তখন আমরা সার্কুলার রোড থাকি। ৯৭ সালে ঐ বাসায় উঠি আমরা। উঠার কয়েকমাস পর আমাদের বাড়িওয়ালাদের একটা মেয়ে হয় ডাক নাম সাবিবা। বরাবরই আমি বাচ্চাদের তেমন আদর করতাম না, আর কেন জানি বাচ্চারা আমাকে দেখলে ভয় পেত, আমার চেহারা কিন্তু ভয়ংকর না। যাহোক সাবিবাকে আমার আম্মা ছোট বেলা থেকেই খুব আদর করতো। মজার ব্যাপার হলো ৭/৮ মাস বয়স থেকে আমার মা'র কাছে সারাদিন থাকলেও কান্না-কাটি করতো না। এই ব্যাপারটার জন্য আমার মা ওকে বেশি আদর করতো। ওর সাথে আমার মজার কিছু ঘটনা আছে, যেগুলি এখনো মনে পড়ে। কয়েক বছর পরের ঘটনা তখন সাবিবা কথা বলতে পারে। ও প্রায়ই আমাদের বাসায় থাকতো, তো একদিন সকালে আম্মা অফিস যাবার আগে সাবিবাকে বলে গেল আমি বের হচ্ছি নাস্তা বানাতে পারলাম না ভাইয়াকে বলো আমি বলছি তোমাকে পরোটা বানায় দিতে। আমি ঘুমায় ছিলাম তখন। আম্মা চলে গেছে কিছুক্ষন পর টের সাবিবা আমার পিঠে ঠ্যালা দিয়ে বিছানায় জায়গা করে নিয়ে আমার পাশে শুয়ে পড়লো একা শুতে ভয় পাচ্ছিল তাই। আস্তে আস্তে দেখি পুরো বিছানায় জায়গা করে নিল আমি পড়ে থাকলাম এক কোনে।
হঠাৎ আমাকে ডাকলো ভাইয়া আম্মু বলছে ( ও ছোট বেলা থেকে আমার মা'কে আম্মু ডাকে, এখনো ডাকে।) আমাকে পরোটা বানায় দিতে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এখন খাবা? হু খাবো। কি আর করা রান্না ঘরে গিয়ে দেখি আম্মা অর্ধেক কাজ আগায় রেখে গেছে, আমি শুধু বেলা শুরু করলাম । আমি পরোটা যেবাবে বানায় সেভাবে না বানায়ে রুটি বানালাম তারপর তেলে ছেকে দিলাম হয়ে গেল পরোটা। সাবিবা খেলো কিছু বলল না। আম্মা আসার পর দেখি নালিশ করছে আম্মু ও আমাকে পরোটা বানায় দেয়নি।

আর একবার হঠাৎ কোথা থেকে একটা পার্কার কলম এনে বলল ভাইয়া এটা তোমাকে দিলাম তুমি লিখ এটা দিয়ে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কার কাছ থেকে আনলে? বলে সমস্যা নাই আমার কলম আমি তোমাকে দিলাম। আমি বললাম ঠিক আছে। পরে ওর মা'র কাছে শুনলাম ওদের বাসায় কলমটা পাবার বলছিল এটা আমি ভাইকে দিব। তো কি যেন হইছিল মনে নাই ঠিক ওকে কোন কিছু মানা করলেই আমার উপর চড়াও হতো মানে ঝগড়া করতো।


