হাসি না আসলে আমার কিছু করার নাই কারন সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো মানুষ হাসানো। তাছাড়া আজকাল তো লাফিং ক্লাবের সদস্যরাও মন খুলে হাসেনা। তারা কিত্রিম হাসি হাসে। অল্পতে ই যারা হাসে তাদের অনেক রোগ হয়না তাই আসুন সুস্থ্য থাকার জন্য হাসি...

চুটকি নং (১) ঃ সুপার কঞ্জুস
এক ছিলো সুপার কঞ্জুস (হাড়কিপটে) । দিন দিন সুপার কঞ্জুস টাকা পয়সার মালিক হতে শুরু করছে। তাই তার বন্ধু বান্ধবের লেবেলটা ও পরিবর্তন হয়ে সব টাকা ওয়ালা বন্ধু জুটছে। সুপার কঞ্জুস দেখলো তার সকল বন্ধুরা প্রায়ই চাইনিজ (ফুড) খায়। তাই সেও চিন্তা করলো স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য তাকেও একদিন চাইনিজ খেতে হয় যে চিন্তা সেই কাজ আগামীকাল সকালে ব্রেকফাস্ট সে চাইনিজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। সকালে চাইনিজ খাবে তাই রাতে কিছু খেলোনা। পরদিন সকাল বেলা ৫০টাকা নিয়ে সুপার কঞ্জুস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ গেলো। ওয়েটার যখন খাবর মেন্যু এনে দিলো তখন তার চোখ বড় হয়







চুটকি নং (২)ঃ চাঁপাবাজ
একছিলো চাঁপাবাজ তার গ্রেট ছিলো ১২। আর পাশের গ্রামে ছিলো এক চাঁপাবাজ তার গ্রেট ছিলো ১৩। একদিন সকালবেলা ১২ চাঁপাবাজ গেলো ১৩ চাঁপাবাজ এর বাড়িতে। ১২ চাঁপাবাজ গিয়ে বল্লো দোস্ত বাড়ি আছো নাকি? তখন ১৩ চাঁপাবাজ এর ছোট্ট্ মেয়ে পিংকি এসে বল্লো আংকেল আব্বু তো বাসায় নাই। তো এতো সকাল বেলা কি জন্য এসেছিলেন? তখন ১২ চাঁপাবাজ বল্লো না থাক তুমি ছোট মানুষ তোমাকে বলে লাভ নাই। তখন পিংকি বল্লো আমার কাছে বলেন আব্বু বাসায় আসলে আমি আব্বুর কাছে বলবো। ১২ চাঁপাবাজ বল্লো এসেছিলাম তোমাদের পুকুর পাড়ের তালগাছটা কিনবো বলে সকাল বেলা মেছওয়াক করার জন্য কিছু পাইতেছি না তো তাই। পিংকি তখন বল্লো ওটা তো বিক্রি করা যাবেনা আংকেল। ১২ চাঁপাবাজ জি্জ্ঞাসা করলো কেন বিক্রি করা যাবেনা? তখন পিংকি বল্লো ওটা দিয়ে আমার আব্বু নাস্তার পরে দাঁত খিলাল করবে।
১৩ চাঁপাবাজ যখন বাড়িতে আসলো তখন তার মেয়ে পিংকি তাকে বল্লো যে আব্বু ১২ চাঁপাবাজ আংকেল আসছিলো তাল গাছটা কেনার জন্য ওনি নাকি ওটা দিয়ে সকালবেলা মেছওয়াক করব। ১৩ চাঁপাবাজ বল্লো তা তুমি কিছু বলোনি? পিংকি বল্লো আমি ছোট মানুষ আমি কি বলবো? ১৩ চাঁপাবাজ তো রাগেতে ফায়ার হয়ে গেলো মনে মনে ভাবলো আমি হইলাম ১৩ চাঁপাবাজ আর আমার মেয়ে হয়ে ১টা চাঁপা মারতে পারলোনা এই মেয়েতো আমার ইজ্জত সব খোয়াইছে। ও কে আর বাচায় রেখে কোন লাভ নাই এক্ষনই ও নদীতে ফেলে দেবো এই বলে মেয়ে কে ঘাড়ে করে নিয়ে নদীর কিনারায় নিয়ে গেলো। একমাত্র মেয়ে ফেলে দেবার আগে আর একবার জিজ্ঞাসা করা দরকার তাই সে আবার ও জিজ্ঞাসা করলো সত্যি করে বলো তো মা তুমি কিছু বলেছো কি না? তখন পিংকি বল্লো যে আমি বলেছি ওটা বিক্রি করা যাবে না ওটা দিয়ে আমার আব্বু নাস্তার পর দাঁত খিলাল করবে। ১৩ চাঁপাবাজ তখন হাপ ছেড়ে বল্লো এতোক্ষন কেন এই কথ বলিস নি এক্ষনই তো আমি তোকে নদীতে ফেলে দিতাম...
পিংকি তখন বল্লো আব্বু অনেক দিন তোমার ঘাড়ে ওঠে নদীর কিনারায় আসি না তো তাই..........

চুটকি নং (৩) ঃ রিসিপশান
গ্রাম থেকে একটি কুকুর ট্রেনে করে ঢাকায় আসছে। ঢাকায় আবার তার দুইটি বন্ধু কুকুর থাকে। বন্ধু কুকুরদুটি গ্রামের কুকুর দুটিকে কমলাপুর স্টেশনে রিসিপ করতে গেলো। যখন গ্রামের কুকুর টি ট্রেন থেকে নামলো তখন শহুরে কুকুর দুটি তাদের স্বভাবসুলব লেজ নেড়ে অভ্যর্থনা জানালো। কিন্তু গ্রামের কুকুরটি খেয়াল করলো তার বন্ধু কুকুর দুটি ডানে-বায়ে লেজ না নেড়ে উপরে-নিচে লেজ নাড়ছে। কারন জিজ্ঞাসা করায় শহুরে কুকুর দুটি বল্লো দোস্ত গ্রামে তো বহুত জায়গা ডানে বাড়ে লেজ নাড়ানো যায় কিন্তু ঢাকার শহুরে তো জায়গা কম তাই .......

কমন পড়লে আমার কোন দোষ নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