১) কেন ব্লগিং করবেন
ব্লগিং করুন, নিজের চেতনা ও বিশ্বাসকে প্রকাশ ও পরীক্ষা করার জন্য। আমাদের কিছু বিশ্বাস শক্তি যোগায়, অধিকাংশই শক্তিকে রোধ করে! কিছু সংস্কার অস্তিত্বের কথা বলে, অধিকাংশই কুপমুণ্ডুক করে তোলে। কিছু ধারণা পথনির্দেশ হয়ে কাজ করে, অধিকাংশই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কিছু বিষয়ে আমাদের জ্ঞান পর্যাপ্ত, অধিকাংশ বিষয়েই আমরা জানি না। জানা ও না জানার মধ্যে উপযুক্ত সেতুবন্ধন এনে দেয় আত্মপ্রকাশের। আত্মপ্রকাশ না ঘটলে আত্মমূল্যায়ন হয় না। বিভিন্ন বয়সের বৈচিত্রময় রুচির বাঙালিকে নিয়ে গড়ে ওঠেছে বাংলা ব্লগ। আত্মপ্রকাশের সুপরিসর মাধ্যম! সবচেয়ে কার্যকর প্রেরণা পাওয়া যায় ব্লগ থেকে। ‘প্রাইসলেস প্রেরণা’ আসে সহব্লগারদের সাহচর্য্য থেকে। ব্লগ থেকে যে প্রেরণা পাওয়া যায়, রবীন্দ্র-নজরুল-শেইক্সপিয়র-ওয়র্ডসওয়র্থরাও তাতে হিংসা করতেন যদি বেঁচে থাকতেন। ব্লগিং করি সৃষ্টির জন্য। সমাজকে শুদ্ধতার পথে এগিয়ে নেবার জন্য।
২) কীভাবে ব্লগিং করবেন
ব্লগিং করার প্রযুক্তিগত বিষয় সম্পর্কে বলার আর কিছু নেই। টাইপিং আর ইন্টারনেট ব্যবহারের মৌলিক বিষয়গুলো জানা থাকলেই হয়। তাছাড়া, যে কোন ব্লগসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে লেখতে শুরু করা যায়। কেউ কেউ ফেইসবুকেও ব্লগিং জুড়ে দেয়। টুইটারে নিজের মনের কথা প্রকাশ করা যায় - ওটাও ব্লগিং। মাইক্রো ব্লগিং। নিজস্ব ব্লগসাইট থাকতে পারে ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে।
ব্লগিং করতে গিয়ে কী বিষয়ে লিখতে হবে, কীভাবে মন্তব্য করতে হবে এবিষয়ে ধারণা না থাকলে অবশ্য প্রযুক্তির দক্ষতা খুব কাজে আসে না। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে লেখা ও মন্তব্য করা প্রায় সমান গুরুত্বের। বাকি থাকলো, লেখার বিষয় ও লেখার মান। সৃজনশীল লেখক হলে লেখার গুণগত মান ‘প্রেরণা’ থেকেই আসে। কবিতা, ছড়া বা গল্প লেখায় হাত থাকলে শুধু লেখে গেলেই সেটাকে এক প্রকার ব্লগিং বলা যায়। কিন্তু পাবলিক ব্লগে ভালো লেখার পাশাপাশি কিছু বেইসিক এটিকেটও মেনে চলতে হয়।
৩) সৃজনশীল লেখক না হলে কী করবেন
নিজের স্বাভাবিক আগ্রহ অনুসারে যে ধরণের লেখা ভালো লাগে, সেগুলোতে নিয়মিত দৃষ্টি দেওয়া যায়। কারও কবিতা ভালো লাগলে, তিনি একান্তই কবিতার প্রতি মনযোগ নিবদ্ধ রাখতে পারেন। কবিতা পড়ে কবিতায় মন্তব্য দিন। মন্তব্য দিন আন্তরিকভাবে – প্রকাশ করুন নিজের অনুভূতিকে। কবিতার অর্থ লেখক আর পাঠকের জন্য ভিন্ন হতেই পারে। নিঃসঙ্কোচে নিজের মন্তব্য দিলে সেটি হতে পারে আত্মপ্রকাশের প্রথম মাধ্যম। একই কথা গল্প, ছড়া, ট্রাভেলগ অথবা প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মন্তব্য থেকেই লেখক হবার প্রথম তালিম পাওয়া যায়, যদি সেটি আন্তরিক মন্তব্য হয়। আন্তরিক মন্তব্য দেবার প্রথম শর্তটি হলো, অন্যের লেখাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা।
৪) লেখার ‘বিষয়’ কোথায় পাই
লেখার জন্য চাই পর্যাপ্ত পড়া এবং জীবনকে দেখার সুযোগ। যারা স্ব স্ব জীবনের অধিকাংশই দেখতে পেরেছেন, তারা হাতে কলম নিলেই তা যেকোন এক প্রকার লেখা হয়ে যায়। কিন্তু এটি একমাত্র পথ নয়। বই/সংবাদপত্র পড়ার আগ্রহ থাকলে, প্রিয় বই/খবরটি পড়ে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা যায়। কোন বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে, সেটি পোস্ট আকারে প্রকাশ করা যায়। কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রমণ করলে, তার বিবরণ লেখা যায়। দেখা সিনেমাটি মনে ‘দাগ কাটলে’ সেই দাগগুলো লেখায় ফুটিয়ে তোলা যায়। আজ একটি মজার/দুঃখের অভিজ্ঞতা হলো, সেটি নৈর্ব্যক্তিকভাবে লিখে রাখা যায়। নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি সবসময়ই অন্যের জন্য কৌতূহলের বিষয়। নিজের দেখা সমাজ ও