somewhere in... blog

আমার পরিচয়

কলম

আমার পরিসংখ্যান

পাপতাড়ুয়া
quote icon
আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2
আমার সকল পোস্ট (ক্রমানুসারে)

আত্মহত্যাপ্রবণ যুবকের প্রতি

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫২

সিগারেটের ভেতর সশরীর ঢুকে আত্মহত্যা করো যুবক
চারপাশে রাশি রাশি পোড়া তামাক ছড়িয়ে
পিস্তলের ঘর ভেঙে ছুটে যায় বুলেট
ভাঙা খুলি ফেলে রেখে যাও রাস্তায়

উদ্ভট দুপুরের রোদে মানুষেরা ফেটে কাঠ হয়ে যায়
আর সবগুলো লোকাল বাস বাড়ি ফিরে গেলে
তুমি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠো

আত্মহত্যা করো যুবক
মধ্যরাতের কোনো মদের পেয়ালায়
খুলির মানচিত্রে কাঁটাতার উল্টো ঝুলে থাকুক
দীর্ঘ হাতে বাজাও... বাকিটুকু পড়ুন

৯ টি মন্তব্য      ২১৪ বার পঠিত     like!

সার্কাস যুবতী কিংবা বীজ ফসিলের রাতে

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫১

পুরোনো কবরস্থান থেকে উঠে আসে বটগাছটার বীজ। কিংবা বীজের ফসিল। ডালে যে কাক রেখে গেছে নির্জনতার চিহ্ন, তার কা কা সুর ভেসে ভেসে যাচ্ছে দূরের অন্ধকারে। পাতারা এসময় দোল খায়। পাতাদের ঘরে পাখিদের ঘ্রাণ জমে জমে কখন কুয়াশা হয়ে গেছে আর ন্যাতানো পাহাড়ের কোটরে সঙ্গমরত এক জোড়া সাপ সেই কুয়াশার... বাকিটুকু পড়ুন

২০ টি মন্তব্য      ২৮৩ বার পঠিত     like!

নগর ও মাংসের বিবরণ

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:১৭

নগরে ঘুম যায় অনন্তদহনের পাখি, এখানে ওখানে সেখানে পাতা রেখে। পাখিদের চোখে রোদ মরে মরে যায় আর পাতামুনিয়ার ঘর বাতাস কেটে কেটে দোয়েলের শিস খুঁজে ফেরে। রোদ মরে মরে বাতাস কেটে কেটে অজস্র শেয়ালের চোখ মিশে যায় মানুষের অক্ষিকোটরে। রেটিনায় তার মাংসাশী সন্ধ্যার দীর্ঘ চিত্র।
আমি ও আমরা সেই নগরের নাগরিক।... বাকিটুকু পড়ুন

২ টি মন্তব্য      ২০৮ বার পঠিত     like!

প্রেমেজর্জর লিরিক

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

কিছু কথা রেখে গেছো
কথারা রোদে পোড়ে
শহরের ফুটপাতে
নতজানু হাটু গেড়ে

কিছু কথা তোমার বলা
জমে আছে বাতাসবনে
আবার দেখা হয়ে গেলে
কথার গোলাপ কিনে

আমি কখনো
গোলাপ কিনিনি আগে!

কিছু শব্দ তুমিই জানো
অর্থহীন আর্তনাদে
অভিমান কেন এতো
শব্দেরাও খুব কাদে

কিছু তুমি ভুল পাখি
চোখ রেখে বহু দূরে
মরা চোখে ঘাস বাড়ি
সারাটা উঠোন জুড়ে

তোমার ছায়াঘুম
কেউ তবু রাত জাগে। বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ১৯৮ বার পঠিত     like!

শব্দবতী সান্ধ্যকাল

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মেয়ে
জল পাপী

রাতে!

*

ফুল
ঝরে গেলে

সন্ধ্যা!

*
ধরো
হাত মুঠো

প্রেমে!


*
ঘুম
নেশা খুব

চোখে!

*
কান্না
রেখে দিলে

বহ্নি!


*
ছুঁয়ে
বুক ফুল

ঘুম!

*
স্পর্শ
লিখে রাখো

কামে!


*
আলো
ভাঙা পাখি

ভোরে!

*
ইচ্ছে
ফিরে যাবো

গ্রামে!


*
ভেঙে
সিটি গেট

মুক্তি!


*
আসো
হাত পাশে

ঘুম!


*
ঘাম
সারা দেহে

সুখ!


*
নখে
দীর্ঘ লেখা

পাপ!

*
তবু
সুশ্রী মায়া

তুমি!


