ভূমিকাঃ
আমরা বর্তমানে যে বাংলাদেশে বসবাস করছি, সেই বাংলাদেশকে আমার এক দুর্বৃত্তকবলিত দেশ বলে মনে হয়। আমি প্রতিমুহূর্তে অনিরাপদ বোধ করি। একজন পুরুষ হিসেবেও আমি শারীরিক বা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করি। আমি কল্পনা করার চেষ্টা করি যে একজন নারী কতোটা অনিরাপদ বোধ করেন। ঢাকা শহরটিকে আমার মানুষের ভীড়ে একটি বিপদজনক শহর বলে মনে হতে থাকে। আমি কল্পনা করতে পারি একজন নারীর জন্য এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। নারী হিসেবে সমাজের শত সহস্র কুটিলতা তাকে সর্বদাই আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে।
একটি কিংবা অজস্র খবরঃ
একটি ভয়ঙ্কর খবর দিয়ে শুরু করি। সময়টা ২০১১ সালের জুন মাস। তপ্ত গ্রীষ্ম এবং খরার কাল, তাই একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধের খবর আমার বা আমাদের চোখে পড়ে নি। রাঙামাটির লংগদু এলাকায় একটি ধর্ষণ ঘটে। ধর্ষকের নাম ইব্রাহিম এলাহি। ধর্ষণের মামলায় ইব্রাহিম গ্রেফতার হয়, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও বিচার শেষে ইব্রাহিমের জেল হয়। আট মাস জেল খাটার পরে আদালতের কাছে আবেদন করায় ইব্রাহিম জামিনে মুক্তি পায় এই বছরের মে মাসের শুরুতে। জামিনপ্রাপ্তির পরপরই ইব্রাহিম লংগদুতে ফিরে যায়, সেখানে ধর্ষিতার ক্লাস ফোরে পড়ুয়া বোনকে (যে কিনা উক্ত মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী) পাহাড়ি ছড়ার কাছে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে। মেয়েটির বয়স এগারো বছর। এই ঘটনাটি ৯ মে, ২০১২-এর। পরের দিনই ইব্রাহিম ধরা পড়েছে, তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও খুনের আলামত পাওয়া গেছে।
খবর এইটুকুই। এবারে পাঠক, একটু ভাবুন তো, এই মামলার ফলাফল কী হতে পারে? আপনার কি মনে হয়, ইব্রাহিমের কেমন শাস্তি হতে পারে? একজন নাবালক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার শাস্তি কী? বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনি কি জানেন আইন কী বলে? এর পাশাপাশি এটাও ভাবুন, যে এই যে ক্রমাগত ধর্ষণ ও খুনের খবর আমরা পড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সমতল জনপদে, অর্থাৎ এই পুরো বাংলাদেশে, সেই মামলাগুলোর শতকরা কতো ভাগ মীমাংসা হয় কিংবা অপরাধীর শাস্তি পায়। মনে মনে একটু হিসাব করুন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের আরামদায়ক স্বচ্ছন্দ জীবনের বুদবুদে এই শতকরা হিসাবটি বেশ হৃষ্টপুষ্ট দেখাবে। হয়তো আমরা ভাবছি, প্রায় ৫০ ভাগ মামলা নিষ্পত্তি পায়, হয়তো আমরা ভাবছি এদের মাঝে খুনী ধরা পড়ে প্রায় আশি ভাগ, হয়তো আমরা ভাবছি তারা শাস্তি পায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অনেকে হয়তো ভাবছি তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডই দেয়া হয়।
আচ্ছা, এই চিত্রটা ঢাকার বাইরে কি আরেকটু ভাল? নাকি বিস্তীর্ণ বাংলা একটি ধর্ষণপ্রবণ ও খুনপ্রবণ এলাকা? আপনি নিজের এলাকা সম্বন্ধে একটু ভেবে দেখুন। দেখতে পাবেন, অসংখ্য নারী ও শিশু ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এই অপরাধ এতটাই অহরহ ঘটে চলেছে যে আমরা আর বিচলিত হই না। হয়তো আমাদের মত দেশে বেঁচে থাকাটাই সার্থকতা, তাই ধর্ষণকে গুরুত্ব দেই না (কথাটা অমানুষিক নির্দয় শোনালেও সত্যি)। অনেকের কাছে এই লেখাটি তাই অযথা মনে হতে পারে। মনে হতে পারে যে এতো এতো কঠিন সমস্যার মাঝে (যেমন ইলেকট্রিসিটি নাই, পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই, দ্রব্যমূল্য চড়া ইত্যাদি) এসব পুরানো সমস্যার আলাপ কেন? অন্য সমস্যা এবং এই অনেকের মতামতকে বিন্দুমাত্র খাটো না করেও বলতে পারি, এই অপরাধগুলো অমোচনীয় হয়ে উঠেছে। এই অপরাধগুলো বাংলাদেশের একটি ইমেজ দাঁড় করাচ্ছে আমার মনে, তা হলো ধর্ষক ও খুনীর। আমার মনে হচ্ছে, চারপাশে পোটেনশিয়াল ধর্ষক ও খুনী ঘুরে বেড়াচ্ছে! কোনই নিশ্চয়তা নেই, যে এরা হঠাৎ কেউ ক্ষেপে উঠে ধর্ষণ করবে না।
