নিয়তির মানদন্ড আমাকে বড্ড
একা করে দিয়েছে
কর্পোরেট দুনিয়ায় সবকিছু যখন
অর্থের পেছনে মোহগ্রস্ত
যখন নিলামে উঠছিলো ভিঞ্চির
মোনালিসা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কক্ষে
যখন গোগ্রাসে গিলা হচ্ছিলো
দস্তয়ভস্কি টলষ্টয় আর
শেক্সপিয়ারকে
শিল্প আর সাহিত্যকে
প্রেম আর কামকে যখন
মাপা হচ্ছিলো পুঁজিবাদের
বাটখারা দিয়ে-
তখনও পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে
আমি চাষাবাদ করেছি নিখাদ সবুজের
কপটতাহীন এক সভ্যতার বুননে
আমি রচনা করে গেছি
বিশুদ্ধ প্রেম আর কাব্যের;
বিষাক্ত বাতায়নে যুক্ত করেছি
পরিশুদ্ধ বায়ু
আমার লোকালয়ে বিশ্রাম নিয়েছিলো
পথ যাত্রায় ক্লান্ত হওয়া
কতো পথিক
এক গর্ভবতী হরিণী
আমার উপত্যকায় প্রসব করেছিলো
তার অনাগত ভবিষ্যৎকে
কতো যুদ্ধাহত বীর আশ্রয় নিয়েছিলো
আমার নিরাপদ ঢেরায়;
স্রোতের বীপরিতে গিয়ে
আমি এই অভয়ারণ্য তৈরি করেছিলাম
আমাদের জন্যে;
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দ্যাখো-
যান্ত্রিক জীবনের যান্ত্রিকতায় মিশে
তুমিও আজ রোবট সদৃশ এক নারী
যার কাম আছে
জৈবিক চাহিদা আছে
প্রেম নেই;
কিন্তু আমার প্রেম চাই
আমার সমস্ত সত্বা
সমস্ত সৃষ্টির বিনিময়ে হলেও;
নক্ষত্রদের সংঘর্ষে নিক্ষিপ্ত উল্কার দহনে
বিদগ্ধ হয়েছি কতো রাত;
অথচ, চাইলেই তুমি আমার আকাশের
একটি শ্রাবণ সন্ধ্যা হতে পারতে
কিংবা, জ্যোস্না প্লাবিত একটি রাত
আমার শহরের;