somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতের রাতে ভাবির সাথে:)

০১ লা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাইয়র বিয়ার পর আমার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছিলো। কারন যাকে বিয়া করছে তাকে আমি আগে থেকে চিনি সে আর আমি একই স্কুল পড়া শুনা করেছি। এস এস সি পাশের পরে আমার ক্লাস ফ্রেন্ড আমার ভাবি হয়ে গেলো কি মজা! সেই থেকে যখনই কলেজ বন্ধ থাকতো চলে আসতাম বাড়িতে কারন ভাবির সাতে গল্প করার মত আর কোন কিছুতে এতো মজা পেতাম না। একদিন ভাইয়া বাড়িতে নাই (ভাইয়াকে আবার আমরা ভিষন ভয় পাই) সেই সুযোগে দু'জন পরামর্শ করলাম আজ রাতেই তাহলে ......


পরামর্শ মত রাত ১২টা বাজে এমন সময় ভাবি এসে আমার দরজায় নক করলো সংগে আমার ছোট বোন। আমি সজাগ ই ছিলাম সেই "শীতের রাতে ভাবির সাথে" চলে গেলাম পুকুর পাড়ে খেজুর গাছের রস পাড়তে। রাতে খেজুর রসের পায়েস খাওয়া হবে আহা কি মজা! আমি গাছে ওঠব এমন সময় ভাবি বল্ল দাড়াও আমি পুকুর থেকে পানি নিয়ে আসি। যতটুকু রস আমরা নেবো ওতোটুকু পানি ঢেলে রাখবো হাড়িতে। বুদ্ধিটা খারাপ না।এতে করে রস চুরি হইছে এই বিষয়টা গাছি টের পাবে না। ৫টা গাছের রস পাড়ার পর ছোট্র এক কলসী হলো তাই নিয়ে চলে গেলাম পায়েস রান্না করতে। ছোটবোনের উপর দায়িত্ব হলো রাতের বেলায় গাভীর থেকে দুধ চুরি করা। কিন্তু গোয়ালঘরে গিয়ে দেখা গেলো গাভীটা শুয়ে আছে অনেক চেষ্টা করে ও গাভিটাকে ওঠানো গেলোনা। ফলে ঘরে নারিকেল ছিলো তাই দিয়ে পায়েস রান্না করা হলো। ভিষন মজা করে খেলাম।

ভোর হতে না হতেই ভাইয়া বাড়ি চলে (মাহফিল শুনতে গেছিলো) আসছে আমরা ঘুমে থাকতেই। একটু পরে দেখি ভাইয়া এক কলস খেজুরের রস নিয়ে হাজির। ভাবি কে বল্ল আজকের রসটা না দেখো পানির মত পরিষ্কার হইছে তাই নিয়ে নিলাম কাল গাছিকে দিয়ে দেবো। এক কাজ করো ময়নার মাকে বলো গাভীটার দুধ যেন সকাল সকাল দোয়ায়। দুধ দিয়ে খেজুর রসের পায়েস রান্না করবে আজ। আমি বল্লাম সত্যিতো ভাইয়া আজ রস এক্কেবারে পুকুরের পানির মত পরিষ্কার হইছ:)

