ভার্চুয়াল লাইফ আসুন দেখি উইকি কি বলে !
A virtual world is an online community that takes the form of a computer-based simulated environment through which users can interact with one another and use and create objects.[1] The term has become largely synonymous with interactive 3D virtual environments, where the users take the form of avatars visible to others.[2] These avatars usually appear as textual, two-dimensional, or three-dimensional representations, although other forms are possible (auditory and touch sensations for example).[3][4] In general, virtual worlds allow for multiple users.
এক কথায় কম্পিউটার অন (+নেট) হলে যে জীবন/ বন্ধুত্ব ( এমনকি শত্রুতা) আছে না হলে নেই!
একালের অনেক আলোচিত শব্দগুলোর অন্যতম হলো ভার্চুয়াল লাইফ।
আমাদের সবারই সাধারন ধারনা রয়েছে যে এ জীবনটা কেমন। এর ভালো খারাপ দিক, গুরুত্ব, অগুরুত্ব আমাদের কার না জানা?
তাহলে কি ব্লগার সনি পারবেনা তার নিজের মতামত দিতে?

অবশ্যই পারবে


আসুন বহুল আলোচিত এই ভার্চুয়াল লাইফ নিয়ে কথা বলি কিছু এ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই।
আমার কিন্তু অলরেডি মোবাইলম্যানিয়া, ফেসবুকম্যানিয়া,ব্লগম্যানিয়া নিয়ে পোস্ট এসেছে কিন্তু তাও এরকম আরেকটি পোস্ট দেবার ইচ্ছাকে কোনভাবেই পারলাম না দমন করতে।
কারন কিছু ঘটনা , আমার আশেপাশে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যদিও আমি এক্সাটলি লোকেট করতে যাচ্ছিনা কোথায় কিভাবে কার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তবে যতটুকু ব্লগারদের জানালে যেভাবে জানালে আমার বক্তব্য পরিষ্কার হবে সেটা আমি জানাবো।
ভার্চুয়াল জীবনের সাথে জড়িত মানুষের সংখ্যা এখন নেহাত কম নয়। নিদেনপক্ষে একটি ফেসবুক একাউন্ট এখন কোন মাল্টন্যাশনাল কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ থেকে শুরু করে পৌছে গেছে এমনকি গ্রামের কোন দোকানীর নিকট।
আমরা সবাই প্রচুর অপিরিচিত এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হচ্ছি নানারকম চ্যাট রুম থেকে শুরু করে , ফেসবুক, ব্লগে । নতুন জিনিসের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আগ্রহ বেশী। বিশেষ করে যারা টিনএজার তারা আরো বেশী মত্ত।
এই ভার্চুয়াল লাইফে পরিচিত হওয়া সব মানুষকে যে আমাদের সমান ভালো লাগে তা নয়। কাউকে কাউকে আমাদের অনেক ভালো লাগে, কাউকে কম ভালো লাগে, কাউকে ভালো লাগে না এমনকি কাউকে কাউকে আমরা ঘৃনা করে বসি! এমনকি এখানে প্রেমও হয়!! কেউ পায় সফলতা, কেউ ব্যর্থতা।
ঠিক যেমনটা আমাদের বাস্তব জীবনে হয়।
তাহলে পার্থক্য আর এমন কি বাস্তব জীবন আর এই ভার্চুয়াল জীবনে?
পার্থক্য কি জানেন? পার্থক্য ১৫ আনাই!
ভার্চুয়াল জীবনে আমরা তখনই একটা মানুষের সংস্পর্শে আসতে পারি যখন জড়বস্তু কম্পিউটার টা অন করি এবং নেট কনেকশন নেই।
যদি কম্পিউটার টা না থাকে তাহলে তারা কেই নেই!
আপনার আশেপাশে শুধু তারা ই রয়ে গেলো যাদের বাস্তবজীবনে আপনার পাশে থাকার কথা।
আমাদের মাঝে অনেকেই ভার্চুয়াল লাইফে এতো বেশী এডিক্টেড যে বাস্তব জীবন থেকে হয়ত বা প্রায় বিচ্ছিন্ন মানে বাস্তব জীবনের মানুষগুলোকে ইগনোর করে চলেছে প্রায়।
আমরা এখানে প্রায়ই একটা মানুষকে জাজ করি একটা পোস্ট একটা ছবি বা কয়েকলাইন কথা দিয়ে, কিন্তু বাস্তবের একটা মানুষ কখনোই একটা ফেসবুকের ছবি বা ব্লগের একটা পোস্ট বা কিছু কমেন্ট নয়।
এটা এমন একটা জায়গা যেখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ ১৬ আনা।
কিভাবে?