*
পথ
ভুলে যাই

ঘর!


*
রাত
ডুবে যাই

মমে!


*
স্থির
জোড়া চোখ

খুন!


*
জাগে
সুপ্ততাপ

সেক্স!

*
পাতা
উড়ে ঝড়ে

ঘুড়ি!
বাকিটুকু পড়ুন

১ টি মন্তব্য      ১৭২ বার পঠিত     like!

মতিউরের চিঠি

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

প্রিয় মিলি

মাহিনের চোখে এখনো কি খেলা করে রোদ?

অগাস্টের আকাশে সারি সারি মেঘের ভীড়ে

উড়ে যাওয়া পাখির ডানায়

অথবা পাখির মত ডানা মেলা কোনো বিমান

হঠাৎ প্রতিচ্ছবি রেখে যায় কি তুহিনের রেটিনায়? ... বাকিটুকু পড়ুন

১০ টি মন্তব্য      ২৩১ বার পঠিত     like!

সন্ধানহীন পথের পরেই ভুল

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

তুমি কেবল আমার রোদের ভেতর চোখ ফেলে যাও! আমি জেনেছিলাম সন্ধ্যাপ্রদীপের আলোয় ভাসে সাত সবুজের গ্রহণকাল। তুমি কেবল আমার রোদের ভেতর...

এইসব বলতে বলতে পাথর কুড়িয়ে ঘুড়ি ভাসায় অনামিকা। অনামিকা আমাদের খোলনলচে অন্ধকারের বাহিরে বেড়ে উঠা ফুল। তার চোখের ভেতর হাজার পাখির ঘুম। ঘুম ফেলে দিলে অনামিকা আহত কবিতা।

*
সাত সমুদ্দুরের... বাকিটুকু পড়ুন

৯ টি মন্তব্য      ২৩৩ বার পঠিত     like!

মোল্লাকুটির অথবা আমাদের গল্পঘরে

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

নদীর মতো, কিন্তু নদী নয়, অথচ অনেক অনেক নৌকার মত গাড়ি ও কার্বন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে আকাশমুখী শুয়ে থাকা সড়কের গ্রীবা থেকে লম্বালম্বি প্রবৃদ্ধ চিপাগলির ভেতর আরো চিপাগলির গভীরে দাঁড়িয়ে থাকা দালানের সবচেয়ে উপরে, যেখানে পাখিরা সাধারণত অস্থায়ী নিবাস বানায় আর জানালায় তাকালেই নানাবিধ বিলবোর্ড ও বিলবোর্ড সুন্দরীগণ, সেখানে আমাদের... বাকিটুকু পড়ুন

৭ টি মন্তব্য      ২৪৪ বার পঠিত     like!

আত্মহত্যাপ্রবণ কবিতা

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

আজ রাতে যদি থামিয়ে দিস আসলেই
সব লেন দেন
জীবনের ট্রেন ঝিক ঝিক ছুঁয়ে ফেলে প্ল্যাটফর্ম
শেষ স্টেশানের

যদি ভাবিস আসলেই লিখে ফেলবি
ডেথনোট
তীব্র বর্ষাপতন ও বায়ুচিত্রের সর্বশেষ সংকলন
এবঙ তোর কিছু অপ্রাপ্তি

যদি ভাবিস আর কোথাও কিছু নেই বাকি
সব খেলা সব গল্প ফুরিয়ে
সব পাখি ঘরে ফেরে যেমন
ফিরে যাবি

তবে অনুরোধ তোর ডেথনোটে
শেষ স্টেশানের কোনো এক দেয়ালে
কিংবা বর্ষাচিত্রের... বাকিটুকু পড়ুন

৯ টি মন্তব্য      ১৬৪ বার পঠিত     like!

বাসমতি ঘ্রাণ

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

জীবনকে তুমি নিতে পারো রাত। এখানে ওখানে কত গল্প, কত স্মৃতি, অথচ কিছুই দেখা যায় না, বোঝা যায় না।

আমাদের এখানে গন্ধগোকুল পাওয়া যায়। গন্ধগোকুল ফন্ধ রেখে যায় বাতাসে। বাসমতি চালের গন্ধ। তুমি কী গন্ধগোকুল? তোমার শরীরে বাসমতি চালের ঘ্রাণ। আমি কখনো বাসমতি চালের ঘ্রাণ পাইনি। বাসমতি চাল চিনতে হলে নাকি... বাকিটুকু পড়ুন

২ টি মন্তব্য      ১৮৭ বার পঠিত     like!

