রহস্যময় কিছু ঘটনা-১
যারা আগের ঘটনাটা পড়েন নি তারা লিংক ধরে পড়ে আসতে পারেন।
সম্ভবত ২০০১ সালের কথা। বাংলাদেশ রেলওয়ের এক সার্কুলার ছিলো সেই সার্কুলারে এ্যপ্লাই করলাম পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরবো ট্রেনের টিকিট পাইলাম না বাধ্য হয়ে হোটেলে থাকলাম তিন বন্ধু মিলে। আমি একটি সিংগেল রুমে আমার বাকি দুই বন্ধু নিউটন আর আনোয়ার অন্য একটি ডাবল রুমে। রাত ১১টা বাজে সারাদিনের ক্লান্তিতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলাম। চোখে মাত্র ঘুম ঘুম আসছে কে যেন দরজায় নক করলো ভাবলাম দুই বন্ধুর কেউ। আবার ভাবলাম হোটেল রুমে শুনেছি রাতের বেলায় মেয়েরা নক করে জিজ্ঞাসা করে এটা কি রুম নং ১০১

কে? কে? ... বলে আমি লাফিয়ে উঠলাম। বাথরুমের দরজা খুলে দেখলাম ভিতরে কেউ নাই। রুমের দরজা খুলে দেখলাম কেউ নাই। এবার মনে মনে বল্লাম- রুনার কণ্ঠ আমি শুনি নাই আমি মনে মনে হয়ত তার কথা ভাবছি তাই তার কণ্ঠ আমার কানে ভাষছে। আবার সাহস নিয়ে শুয়ে পড়লাম বাথরুমের ভিতর মনে হলো কেউ হয়তো গোসল করছে ঝরনার পানির শব্দ শুনতে পাচ্ছি নূপুর বা চুরির শব্দ হবে হয়তো তাও শুনছি। মোটামুটি ধরে নিলাম পাশের রুমে কোন দম্পতি হয়তো উঠেছে তারা গোসল করছে আর সেই শব্দ রাত নিরব হবার কারনে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু শব্দ কোন ব্যাপর না মাথার উপর থেকে চাদর খুলে দেখি আমার রুমের এ্যাটাস্ট বাথরুমটার লাইট জলছে আর পানি পড়ার শব্দটা এখান থেকেই আসছে। লাইট কি আমি ই জ্বালিয়ে রাখছিলাম নাকি মনে করার চেষ্টা করলাম আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে আমি লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতে পারিনা তাই লাইট অফ করে অন্ধকার করে দিয়েছিলাম। দরজা আটকানো সেটা স্পষ্ট মনে আছে আমি ই করেছিলাম। কিন্তু গোসল সেরে তো আমি ঝর্ণা অফ করেছি তাছাড়া একটু আগেই তো দরজা খুলে ভিতরে উকি দিলাম তখন তো পানি পড়তে দেখিনি। রুমের লাইট জ্বালাইয়া বাথরুমের দরজা খুলতেই দেখি ঠিকই ঝর্ণা থেকে পানি পড়ছে। ভাবলাম কমদামী হোটেলের এই একটা সমস্যা লাইট অটো জ্বলে ওঠে আবার ঝর্ণা অটো চালু হয়।
ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি জানিনা ঘুম ভেঙ্গে দেখি সকাল ৯টা তাড়াতাড়ি পাশের রুম থেকে দুই বন্ধুদের ডাকলাম সকাল ১০টায় আমাদের ট্রেন। রেডি হয়ে নাস্তা খেয়ে স্টেশনে ঠিক ১০টায় পৌছে গেলাম। স্টেশনে গিয়ে দেখি ট্রেন ছেড়ে দিছে দৌড় শুরু করলাম হটাৎ ফাকা স্টেশনে কে যেন আমার ব্যাগ টেনে ধরলো আমি পড়ে গেলাম দুই হাটুতে প্রচন্ড ব্যাথা পেলাম। আমার অবস্থা দেখে বাকি দুই বন্ধু ও আর ট্রেনে উঠলো না আমাকে ধরে টেনে উঠলো আমি দেখি আমার পিছনে কোন কেউ নেই তাহলে কে আমার ব্যাগ টেনে ধরলো। চলে যাওয়া ট্রেনের দিকে তাকাতে ই স্পষ্ট দেখতে পেলাম জানালা দিয়ে রুনা হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে এবং মূখে তার বিজয়ের হাসি যেন সেই আমার ব্যাগ টেনে ধরে ফেলে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা বাসের টিকিট করে ঢাকায় আসলাম। বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো ...
আপনাদের হয়তো মনে আছে নরসীংদিতে দুইটি ট্রেন মূখোমূখি সংঘর্ষে অনেক লোক মারা গিয়েছিলো আমি সেই ট্রেনের যাত্রী ছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