ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছি, আমাদের দেশের ৮০% লোকই কৃষিকাজ করে। এটা খুবই ভালো কথা সেই ৮০% এর অনেককেই একন নানা পেশায় লিপ্ত। কিন্তু কেমন আছে আমাদের কৃষকেরা?
গত বছর দেখেছিলাম, ঠাকুর গায়ে রাস্তায় আলু ফেলে তাদের প্রতিবাদ জানাতে। কারণ আলুর দাম ছিল খুবই কম, যদিও তখন ঢাকায় আলু কিনতে আমাদের অনেক টাকা গুনতে হয়েছে। এবার বাসায় গিয়ে ধান চাষীদের করুণ দষা দেখে আসলাম।
গ্রামে সাধারণত সবাই নিজের জমিতে ধানই চাষ করে বেশী। তা থেকে বছরের খাবারের চালের জন্য কিছু ধান রেখে বাকীটা বিক্রি করে দেওয়া হয়। অনেককেই আবার ধার দেনা করে ধান চাষ করেছেন, আশা ছিল ধান বিক্রি করে দেনা পরিষোধ করেও থাকবে কিছু। কিন্তু তা আর হবে না, কারণ দামের দেখা নেই। ফসলের দাম যে একবারেই থাকে না তা নয়, যাদের সামর্থ্য আছে তারা গুদামজাত করে রাখে। পরে ভালো দাম এলে বিক্রি করে দেয়, কিন্তু ছোট চাষীরা?
আপনারা জানেন, বর্তমানে এনজিও এর সংখ্যা অনেক, তাদের কাছ থেকে লোন নিয়ে যারা চাষাবাদ করেছে তারা আছে আরো করুণ দষায়। এলাকায় ইরি ধান (ভালো নাম মনে নেই) এর মণ ৩৫০, আর অন্য ধান ৫০০ টাকা মণ। যেখানে গরুর মাংসের দাম ৩৬০ টাকা, হিন্দুদের জন্য খাসীর দাম বাদই দিলাম।
সরকার প্রতি বছর বাইরে থেকে চাল না কিনে যদি আমাদের কৃষকদের দিকে তাকিয়ে একটি ভালো দামে ধান কিনে চাল বানাতো। তবে যে পরিমান ধান আবাদ হয় তাতে আমরাই চাল রপ্তানি করতে পারতাম। বেশী কিছু না শুধু কৃষকদের বাচানো মন মানষিকতা থাকেই সব সম্ভব। কারণ যেদিন তারা অতিরিক্ত ধান আবাদ বাদ দিবে সেদিন চালের আনতে হবে বাইরে থেকে। আর এতো ভুট্টা বা গম দিয়ে কী করবেন বলুন, বাঙ্গালী একান্ত ঠেকায় না পড়লে তিনবেলা ভাতই খায়।