কাঁপছো কেন, চন্দ্রিমা?
মেদহীন বাতাস হিমের রেণু এনে
তোমার দেহ তাপ নিচ্ছে বুঝি ছেনে
এই অবেলায়, এই প্রাক-শীতে
হিমেল হাওয়ায় কষ্ট কী হচ্ছে, চন্দ্রিমা
কাঁপছো যে খুব শীতল বহ্নিতে!
অথচ আমি তোমার যত জানি
শীতের সাথে মিতালি তোমার
অনেকখানি,
সেই যে তুমি গত পৌষে মেরুন হিমেলে
কানের মাকড়ি, নাকফুল ছুঁড়ে ফেলে
কিনেছিলে বালিহাঁস
কিনেছিলে একটা পাখির তোমার হয়ে উঠার
অনবদ্য ইতিহাস
শীতের শেষে সেই পাখিটা ঘরে ফিরে গেলে
তোমার চোখের কান্নার হিসেব
আমি জানি, তোমার নিশ্বাস
বেদনা পেলে কত দীর্ঘ হতে পারে!
চন্দ্রিমা, আমার জানতে ইচ্ছে করে
সেই বালিহাঁস এখনো কী
তোমার কম্পনাংক জানে,
কেমন সাথে কতখানি তোমার হিয়া কাঁপে
সেই পাখিটা এখনো কী জানে!
কাঁপছো কেন, চন্দ্রিমা!
এই শীতে আছি আমি - আমি আছি
তোমার কাছে, তোমার কাছাকাছি
চাইলে তুমি আমার বিনিময়ে
হ্যাঁ চন্দ্রিমা, আমার উষ্ণ রুধির বিক্রি হয়ে
একটা দুটো বালিহাঁস হতে পারে
কিংবা ধরো, অনুনাদ হয়ে গেলো
তোমার শরীর আমাকেও কাঁপালো
একই তালে, একই কম্পনে,
ভেঙে পড়ুক দেহের টানে কায়া
উড়ে যাক সব বালিহাঁসের ছায়া
চন্দ্রিমা, তুমি আমি মিলেই এবার
এই শীতকে উড়িয়ে দেবার
একটা গল্প সৃষ্টি হতে পারে
তুমি চাইলে মেদহীন বাতাস সাজবে দেখো
ফুলের রেণু। সেই রেণুতে স্পর্শখানি রেখো
আমার অধিকারে
তুমি চাইলে, এই শীতেই চন্দ্রিমাষু
তোমার আমার গল্প হতে পারে!