ধরুন কেউ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলো চটপট এক কাপ চা বানিয়ে এখন চা খাচ্ছি, আর ব্লগিং করছি

আপনি ভাবলেন আহা লোকটি কত তড়িৎকর্মা!
কিন্তু বাস্তবে তার চা বানিয়ে হাতে তুলে দিয়েছে তার মেইড সার্ভেব্ট!!
কিন্তু আপনি কি তা জানলেন? সম্পূর্ন একটা ভূল ধারনা তাকে নিয়ে আপনার তৈরি হলো না কি?
আবার ধরুন আপনি একজন খুব শান্তশিষ্ট মানুষ, কিন্তু ব্লগে এসে একেকটা কমেন্টে এমন ইমো দেন আর এতো চটপটে কমেন্ট করেন যে মানুষ ভেবে নিলো আপনি চঞ্চল। আসলে সে তো তার উলটো!!
আবার আপনি হয়ত হাসছেন কিন্তু আপনি লিখে দিলেন আজ মনটা বড্ড খারাপ!!
কারো কি ক্ষমতা আছে এটা জানার যে আপনার মনের আসল সিচুয়েশন কি?
এখাণে একজন সুফি একটা চোর হিসেবে প্রমানিত হতে পারে, একটা ক্রিমিনাল একজন সুফি হিসেবে গন্য হতে পারে।
কারন একটাই এখানে আমরা যা করছি যা বলছি তা বাস্তব জীবন গিয়ে কেউ দেখে আসছেনা।
বা দেখা সম্ভবও নয়।
আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে সকাল কিরকম জীবনযাপন করেন, মদ,গাঁজা টানেন নাকি যমযম কূপের পানি পান করেন কারো পক্ষে কখনোই জানা সম্ভব না।
একেবারেই অসম্ভব তা বলছি না, কিন্তু এটা খুব কঠিন।
আসলে আমি কি বলতে চাই?
আমি আসলে বলতে চাই, যে কোন মানুষকে, যে কাউকে ভার্চুয়ালি পরিচিত হয়ে তাকে বন্ধু বানানো ভালো, ভালো সম্পর্ক থাকা ভালো তবে সম্পর্কের গভীরতায় যাওয়ার আগে অনেকভাবে একজন কে বিচার করা উচিৎ। আর শত্রুতা গড়ে তোলার ব্যাপারটা আসলেই খুব খুব বেশী হাস্যকর। আমার কাছে মনে হয় ব্লগে বা ফেসবুকে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের বাস্তবজীবনে আসলে কোন শত্রুই নেই কিন্তু শত্রু সৃষ্টি হয়েছে ব্লগে আসার পর। এবং তাঁরা এটা নিয়ে অনেক সিরিয়াসও। এমনকি ব্লগের কারো করা একটা কমেন্ট বা পোস্ট নিয়েও অনেক সময় চরম ইদুঁর দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়!!
সবচেয়ে কঠিন আর চরম সত্য একটা বিষয় আমাদের যেকোন প্রবলেম এ তারাই আমাদের কাছাকাছি আসতে পারে যারা আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে জড়িত, ভার্চুয়ালি কনেক্টেড কারো পক্ষে আসলে সম্ভব হয়না ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের কাছাকাছি আসা।
অধিকাংশ সময়ই অধিকাংশ মানুষের কাছে ভার্চুয়াল লাইফ হলো জাস্ট টাইম পাস, সমস্যা আসলে হয় তাদেরই যারা এটাকে অনেক সিরিয়াসলি নিয়ে নেয়, প্রায়ই তাদেরকে কষ্ট পেতে হয়, আরো মজার ব্যাপার হলো এই যে সে কষ্ট টুকু তে কেউ সমবেদনাও জানায় না প্রায়ই!!!
