অাশা
মনে আমার ছিলো আশা
হয়ে মুক্ত যাযাবর,
মুগ্ধ হয়ে দেখবো নদী
বিল, ঝিল গ্রাম-গ্রামান্তর।
বাংলার রূপ আর সোনালি
ধানের মধুর খেলা,
দেখে কাটবে যে আহা
আমার সারাটা বেলা।
সবুজ ক্ষেতের চারিধারে
ডাকবে কতো পাখি,
সেথায় যে রাখবো আমার
রঙিন দুটি আঁখি।
কতো রাখাল ছেলে যাবে
ধেনু নিয়ে মাঠে,
কৃষাণ যাবে ক্ষেতে আর
হাটুরে যাবে হাটে।
কোন নারী রাঁধতে যাবে
বটি নিয়ে হাতে,
হয়ত তার খুকুমনি
যাবে তার সাথে।
যদি ভাই আমি যাই
ছেড়ে রঙিন দুনিয়া,
আসব আমি আবার
সোনার বাংলায় ফিরিয়া।
১ লা জানুয়ারি ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
গাঙচিল
আমি হইব গাঙচিল, উড়িব আকাশে বাতাসে;
সবুজ বাংলার ওপর দিয়া যাইব কতো দেশে ।
নদীর কিনারে চুপিসারে বসিয়া রইব একা,
নদীর কালো জলে শাপলা শালুক যাইবে দেখা ।
ধানক্ষেতের মাঝ হইতে লইয়া যাইব ধান,
আমগাছের ডালে বসিয়া সজোরে গাহিব গান ।
শীতের দিনে মুগ্ধ হৃদয়ে দেখিব রসের হাঁড়ি,
আরও দেখিব খুকাখুকির মিষ্টি মধুর আড়ি ।
ফুলের বাগান হইতে লইব যে ফুলের ঘ্রাণ,
ফুলের সেই মিঠে সুবাসে ভরিবে আমার প্রাণ।
আধো রাতে আকাশেতে ভাসিবে যখন শত তারা,
দেখিব আমি অবাক চোখে, কত শোভন এ ধরা।
প্রভাতে দূর্বাঘাস ভিজিয়া রইবে শিশির জলে,
গায়ের শ্রান্তি দূর করিব বসিয়া তরুরতলে।
নদীর এপার ছাড়িয়া যদি যাহি কভু ওপারে,
শত দুঃখেও ভুলিবনা আমি এই ধরণীরে।
২৫ মে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
সন্ন্যাস
মনখানা মোর চঞ্চল, দেখিতে চাহে পর্বত মালা;
বৃহৎ নিখিল, কতো নদী নালা।
চাষির বাড়ির পূর্ব পাশে সুপারি বাগান,
নিত্য সেথায় শুনি পাখির কলতান।
কুল গাছে উঠে শিশু কুল পাড়ে,
জেলেরা হাওর হ'তে মাছ আনে ঘরে।
ক্ষেতে ক্ষেতে চাষিরা রোয়া রোপণ করে,
কেউ আবার সরিষা আনে ঝুড়ি ভরে।
সারি সারি কাশফুল ফুটে নদীর ধারে,
পানকৌড়িরা সেথায় দলে দলে উড়ে।
কিছুই দেখিনি, রইলাম গৃহে বন্দী জীবন ভর;
জানা হলোনা কিছুই, রইলো সব অগোচর।
গৃহ মাঝে থেকে দম হলো বন্দ,
শ্বাসকষ্ট পাই, নাহি মনে আনন্দ।
হ'তে যদি পারিতাম আমি সন্ন্যাস,
ঘুরিতাম দ্বারে দ্বারে, দেখিতাম পৃথিবীর উল্লাস।
১৮ ফেব্রয়ারি ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ
বিঃদ্রঃ পোস্টকৃত লেখাগুলো অনেক অাগের; নিচের তারিখ দেখেই অবশ্য তা বোঝা যাচ্ছে । প্রথমটা তেরো বছর (অামার প্রথম কবিতা), দ্বিতীয়টা নয় বছর; অার তৃতীয়টা অাট বছর অাগের । সুতরাং, ভুল-ত্রুটি হলে অাগেভাগেই ক্ষমাপ্রার্থী!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:২২