সুপারপাওয়ার বা পরাশক্তির কথা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এমন কোন গ্লোবাল পাওয়ার যা সমগ্র বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। একসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল এমনই একটি সুপারপাওয়ার। সে তার নৌশক্তিকে ব্যবহার করে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে প্রভাব বিস্তার করে। সৃষ্টি করে কলোনিজমের। ছড়িয়ে দেয় তার প্রবর্তিত সমাজব্যবস্থা, মুদ্রাব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ইত্যাদি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন সমগ্র ইউরোপ দেউলিয়ায় পরিণত হয়, তখন যুক্তরাস্ট্র আবির্ভূত হয় এক নতুন পরাশক্তি হিসেবে। ঘুরে যায় পৃথিবীর মোড়। হিরোশিমা নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরিত করে দ্রুত সানফ্রানসিসকো চুক্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন না করেও যুক্তরাস্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী হিসেবে সকল কৃতিত্ব নিয়ে যায়। তারপর শুরু হয় তার রাজত্ব। নৌশক্তির পাশাপাশি আকাশশক্তিতেও সবাইকে ছাড়িয়ে যায় সুপারপাওয়ার যুক্তরাস্ট্র। মাঝখানে সোভিয়েত ইউনিওনের সাথে যুক্তরাস্ট্রের টক্কর চলে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিওন ছিল যুক্তরাস্ট্রেরই মাস্টারমাইন্ড জায়োনিস্টদের সৃষ্টি। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চ ধ্বংস করে তার আধ্যাত্মিক হৃদয়কে চুরমার করে ফেলাই ছিল সোভিয়েত ইউনিওন সৃষ্টির উদ্দেশ্য। সম্পূর্ণ নীতিহীন রাস্ট্র সোভিয়েতকে একদিন না একদিন ভেঙে যেতেই হত। আর তারপর যুক্তরাস্ট্র হয়ে উঠল সমগ্র বিশ্বের অনলি ওয়ান সুপারপাওয়ার।
কিন্তু রাশিয়া আবার ধীরে ধীরে সোভিয়েতের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজেদের গড়ে তুলতে লাগল। ফিরে আসতে লাগল তার আধ্যাত্মিক পথে। পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে লাগল অর্থোডক্স চার্চ, মসজিদ ইত্যাদি। সামরিক দিক দিয়ে হয়ে উঠতে লাগল শক্তিশালী। চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে মিলে সে গড়ে তুলল ব্রিকস। চীনের সাথে মিলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মরণে পালন করতে লাগল ভিক্টোরি ডে যা নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাস্ট্রের একক বিজয়ী মতাদর্শকে প্রত্যাখ্যান করে।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে সমগ্র বিশ্ব দুটিভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক তো পশ্চিমা সাম্রাজ্য যার সম্রাট সুপারপাওয়ার যুক্তরাস্ট্র। আর দুই নাম্বার হলো প্রাচ্য সাম্রাজ্য যার সম্রাট সুপারপাওয়ার রাশিয়া। এই দুটি সুপারপাওয়ার খুব শীঘ্রই সংঘর্ষতে জড়াবে। আর পবিত্র কোরানের সুরা রুম অনুযায়ী, এই পারমানবিক মহাযুদ্ধে রাশিয়া বিজয় অর্জন করবে।
পবিত্র কোরানে চারটি সুপারপাওয়ারের কথা উল্লেখ আছে। এর মধ্যে দুটি বিশ্বাসী সুপারপাওয়ার, আর অপর দুটি অবিশ্বাসী সুপারপাওয়ার। বিশ্বাসী সুপারপাওয়ার দুটি হলো সুলাইমান (আ) এর ইজরায়েল এবং ইয়াজুজ মমাজুজদের বন্দী করা জুলকারনাইন। অবিশ্বাসী সুপারপাওয়ার দুটি হলো নমরুদের বাবিল ও ফেরাউনের মিশর।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