এরকম অজস্র খবর আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, প্রতিটি থানা, প্রতিটি গ্রাম থেকে ধর্ষণ ও খুনের খবর আসছে। আপাতত, আমি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু পরিসংখ্যান এখানে তুলে দিচ্ছি-
• বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী নারী ও শিশু ধর্ষণকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। (International CHT Commision Report: “Life Is Not Ours”, 1991)
• ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে ঘটিত ধর্ষণ অভিযোগের শতকরা ৯৪ ভাগ অপরাধী নিরাপত্তারক্ষা বাহিনীগুলোর সদস্য। ধর্ষণের অভিযোগগুলোর মাঝে শতকরা ৪০ ভাগ ধর্ষিতার বয়স ১৮ বছরের নিচে ছিল (জাতিসংঘের মতে, অনূর্ধ্ব ১৮ = শিশু) (‘Autonomy for Peace in the CHT’, Bangladesh, CHT Hill Women’s Federation, Bangladesh, 30 August – 10 September, 1995, UN World Conference on Women, NGO Forum on Women, Beijing.)
• ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আগে, ’৯১-’৯৪ সময়কালে প্রায় ২৫০০ আদিবাসী নারী ও শিশু সামরিক বাহিনী ও বাঙালি সেটলারদের হাতে ধর্ষিত হয়েছে। [Ume Mong, “Bangladesher Adibasi narider nirapatta: Parbattya Chattagramer adibasi pahari nari (Security of Indigenous Women in Bangladesh: Hill Women of the Chittagong Hill Tracts)”, Bangladeshe adivasi narir nirapatta (Security of Indigenous Women in Bangladesh), (Dhaka: Forum on Women in Security and International Affairs, 2000)]
• শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পরেও এই চিত্র একেবারে দূর হয়ে যায় নি। ২০০৭ থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারির ভেতরে ৬৬ জন আদিবাসী নারী ও শিশু বাঙালি সেটলারদের হাতে ধর্ষিত হয়েছে, যাদের মাঝে একজনের বয়স ছিল সাড়ে তিন বছর।
তথ্যসূত্র
আপডেট: এই তথ্যগুলো যে লেখা থেকে সংগৃহীত, তার লিংক ।
এই অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বাংলাদেশের আইন কী বলে – এবার একটু দেখি-
Punishment for rape
376. Whoever commits rape shall be punished with [imprisonment] for life or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine, unless the woman raped is his own wife and is not under twelve years of age, in which case he shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both.
সূত্র
বিস্তারিত
এই কঠোর শাস্তির নিয়ম আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। প্রয়োগ থাকলে ইব্রাহিমের মত নরকের কীট ছাড়া পেত না।
বদলের গানঃ
তাহলে এই সমস্যা দূর করার উপায় কী? আদৌ কোন উপায় কি আছে? নাহ। ভাল ভাল বুলি আউড়ে আসলে কোন লাভ হয় না। এই লেখাটি পড়ার পরপরই ওই ভাল ভাল কথা আপনি ভুলে যাবেন। আমিও ভুলে যাব। তারপর আবার দৈনন্দিন আলুপোড়াপুড়িতে ফেরত যাব। আর ভাল ভাল কথাও বোরিং জিনিস, তাই না? কাঁহাতক আর চেতনা, বিবেক, আদর্শের ‘প্যাঁচাল’ শুনতে ভাল লাগে!
