কয়েকদিন আগে শূন্য আরণ্যকের ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেখেছিলাম গ্রেফতারকৃত যুদ্ধাপরাধী বিষয়ক, ধরা পড়া সাঈদী, নিজামী ও মুজাহিদের সামনে জেএমবি'র সাইদুর রহমানকে রিমান্ডে হাজির করা হলে সাইদুর হড়বড় করে নানান কুকীর্তির পেছনে এই ত্রিরত্নের ভূমিকা প্রকাশ করেছেন। জামাতের পালের গোদাদের নামে আরো নানান সত্য প্রকাশিত হবে বলে আরণ্যকও ধারণা করেছিলেন। সেই 'থলের বেড়ালে'র লেজের দেখা পেলাম আজ। দৈনিক যুগান্তরের শেষ পাতায় আর দৈনিক ইত্তেফাকের শেষ পাতায় রিপোর্ট এসেছেঃ যার থেকে সার সংক্ষেপ তুলে আনলাম। আমার নিজের তাৎক্ষণিক মতামতটাও দিয়ে দিচ্ছি সাথে। বাকিদের মতামত জানাতে পারেন।
১। নিজেদের রাজনৈতিক চেহারা ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক আচরণ জামাত নিজে না করে জেএমবি ও হিজবুত তাহরিরের ব্যানারে করেছে। এজন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ ও অন্যান্য সুবিধাদি তারাই সরবরাহ করেছে।
(এটা অবশ্য পূর্বানুমিতই ছিলো, এতো দিনে সেই অনুমান সত্যরূপ পেলো। জামাতের রাজনীতিতে ধর্মের ছিটেফোঁটা নাই, খালি তাদের দলের নামটি ছাড়া। এর বিপরীত যারা দাবি করেন তাদের জন্যে এটা একটা শক্ত উদাহরণ। জামাত এবং শিবিরের নাশকতা একাত্তর থেকেই জারি আছে। মাঝখানে শুধু তা ভোল পাল্টিয়েছে।)
২। সাঈদী বলেছে এবার তাকে ছেড়ে দিলে সে জামাত ছেড়ে ধর্মকর্মে মন দিবে। জামাতের কোন ষড়যন্ত্রের সাথে সে জড়িত ছিলো না বলে দাবি করেছে। একইসাথে জেএমবির জঙ্গি ভাগ্নে শহীদ স্বীকার করেছেন যে সাঈদীর নির্দেশে ড. হুমায়ুন আজাদের উপরে প্রাণনাশের হামলা করেছিল তারা ৪ জন। বাকি তিনজন হলো সানি (শায়খ রহমানের ভাই), বোমারু মিজান আর শিপন।
(সাঈদীর বক্তব্য শুনে মনে হলো শুয়োরের লেজে আগুন লাগলে সে কতোটা কুৎসিতভাবেই না ঘোঁৎ ঘোঁৎ করতে থাকে! এই বদমাশ এখন বমাল ধরা পড়ে রেহাই পেতে আবার ধর্মের পাজামা ধরে টানাটানি করছে। যেন আবার ধর্মের নাম নিলেই তার অপরাধ মওকুফ করা হবে। অবশ্য এটা নতুন কোন আচরণ না। এই ধর্মের নাম নিয়ে একাত্তরে ফাকিস্তানি বাহিনী তিরিশ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলেছিলো। সেই সময়ে টিক্কা খাঁন বলেছিলো আমি মানুষ চাই না মাটি চাই। আমাদের দেশের মানুষ তাদের চোখে 'প্রকৃত মুসলমান' ছিলো না। লুঙ্গি খুলে ফাক-হানাদারের চেক করছে সেই বীভৎস দৃশ্যটা সবাই-ই দেখেছেন। জামাত সেইসময়েরই নষ্টবীজ। তখন ফাকিস্তানিদের সাথে মিলে ধর্ষণ আর জবাইয়ের উন্মত্ততায় মেতেছিলো জামাত। আর এই সবের ঢাল বানিয়েছিলো ধর্মকে। এখনও বানাচ্ছে! একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে খুন করেছিলো, সেই একই নৃশংসতা তারা ২০০৪-এও দেখিয়েছে। এই ধরনের খুনের পীঠস্থান বাংলাদেশ হতে পারে না, ফাকিস্তান ও সে'রকম দেশগুলো হতে পারে।
একাত্তরের মতোন নৃশংসতার ইতিহাস জামাতের সুদীর্ঘ। সবচেয়ে নিকটের ঘটনাগুলো ২০০১ সালে তারা নির্বাচনে জেতার পরে হিন্দুদের উপরে ঘটানো অত্যাচার, ধর্ষণ, হত্যা।)
থলের বেড়ালের পুরো শরীর বেরিয়ে আসুক। জেএমবি আর হিজবুত তাহরিরের আড়ালে থাকা জামাতকেও রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা হউক।
১৯/৭/১০
====
খবরের খবর দিলেন সালমা রহমান । তাকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৯