার হয়নি, বরং গবেষণাগারে বাস্তবমূখী পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে একটা কিছু আবিষ্কার হওয়ার পর হাইপো/ থিওরী দিয়ে সেটাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আগে আবিষ্কার হয়েছে পড়ে থিওরীকে সেই আবিষ্কারের সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। থিওরীর উপর ভিত্তি করে খুব কম জিনিষই আবিষ্কার হয়েছে।) আলহামদুলিল্লাহ।

৪নং বন্ধু বললোঃ এই শোন সবাই,আমরা বিজ্ঞানীদের এইসব থিওরী নিজেরা যাচাই করে ঠিক বেঠিক বের না করতে পারলেও এবং সেই যোগ্যতা আমাদের না থাকলেও,একটা বিষয় কিন্তু আমরা সবাই জানি যে,কোন বিজ্ঞানী কিন্তু নিজেও তার থিওরী একশ ভাগ নির্ভুল দাবি করতে পারে না।বিজ্ঞান সব সময়ই পরিবর্তন হচ্ছে,যত দিন যায় ততই আগের থিওরী ভুল প্রমাণিত হয় বা সংশোধিত হয়।এই থিওরী কপচানো বিজ্ঞানীরা (সবাই না)আজকে এক কথা বলে তো কালকে আরেক কথা ,কালকে এক কথা বলে তো পরশু আরেক কথা,পরশু আরেক কথা বলে তো তরশু আরেক কথা ।শোন বন্ধুরা,তোমরা কি এমন কোন লোকের কথায় কান দিবে, যে নাকি একেক সময় একেক কথা বলে,আবার মাঝে মাঝে মিথ্যাও বলে।সবাই বললোঃ না ,কখনোই না।তখন সে বললোঃ সুতরাং হিগস কণা আছে কি নাই সে চিন্তা বাদ দেও । অবিশ্বস্ত লোকদের অপ্রয়োজনীয় ফালতু কথায় কান দিয়া লাভ নেই।আর একটি ব্যাপার হলো,এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে কি,এখন বলবে যে কিছু পাওয়া যায় নাই,পুরা টাকাটা বৃথা গেছে।তাই কিছু পাওয়া না গেলেও একটা কিছু পেয়েছে বলে গোঁজামিল দিয়ে প্রচার করছে,এরকম সম্ভাবনাও কিন্তু বেশ আছে। যেখানে দুনিয়াতে হাজারো লাখো মানুষ না খেয়ে আছে,সেখানে অভাবী মানুষের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে কাল্পনিক এক কণার পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।হায়রে দুনিয়া!হায়রে তথাকথিত বিজ্ঞানী! (আলহামদুলিল্লাহ।)

৫নং বন্ধু বললোঃ তোমাদের এই আলোচনা থেকে যা বুঝলাম তাতে তো দেখি আমরা অনেক কিছুই এইসব বিজ্ঞানীদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস করি ।এই ধরো বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্ঠি নিজ চোখে দেখতেছে যে সূর্য পৃথিবীর চার দিকে ঘুরছে,কিন্তু আমরা এই বিজ্ঞানীদের কথায় নিজের চোখের দেখাকে পর্যন্ত অস্বীকার করলাম।ছোট বেলায় স্কুলের কোন ক্লাশের বইয়ে পড়লাম গ্যালিলিও বলেছে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে,ব্যাস!পড়েই, কোন যাচাই বাছাই ছাড়া অন্ধভাবে তা বিশ্বাস করে নিলাম।ধর্ম বিশ্বাসীরাতো নবী রাসূলদের দেয়া অদেখা জিনিষের সংবাদ না দেখে বিশ্বাস করে,আর আমরা তো আর এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে একেবারে বাস্তব,চোখে দেখা জিনিষের উল্টা জিনিষ মেনে নিলাম,এই সমস্ত বিজ্ঞানীদের কথায়।এরকম পৃথিবীকে কমলালেবুর মত বলে বিশ্বাস করে নিলাম না দেখেই ।উনারা যে বলে মহাকাশ যান থেকে পৃথিবীর ছবি তুলেছে,তাই বা কতটুকু সত্য কিভাবে আমরা সাধারণ মানুষরা তা বুঝবো। (এই সম্পর্কে এই লিংকে কিছু আলোচনা আছে, দেখি পড়ে আরো লিংক দিতে পারি নাকি। দেখুন এই লিংকে , এই লিংকে ,এই লিংকটি অবশ্যই দেখুন, এখানেও একটু যান , )