আমি মনে করি, “অধিকার” ব্যাপারটি পুরোপুরি বুজরুকি। একজন মানুষের আপাতদৃষ্টে কোন অধিকার নেই। তার জীবন, জীবিকা, কর্ম, কীর্তি, বিত্ত ইত্যাদি তাকে জোগাড় করেই নিতে হয়। অধিকাংশ মানুষ মূলত এই বিষয়গুলো অর্জন করতে চেষ্টা করেন। কেউ তাকে যেচে পড়ে দেয় না। অধিকার মূলত ক্ষমতার সাথে জড়িত। যার ক্ষমতা বেশি, তার অধিকারও সবচেয়ে বেশি, অধিকার আদায় করার সুবিধাও সে বেশি পায়। তাই নারীর নিরাপত্তা এবং বেঁচে থাকার অধিকার তার নিজেকেই আদায় করে নিতে হবে। এজন্য দরকার নারীর ক্ষমতায়ন। কিন্তু এই ক্ষমতায়ন ব্যাপারটি আমাদের সমাজে ভুলভাবে ইন্টারপ্রিটেড হয়। প্রথাগত ক্ষমতায়নে আমরা মনে করি, নারীকে চাকরি বাকরি করতে দেয়াটাই তার ক্ষমতায়নের মূল ফলাফল। নারীর লিঙ্গের প্রতি পুরুষতান্ত্রিক গোঁড়ামো এর জন্য দায়ী। নারীকে একটি যোনি দিয়ে বিচার করা হয়, যৌনতার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এবং সন্তান-জন্মদানেই তার সর্বোচ্চ মহত্ত্ব – এমন একটি বানোয়াট ভূমিকা বানানো হয়। এর সবই প্রকাণ্ড পুরুষতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মনোভাব। এই মনোভাবের অংশ আমরা সবাই – নারী ও পুরুষ উভয়ই!
কিন্তু এই মনোভাব একদিনে বদলাবে না। আদৌ বদলাবে কি না, বদলের উপায় কি, সেটাও আমাদের পুরোপুরি জানা নেই। তবে আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই বদলের জন্য সর্বপ্রথমে প্রয়োজন নারীদের মনোভাব বদলানো। এই যে ভ্রান্ত-দাসত্ব, পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাগুলো তাদের চিন্তায়, মননে, কাজে, লক্ষ্যের ভেতর গেঁথে গেছে, সেটাকে একাগ্রতায় ভাঙতে হবে। এই ভাঙনের শুরু, আমাদের যৌথ বেদনা থেকে। নারী যেভাবে আক্রান্ত হয়, নিহত হয়, নির্যাতিত হয়, ধর্ষিত হয়... সেই প্রচণ্ড পরিস্থিতি থেকেই কেবল প্রেরণা আসতে পারে।
The Vagina Monologue (যোনি স্বগতোক্তি):
স্বনামধন্য লেখিকা ইভ এন্সলার রচিত দ্যা ভ্যাজাইনা মনোলগ (রচনাকাল ১৯৯৬) –এর ব্যাপারে আমি জেনেছি গত বছর। পুরো পাণ্ডুলিপিটি হাতে পাওয়ার পরে আমি রুদ্ধশ্বাসে পড়ে ফেলি। নারীর যৌনতা, তার আত্মবিশ্লেষণ এবং তার শারীরিক স্বকীয়তা নিয়ে স্বগত সংলাপ। এই সংলাপ আমার কাছে অনন্য মনে হয়েছে, অচেনা রাজ্য আবিষ্কারের মত – অকপট – স্বচ্ছ – নিবিড়। দ্যা ভ্যাজাইনা মনোলগের একটা বড় অংশ সামাজিক ট্যাবুকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করে। যে রাখঢাক এবং লুকোচুরি দিয়ে একটি অপরিহার্য বিষয়কে সমাজ ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘নেতিবাচক’ বানিয়ে রেখেছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ জরুরি। এই শতকে এসেও যে অন্ধকার আমাদের মনে জমে আছে, যে জড়তা আমাদের অথর্ব করে রেখেছে, সেই