প্রেমের ব্যাপারটা বলি। ফেসবুক বা মোবাইল প্রেম নিয়ে যদিও অনেক আগেই আমার পোস্ট লেকা শেষ।
তবে দুটো ঘটনা বাস্তব ঘটনা বলি।
রংপুর কারমাইকেল কলেজের ছাত্রী মোবাইলে প্রেম গড়ে তোলে নওগাঁর এক ছেলের সাথে। প্রেমে এতটা পাগল হয়ে যায় সে একদিন সব ফেলে ব্যাগ গুছিয়ে ছুটে আসে নওগাঁয়। নওগাঁর আসার পর মেয়েটি যখন ছেলেটিকে কল করে ডাকে তখন দেখে যে ছেলেটির বয়স কোনভাবেই ১৪ এর বেশী না!!!
মেয়েটি ছেলের পরিবার কে ডাকে..ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবার কে ডাকে। পরে মেয়ের বাবা মা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
একটা ছেলে কতটা এডাল্ট কথা বলতে পারলে একটা মেয়ে এতটা ধোঁকা খেতে পারে ভাবা যায়?
আরো একটি ঘটনা।ঘটনাটি প্রায় একি রকম , তারপরও বলি।
চাঁদপুরের এক মেয়ে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে তোলে এক ছেলের সাথে, একটা সময় মেয়েটি আবিষ্কার করে সে যার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে সে আসলে একজন দোকানদার!!
কতটা ভয়ংকর ভাবে ভার্চুয়াল লাইফ মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে?
আমার লেখাটা শুধু ভার্চুয়াল লাইফে শেষ করতে চাইনা সাথে আরেকটি বিষয় যোগ করতে চাই তা হলো প্রযুক্তি এবং আমাদের নতুন প্রজন্ম।
হমমম মানুষের হাতেই তৈরী হচ্ছে নানারকম নতুন নতুন টেকনোলোজিকাল ইকুয়েপমেন্ট আর আরেক দল মানুষ এতে ধ্বংস হচ্ছে।
আসলে কিছু মানুষ তৈরী করে বাজারে ছাড়ছে নতুন সব প্রডাক্টগুলো আর বেশীরভাগ মানুষ হয়ে যাচ্ছে ছারখার।
আজকের নতুন প্রজন্ম এমনও হয়েছে এ পৃথিবীতে যে টানা ৭ দিন ভিডিও গেমস খেলে মরেছে, ল্যাপটপ আইপ্যাডের জন্য বিক্রি করেছে নিজের কিডনী।
আজকে এক্সপেরিয়া, কালকে আইফোন, পরশু গালাক্সি ট্যাব তরশু একই সাথে এপিঠ ওল্টালে ল্যাপটপ আর ওপিঠ ওল্টালে আই প্যাড না কিনলে অনেকের স্মার্টনেস চলে যায়।
তাহলে কি দাঁড়ালো?
স্মার্টনেস টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়? বা স্ট্যাটাস টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়?
ছেলেকে অ্যাপলের আইপ্যাড বছরে দুবার লেটেস্ট মডেলের মোবাইল, ল্যাপটপ কিনে দিয়েও শেষ স্বস্তি না পাওয়া এক বাবা আক্ষেপ করে বলছিলেন...'' আমি এই জেনারেশনের উপর হতাশ, একটা জেনারেশন আমি দেখছি সমানে মোবাইলের বাটন আর ল্যাপটপের বাটন টিপতে টিপতে আমাদের চোখের সামনেই ধ্বংস হয়ে গেলো..আচ্ছা কুত্তা তো এত হাড্ডির পিছনে দৌড়ায় না তোমারা যেভাবে নতুন একটা মোবাইল নতুন একটা ল্যাপটপের পিছনে দৌড়াচ্ছো!!.. নাহ এভাবে হয়না এটা কোন সুস্হ মানুষের জীবন না, আমাদের কেউ ক্ষাত বলছেনা আমরা এসব নিয়ে পড়ে নাই বলে, হয়ত তোমাদের টিচার তোমাদের বলছে, ওমুক সফটওয়ার ডাউনলোড করতে না জানলে বা চ্যাটিং করতে না জানলে বা মোবাইলে ভিডিও কল না করলে তোমাদের পড়ালেখা হবেনা..আমি হতাশ, কিভাবে ধংস করে দিচ্ছে ওরা তোমাদের!!!''
মূলত এ বাবাটির অসহায় আকুতি আমার মনে চরমভাবে দাগ ফেলে, উনি আমার প্রিয় কেউ, উনার অসহায় আকুতি এই পোস্টের পটভূমি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০১