মহাকাশের থেকে তারা যে পৃথিবীর গোলাকার ছবি তুলেছে বলে দাবী করে তা যে একদম মিথ্যা সেটার প্রায় অকাট্য প্রমাণ পাবেন এই পোষ্টের ১৫ ও ২৫ নং কমেন্টে। আলহামদুলিল্লাহ।

৬নং বন্ধু বললোঃ তাহলে তো দেখা যাচ্ছে, হুইল চেয়ারে বসে বসে থিওরী কপচানো বিজ্ঞানীদের কথার উপর ভিত্তি করে কোরআনে বিজ্ঞান খোঁজা ঠিক নয়।কোরআনে বিগ ব্যাং বা ব্ল্যাক হোল খোঁজা ঠিক নয়।কারণ এইসব থিওরী কপচানো বিজ্ঞানীদের তো কোন ঠিক নেই , আজকে যেটাকে "ঠিক" বলছে কালকেই সেটাকে "ভুল" বলতে পারে । তখন কি হবে? এই ব্যাপারে হালকা আন্দাজ পাবেন এই লিংকে গিয়ে ৪নং কমেন্ট ও সেটার জবাব দেখেন। আলহামদুলিল্লাহ।

৭নং বন্ধু বললোঃ তবে সব বিজ্ঞানী আর বিজ্ঞানের সব শাখাকে এক মাপকাঠিতে বিচার করা ঠিক হবেনা। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ আর গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে বিরাজমান যেসব নিয়ম আবিষ্কার করেছেন, বা বিভিন্ন বস্তুর বা রশ্মির বা শক্তির মধ্যে সৃষ্টিকর্তার দেয়া যেসব
গুন ও বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছেন এগুলো সব দেশের বিজ্ঞানীরাই পরীক্ষা করে দেখতে পারে, এবং বার বার পরীক্ষা করে দেখাও হয়েছে, প্রকৃতির এইসব নিয়ম বা কোন বস্তুর গুনাবলী এগুলো চাক্ষুষ বিষয়, এগুলো যুগে যুগে পরিবর্তন হয় না। তো এসব নিয়ে যারা নিজেরা ভালো করে জানে তারা ইচ্ছা করলে এর উপর ভিত্তি করে কোন ধর্ম গ্রন্থের সত্যাসত্য যাচাই করতে পারে। এটা গেলো একটা দিক। বিজ্ঞানের আরেকটা ধারা হলো ,
(১)ধরো বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ আর গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে কোন একটি ঘটনা ঘটতে দেখলেন, যেই ঘটনাটি ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করা যায় কিন্তু এই ঘটনার পিছনের কারণটি চাক্ষুষ নয় (২)অথবা ধরো বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে বা গবেষণাগারে কোন একটি পদার্থ বা শক্তি বা রশ্মি পেলেন এবং সেগুলোর বিভিন্ন গুণ, বৈশিষ্ট্য বের করতে পারলেন, যেগুলো চাক্ষুষ বিষয়; কিন্তু এই পদার্থ বা রশ্মিটি দেখার অতীত অতি ক্ষুদ্র পর্যায়ে আসলে কি দিয়ে তৈরী, কিভাবে তৈরী সেটা কিন্তু চাক্ষুষ নয় এবং এই বস্তু বা শক্তির যেসব গুণ বাস্তবে পাওয়া গেছে, কেন তারা এই গুণ প্রদর্শন করছে সেটা কিন্তু পুরাপুরি চাক্ষুষ নয় । তো বিজ্ঞানীরা কিন্তু বসে থাকবে না, তারা কিন্তু এই উভয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ ঘটনার পিছনের অদেখা কারণ বা বস্তু ও শক্তির থেকে প্রকাশিত গুণ সমূহের অদেখা কারণ বের করার চেষ্টা করবেন। যদি তোমরা প্রশ্ন করো যে,এই অন্তর্নিহিত কারণ না জানলেও তো আমারা ঐ প্রকৃতির নিয়ম বা বস্তুর গুণসমূহ থেকে উপকার পাবো, তাহলে কেন এই নতুন ধারার গবেষণা? এর উত্তর হলো , (১) বিজ্ঞানীদের জানার স্পৃহা (২) এই অন্তর্নিহিত কারণগুলো বের করতে গিয়ে যখন পরীক্ষাগারে গবেষণা করা হয় তখন অনেক ক্ষেত্রে আরো নতুন নতুন প্রাকৃতিক নিয়ম বা শক্তি আবিষ্কার হয়ে যায়।