আর একটি মজার ঘটনা

আমার সবচেয়ে বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি ঝালকাঠি পশ্চিম পার পালবাড়ির খেয়া পার হয় যেতে হয়। যারা ঝালকাঠির আছেন অবশ্যই লোকেশান টা চিনছেন। না চিনলে অসুবিধা নাই আসল কথায় আসি। সেই সময়টাতে বিয়াই বিয়াইনের মধ্যে বেশ রস হতো (এখন হতো তবে আমাদের সময় হতো) এই তো বেশিদিন আগের কথা না ১৯৯৩ সাল তালই বাড়ি বেড়াতে গেছি পরদিন দুই বিয়াইন ধরছে বিয়াই মোরা ছবি দেখমু। হলে কি ছবি চলতেছে? ওরা বল্ল নাম জানিনা তয় শাবানা আছে। ঝালকাঠি তখন দুইটা হলো একটা "পলাশ" আর একটু "মিতু"।আমি রাজি হলাম শর্ত হলো আর এক চাচাতো বিয়াইন আছে তাকে ও রাজি করাতে হবে তাকে নিয়ে যাবো (মনে মনে তাকেই একটু বেশি পছন্দ করি:P)। মিতু হলে ছবি দেখতে গেলাম ছবির নাম "প্রায়াশ্চিত্ব"। ৬ টা থেক নয়টার শো ভিতরে ঢুকে দেখি ছবি শুরু হয়ে গেছে লাইট ম্যানের আলোয় কোনমতে আমাদের সীটের লাইনটা পেলাম কোন ছিটে লোক বসা আছে আর কোন ছিট খালি কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা এমন সময় দেখলাম আর একটা ছিট খালি হলে আমি আর আমার ঐ চাচাতো বিয়াইন পাশাপাশি বসতে পারি। আর এতোগুলো টাকাদিয়ে টিকিট কিনেছি যদি পাশাপাশি বসতে না পারলাম আর রাজ্জাক শাবানা যখন গান গাইবে পর্দায় তখন যদি বিয়াইনের হাতার পাতার উপর রাখা হাত একটু শক্ত করে ধরতে না পারি তাহলে ই তো পুরা টাকাটাই জলে যাবে। সেই কথা ভেবে পাশের ছিটের ভদ্রলোক বল্লাম ভাইয়া আপনি কি একটু ঐপাশের ছিট টাতে বসবেন। ওমনি দেখি লোকটা তার বান্ধবী কে সাথে নিয়ে হল থেকে বের হয়ে গেলো /:)। আমি অবাক কি হলো? দেখি আমার বিয়াইন আমার কানে কানে বলছে ভাইয়া ..ভাইয়া। আরে কোন ভাইয়া লিপির ভাইয়া। মানে ঐ চাচাতো বিয়াইনের বড় ভাই। ঐ হালায় ও ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিলো আজ তা ধরা খাইলো সেই সাথে আমি ও পুরা ধরা খাইলাম /:)। ভালো লাগলে কমেন্ট দিবেন আরো আছে.....।


২১টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

লিখেছেন ডাঃ আকন্দ, ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ২:৩৮

বাংলাদেশ নিয়ে আমি বড়ো স্বপ্ন দেখি না , দেখা উচিতও না । প্রিয় এনসিপি তোমরাও বড়ো স্বপ্ন দেখতে যেয়ো না । কারণ যে দেশে অধিকাংশ মানুষ পরিবারতন্ত্র মেনে চলে ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিলিং আউট ইন মরোক্কোঃ ওস্তাদের সাথে বহু-প্রত্যাশিত মোলাকাত!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫



পূর্বকথাঃ আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে সেই ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে একটা পোষ্ট করেছিলাম মরোক্কোর তান্জিয়ারে যাওয়া নিয়ে.........বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!! শিরোনামে। সেই ভ্রমনের আসল সচিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭


বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা এই এক প্রশ্ন দিয়েই তাদের সকল অন্যায় অবিচারকে জাস্টিফাই করে আসছে। আমরা দেশের মানুষের মাঝে এই ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছি আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে মেয়র হবে না হবে, তাতে আমার কী আসে যায়!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮


একটা কথায় কতটা ক্ষোভ, হতাশা আর বাস্তবতার প্রতিফলন হতে পারে—এই একটুকু বাক্যই তার প্রমাণ। এটা নিছক কোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস না, এটা আজ হাজারো সাধারণ নাগরিকের কণ্ঠস্বর, যারা প্রতিদিন বাঁচার সংগ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভুল করি, বিপদে পড়ি= (প্রার্থনা)

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫



যখন তোমার বান্দা অহঙ্কারী হয়, তুমি তো তা দেখ,
কী শাস্তি আমার পাওনা হিসাবের খাতায় লেখ;
আমি হারাই পথের দিশা,
জীবনে নেমে আসে সহসা অমানিশা।

কখনো দাও রোগ বালাই,
কষ্টে ভোগে প্রার্থনায় তোমারেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×