অন্ধকরের পেছনে মূল কারণ অজ্ঞতা। এই মনোলগটি যে কারণে অনন্য হয়ে ওঠে, সেটা হলো নারীর অভিজ্ঞতার সরাসরি বর্ণনা – কঙ্গো, বসনিয়া কিংবা নিউ ইয়র্কের একজন নারীর নিজস্ব কষ্ট, নিজস্ব নিপীড়ন যখন আমাদের সামনে অভিনীত হয়, তখন সেই অভিজ্ঞতা দর্শকের ব্যক্তিগত অনুভব হয়ে ওঠে। যেন তার ব্যক্তিগত ক্ষতের মুখ খুলে যায়। দর্শক ও অভিনেতা এই স্বগত সংলাপের ভেতর দিয়ে যুক্ত হয়ে পড়েন, তারা বুঝতে পারেন যে এই নিপীড়ন সার্বজনীন। এই যন্ত্রণার কোন দেশ – কাল – মানচিত্রের সীমানা নেই। বাংলাদেশের ধর্ষিত ও নির্যাতিত নারীর সাথে কঙ্গোর লিঙ্গকর্তনের শিকার নারীর কোন পার্থক্য নেই। দু’জনের অভিজ্ঞতা আরো অনেকের সচেতনতা ও রক্ষার মাধ্যম হয়ে ওঠে।
আশার কথা, এত নেতিবাচকতার মাঝেও ছোট ছোট আলোর রেখা দেখতে পাই। হঠাৎ এমন ঘটনাগুলো আশ্বাস দেয়, সাহস দেয়, পরিবর্তন একজন একজন করেই ঘটে। সম্প্রতি দ্যা ভ্যাজাইনা মনোলগের মঞ্চায়নের খবর পেলাম। নারীর জন্য প্রতিকূল জনপদে এমন মঞ্চায়ন হয়ত সেই পরিবর্তনের চিহ্ন। এই পরিবর্তন কিছু মানুষ আনয়নের চেষ্টা করছে। তাদের দেখাদেখি আরো আরো মানুষ জড়ো হবে। প্রতিটি পরিবর্তিত মানুষ শুভবোধের বিজয়ের চিহ্ন ধারণ করেন। অনুষ্ঠানে যারা অংশ নিতে চান, তাদের জন্য ইভেন্টের লিংক দিয়ে দিচ্ছি। বিস্তারিত সেখানে দেখে নিন।
ওয়ান-বিলিয়ন-রাইজিং:
সম্প্রতি একটি জরিপে জানা গেছে যে প্রতি তিন জনের একজন নারী জীবদ্দশার কোনো না কোনো সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পৃথিবীর জনসংখ্যা এখন সাতশ কোটি। অর্ধেক তার নারী, এবং তার এক তৃতীয়াংশ নির্যাতনের শিকার। অর্থাৎ প্রায় একশ কোটি নারী, নানাবয়েসী, নানাদেশী, নানাজাতির মানুষ নির্যাতিত হচ্ছেন। তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, যৌনাঙ্গ কেটে দেয়া হচ্ছে, অপহরণ করা হচ্ছে, নিপীড়ন করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। এই একশ কোটি মানুষ তো আমাদেরই কেউ না কেউ। হয়তো আমরা তাদের চিনি, যারা এই লেখা পড়ছেন, তাদের অনেকের পরিচিতের জীবনেই এমন ঘটনা আছে। এই অত্যাচারিতের শক্তি আমাদের যৌথ শক্তি হয়ে উঠুক। বিশ্বব্যাপী এক সার্বজনীন আর্তচিৎকার উঠুক আগামী বছর, ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ইভ এন্সলারের সাথে আমিও একাত্ম স্বরে বলতে চাই –
ONE IN THREE WOMEN ON THE PLANET WILL BE RAPED OR BEATEN IN HER LIFETIME.
ONE BILLION WOMEN VIOLATED IS AN ATROCITY.
ONE BILLION WOMEN DANCING IS A REVOLUTION.
*****
দ্রষ্টব্যঃ আইনী তথ্যগুলো দিয়ে সহায়তা করেছে ব্লগার একরামুল হক শামীম, তাকে ধন্যবাদ!
(*একই সাথে চতুর্মাত্রিক এবং ফেসবুকে প্রকাশিত*)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১২ সকাল ৭:২৭