রোদখুলির ভেতর অজস্র রামদা কিংবা গোলাপ ক্রয়বিষয়ক

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

রামদায় রেখে দিয়েছি নুনের ঘ্রাণ। ধবধবে হাতে কলমের ডগা ফেটে কালি লেপ্টে গেলে এক বিকেলের গল্প নোনতা লাগে আর পাখিভুলের পাপখাতায় লেখা হয়ে যায় অনবদ্য সন্ধ্যার ভেতর উড়তে থাকা এক ভাঙা আলোর খোলনলচে। এভাবেই কেউ কেউ রাতে ফেরে ঘরে আর গেলাসে তুলে রাখে রোদখুলি। উল্টো করে আঁকলেই সন্ধ্যাগুলো দুপুর হয়ে... বাকিটুকু পড়ুন

১৬ টি মন্তব্য      ২১৬ বার পঠিত     like!

মুক্তগল্প: কপিরাইট অথবা লুকিয়ে ফেলা উল্কি হাতে

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

এখানে রোদ পুড়ে যায় আর সন্ধ্যা হবার আগ পর্যন্ত পুড়তে থাকে। করোটিতে ক্রন্দনের ছবি রেখে চোখের পর্দায় আটকে থাকি অদ্ভুত সকাল। তুমি তোমার হাত খুলে নাও। আমি হয়ে যাব অচেনা কাক। শহরের একমাত্র পাখিটির নাম কাক।

তোমার আমার সস্তা চপ্পলের খোপে রাত দিন জমে উঠে উঠে গল্প হবার কথা, অথচ নিরেট... বাকিটুকু পড়ুন

৫ টি মন্তব্য      ১৮৪ বার পঠিত     like!

রোদগ্রামে যাত্রাবিরতির পর

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

তখনো ছিলো অন্ধকার
কিছু কিছু আলো নিয়ে আলগোছে উড়ে যাচ্ছে
কাকের ডানাগুলো
সারারাত জেগে ঘরে ফিরে যাচ্ছে তারা
ঘর নেই যাদের
সুবাসিত রুটির দোকান ঝাপ খুলে দিচ্ছে
নাকের বারান্দায়
আর দূরগামী বাসে বাড়ছে ঘুম ঘুম যাত্রী কোলাহল

কাকের ডানায় ফুরিয়ে গেছে আমার যাপনসীমা
ক্লান্ত পাগুলো আমাকে টেনে নিয়ে চলে
তারপর বাসের চাকায় চাকায় দিনের আলো বাড়ে
রোদের ভেতর চোখের খোপে জমে... বাকিটুকু পড়ুন

১৩ টি মন্তব্য      ১৫৭ বার পঠিত     like!

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

নীল সাদা রঙ মিশে গেলে পরস্পর
সকালের আলো হয়ে যায়

আলোর ভেতর ছড়িয়ে পড়ি আমরা
বিপ্রতীপ কোণে
তারপর একদিন সমান্তরাল দৃশ্যাবলি ভেঙেচুরে
আমার নীল মিশে যায় তোমার সাদায়

সেখানে রক্তের দাগ
নীল মৌমাছি সাদা ফুল
কোণ পরিমাপে এক বিকেল সমান
ভুল হয়ে যায়

এই রঙের নাম দিলাম শুভ্রনীলা

এভাবেই হোক দৃশ্যান্তর
তোমার শুভ্রতায় লেগে থাকুক আমার স্পর্শে নীল। বাকিটুকু পড়ুন

৪ টি মন্তব্য      ১৪০ বার পঠিত     like!

অশিরোনামীয়

লিখেছেন পাপতাড়ুয়া, ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

পথের রেখা মুছে ফেলে আলগোছে শিস
দিয়ে যাচ্ছো মোহনীয় অভিশাপ। কে তুমি?
অথচ আমার শৈশবচিত্রাবলি নিষ্কলঙ্ক ধানের
আল ধরে কুয়াশার ভেতর ঘুরে ফিরে
হঠাৎ আবিষ্কার করে ফেলা যৌবনের মতন!

পতনোন্মুখ গোড়ালিতে জমে গেছে ধসের বালিঝড়
আমি ভাঙিনি তবু ভেঙে পড়েছি অবলীলায়
কে তুমি ভাঙলে সান্নিধ্যের সব সরোবর?
পাতাদের পতন রেখে উড়ে গেলে পড়ে থাকে
অন্ধকার। হারানো হরিণীর ঘ্রাণ।

অহেতুক তবে... বাকিটুকু পড়ুন

৮ টি মন্তব্য      ১৭২ বার পঠিত     like!
আরো পোস্ট লোড করুন
ব্লগটি ১০৬০৪০ বার দেখা হয়েছে