যাইহোক,বিজ্ঞানীরা ঘটনার পিছনের অদেখা কারণ বা বস্তু ও শক্তির থেকে প্রকাশিত গুণ সমূহের অদেখা কারণ বের করার চেষ্টা করতে গিয়ে বিভিন্ন হাইপো/থিওরী দেন ।এগুলো দিয়ে তারা পূর্বের আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক ঘটনা বা বস্তুর কোন গুণের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন যে কেন সেগুলো হলো। সেগুলো নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে, এবং এসব অনুমান করা, কল্পিত কারণ সমূহ বিজ্ঞান মহলে গৃহীত হওয়ার জন্য অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা আর যাচাই বাছাইয়ের পথ অতিক্রম করতে হয়। এখানেই এসে বিজ্ঞানের কিছু কিছু শাখার (বিশেষ করে বিবর্তনবাদ, মাহাকাশ বিজ্ঞান, কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর) নাস্তিক বিজ্ঞানীরা অপ্রমানিত থিওরীকেই গোঁজামিল দিয়ে ঠিক বলে প্রচার করে এবং এই থিওরীর বিরুদ্ধে কিছু আবিষ্কার হলেও তারা সেটাকে পারলে গোপন করে যায় বা উল্টাপাল্টা একটা ব্যাখ্যা করে দেয় এবং তারা তাদের নাস্তিক্যবাদী তালগাছ রক্ষা করার জন্য সবসময় অযৌক্তিক থিওরী দিতেই থাকে, একটাতে ধরা খেলে আরেকটা, সেটাতে ধরা খেলে আবার আরেকটা এভাবে চলতেই থাকে। তো এইসব জ্ঞানপাপী নাস্তিক বিজ্ঞানীদের জন্যতো আমারা সব বিজ্ঞানীকে খারাপ বলতে পারিনা।যদিও অন্য শাখাতেও এরকম কখনো সখনো ঘটতে পারে।


৮নং বন্ধু বললোঃ আরে তোমার এতসব বিশ্লেষণ বুঝতে এবং ঠিক বেঠিক যাচাই করতেও তো অনেক জ্ঞান দরকার। আর এইসব জ্ঞানও চাক্ষুষ হবেনা, সব ঐ তাদের লিখিত বই পড়েই হাসিল করতে হবে।আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য বিজ্ঞানীদের এই দ্বিতীয় ধারার থিওরী জাতীয় কথায় কান না দেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।কোন থিওরী নিয়ে ভালো করে পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে,আর কোনটা নিয়ে হয়নি; কোন বিজ্ঞানী জ্ঞানপাপী আর কে জ্ঞানপাপী না তা আমরা কিভাবে বুঝবো। তার উপর কথা হলো বিজ্ঞানীদের গবেষণার দ্বিতীয় ধারার কোন থিওরী গৃহীত হওয়ার পরও আবার তা ভুল প্রমাণিত হওয়ার বা কমপক্ষে সংশোধিত হওয়ার সম্ভাবনা কখনোই শেষ হয়ে যায় না। এমনও হতে পারে কোন থিওরী ১/২ হাজার বছর পরেও ভুল প্রমাণিত হতে পারে।কেননা তখন আজকের যুগের চেয়ে মানুষের পর্যবেক্ষণ শক্তি অনেক বেশী হবে।

