বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ গত দুই মাস নিখোজ থাকার পর তাকে ভারতে আবিষ্কার করা থেকেই চলছে মহা গুন্জন। তার হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে বিএনপি কিছুটা সরব থাকলেও তাকে পাওয়ার খবরের পর থেকেই বিএনপি নিশ্চুপ, এতোগুলো দিনের মাঝে তাদের কাছ থেকে একটি কথাই পাওয়া গেছে 'সালাহ এর সাথে কথা বলে পরে জানানো হবে।'
তবে সালাহকে পাবার পর থেকেই কথা শুরু করেছে সরকার দলীয়রা। তবে এটার সুখের কথা যে, সালাহকে ভারতে পাওয়া নিয়ে কথা হলেও তা বাড়াবাড়ির পর্যন্ত গড়ায়নি এখনও। সে জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
সালেহ আহমেদকে ভারতে পাওয়া যাবার পর থেকেই কিছু কথা মনে খটকা লেগেছিল, যার জট কেটেছে অনেকটাই কিন্তু রয়েও গেছে বেশ কিছু।
*দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে তিনি নিখোজ, ভারতে আটকের পর যে ছবি পাওয়া গেছে তাতে তার দাড়ি খুব বেশী ছিল না। হয়তো দাড়ি কাটার সপ্তাহও পেরুইন। অপহরণকারীরা যদি তার এতোই যত্ন নেয়, তবে তাদের কারও মুখতো দেখার কথা, হতে পারে সে অপরিচিত কিন্তু দেখার কথাতো।
*তার দাবী অনুযায়ী তাকে চোখ বেধে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল। এর আগে দাবী করা হয়েছিল তাকে কালো মার্সিডিজ থেকে ফেলে রেখে গেছে, গাাড়ী দেখলেন কিভাবে? (যদিও তিনি নিজ মুখে এই দাবী করেননি)
কথা আরো অনেক কিছুই জানার আছে, যার জট খুলছে ধীরে ধীরে খুলছে। আশা করি খুব শীগ্রই খুলবে। সালাহ উদ্দীনকে উদ্ধারের পরদিনই সংবাদগুলোর শিরোনাম ছিল অন্যরকম। এখন কথা হলো, তিনি যদি আসলেই আত্বগোপনে থেকে বের হন তবে তবে বিএনপির প্লানমতোই চলছে। কারণ না হলে এভাবে ধরা দেবার দরকারই ছিল না। এসব বলার কারণ আমি আওয়ামী-লীগকে সর্বদা পাকা খেলোয়ারের রূপে দেখেছি, কারণ যাই হোন ঘটনার মূলে একদিন জানব বলেই আশা রাখলাম।