((সবার প্রতি মাথা ঠান্ডা রেখে মন্তব্য করার অনুরোধ রইলো যে, কোন কোন বন্ধুর উক্তির ব্যাপারে আপানার আপত্তি আছে।আসলে আমি মূল যেই বিষয়টি প্রকাশ করতে চাচ্ছি সেটা হলো,একজন সাধারণ মানুষ এইসব বৈজ্ঞানিক থিওরীর কথা শুনে কিভাবে ধাপে ধাপে তার চিন্তাকে এগিয়ে নিবে।এটা করতে গিয়ে এদিক সেদিক কিছু কথা বলেছি,কয়েক জায়গায় হয়তো বাড়াবাড়ি হয়েছে,কিন্তু সেটা যেহেতু মূল উদ্দেশ্য নয়,তাই সেগুলো নিয়ে বেশী ক্যাচাল না করলে মনে হয় ভালো। যাইহোক আপনারা সহজ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় ভুল শুধরে দিলে অবশ্যই তা মেনে নিবো। তবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি -সে যেই হোক- অন্ধ ভক্তি ও আবেগের কারণে যদি আপনি তাদের কথাকে নিজে যাচাই করার প্রয়োজন মনে না করেন,তাহলে সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু (১)আমাকে এই কারণে গালি দিতে পারেন না যে,আমি এমন লোকদের কথাকে নিজে যাচাই না করে মানতে নারাজ,যাদের কথার কোন ঠিক ঠিকানা নেই এবং যারা বিশ্বস্তও নয়..............(২)আর প্রধান তিনটি ধর্মে বিশ্বাসীদেরকে অন্ধ বিশ্বাসী বলতে পারেন না। কারণ তারা -মূল মূল বিশ্বাসগত বিষয়গুলোতে,যেমনঃ সৃষ্টিকর্তা, পরকাল,বেহেশ্ত,দোযখ, ফেরেশ্তা,ভাগ্য ইত্যাদ ক্ষেত্রে- এমন লোকদের কথাকে বিশ্বাস করেছে যারা সমাজে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিলো, এবং তারা একেক দিন একেক কথা বলতো না........... এই হিসাবে তাদের অবস্থান আপনাদের চেয়ে তুলনামূলক বেশী যৌক্তিক।)) আলহামদুলিল্লাহ্‌

বিঃদ্রঃ ১৫ও ১৬ নং কমেন্ট দু'টি অবশ্যপাঠ্য।

বিঃদ্রঃ আমি যে বারবার যাচাই করে বিজ্ঞানের কথার উপর বিশ্বাস করতে বলছি; কিন্তু এটা কি সম্ভব বিশাল বিজ্ঞানের সব কিছু যাচাই বাছাই করা? ঠিক বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ অসম্ভব। আসলে সবকিছু যাচাই করার কোন দরকারও নেই। হ্যাঁ, যখন নাকি আপনি বিজ্ঞানের কোন থিওরীর উপর ভিত্তি করে ধর্মীয় কোন কিছুকে অবৈজ্ঞানিক বলবেন তখনতো আপনাকে অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে যে, আপানার ভিত্তি হিসাবে ব্যবহৃত থিওরিটি কতটুকু ঠিক বেঠিক। যেমন নাকি আপনি যদি জাহান্নামের শ্বাস নেয়া ছাড়ার কারনে শীত গ্রীষ্ম হওয়ার হাদিসকে অযৌক্তিক বলতে চান, তাহলে বিজ্ঞানীরা যে কারণে শীত গ্রীষ্ম হয় বলেন, সেটাকে আপনার ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
১৯টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×