রাজনীতি ভালো ও মন্দ দিক নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে লেখে গেলে, সেটি হবে নাগরিক সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মন্তব্যও এক প্রকার ব্লগিং। প্রাথমিক স্তরে থাকলে, নিজের পছন্দ মোতাবেক অন্যের পোস্টগুলো পড়া যায়। পড়ে সেখানে সুন্দর করে একটি প্রতিক্রিয়া রেখে আসা যায়। একটি মন্তব্য সংশ্লিষ্ট ব্লগারের পক্ষে একটি ‘ব্লগচিহ্ন’। ব্লগের কোন লেখা পড়ে তাতে আন্তরিক মন্তব্য দিলে একজন সুহৃদ বন্ধু লাভ করা যায়। তিনি আপনার মন্তব্যটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়ে তাতে প্রতি-মন্তব্য দেবেন। এখান থেকে মৌলিক লেখার হাতেখড়ি পাওয়া যায়।
৫) মন্তব্য কীভাবে দেবো
মন্তব্য হবে মনের মতো। যেভাবে আপনার মন চায়, সেভাবেই দেবেন মন্তব্য। তবে কোন লেখা পড়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হলে, সেখানে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ না করাই হবে বিচক্ষণতা। প্রতিক্রিয়া করলে প্রতিপক্ষ সৃষ্টি হবে। প্রতিপক্ষ বানাবার মতো স্বার্থবাদী প্রয়োজনীয়তা ইন্টারনেটে কখনও সৃষ্টি হয় না। নেহায়েত আত্ম-অহংকারের বিষয়। তাই এবিষয়ে একটিই নীতি, কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নয় – নো রিএকশন নীতি। পঠিত লেখাটি পুরোপুরি নেতিবাচক হলে, তাতে মন্তব্য না দেওয়াই উত্তম। আংশিক নেতিবাচক হলে, ইতিবাচক দিকটি নিয়ে মন্তব্য করা যায়। অন্যদের মন্তব্য পড়ে সংশ্লিষ্ট লেখক সম্পর্কে ধারণা হবে এবং মন্তব্য দেবার জন্যও নির্দেশনা মিলবে। এখানে একটু সতর্ক থাকতে হবে: অন্যের মন্তব্যের অনুকরণে নিজের মন্তব্যটি লেখা হবে বিপদজনক পদক্ষেপ। হিতে বিপরীত হতে পারে। অন্যের মন্তব্য দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত না হয়ে লেখায় নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশেই বেশি মনোযোগী হলে ভালো। অনেক সময় ব্লগারদের মধ্যে বিশেষ ইতিবাচক/নেতিবাচক সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের বিশেষ মন্তব্য থাকতে পারে। তাই মন্তব্য অনুকরণে সাবধান!
৬) মন্তব্যের উত্তর না দিলে কী করা উচিত
সততার বিকল্প নেই। অনলাইনে সততার ভাবমূর্তি সৃষ্টি করলে তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতির কিছু নেই। লেখার জন্যই যদি মন্তব্য দেওয়া হয়, তবে মন্তব্যের প্রতি-উত্তর না পেলে ক্ষতি কি? লেখার মানবিচারে মন্তব্য দিয়ে যাওয়াই হবে সততার পরিচয়। মন্তব্য না দেবার একমাত্র কারণ হতে পারে, লেখকের লেখাটি যথেষ্ট মানসম্পন্ন না হওয়া। এই যদি হয় মন্তব্যকারীর উদ্দেশ্য, তবে নতুন লেখকদের লেখাতেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য দেওয়া উচিত। নতুন লেখকদেরকে প্রেরণা দেবার জন্য একটু পক্ষপাতিত্ব করা যেতে পারে। অর্থাৎ ভালো লেখার চেষ্টা করা হলেও, সেটিকে স্বীকৃতি দিয়ে মন্তব্য দেওয়া যেতে পারে। নতুন লেখকেরা মন্তব্যের যথাযথ উত্তর নাও দিতে পারেন। নতুন লেখক বলতে নতুন নিবন্ধিত লেখক বুঝাচ্ছি।
৭) নতুন নিবন্ধনকারী লেখকদের প্রতি কেমন আচরণ থাকা উচিত
নতুন নিবন্ধনকারী মানেই যে নতুন লেখক, তা কিন্তু নয়। নতুন নিবন্ধিতরা অনেক ভালো লেখকও হতে পারেন। হয়তো কর্মজীবনের ব্যস্ততা অথবা ব্লগ সম্পর্কে না জানার কারণে আসতে পারেন নি। ব্লগে নতুন হলেও তাদের লেখায় পরিপক্কতা থাকতে পারে। অন্যদিকে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক এবং পুরাতন লেখকের লেখাও বালখিল্যতাপূর্ণ হতে পারে। কাউকেই তাচ্ছিল্যপূর্ণ বা অসম্মানজনক মন্তব্য করা উচিত হবে না। অন্যদিকে কমবয়সী লেখকের মধ্যেও থাকতে পারে প্রাপ্তবয়স্কের পটুতা। পুরোটাই জীবনবোধের ওপর নির্ভর করে। সকল অবস্থায় পোস্টের কনটেন্টসই হোক মান যাচাইয়ের মাধ্যম। ২০০৫ থেকে ২০১০ এর মধ্যে যারা ব্লগিংয়ে জড়িয়েছেন, অথবা যারা বিগত ৪/৫ বছর যাবত ব্লগিং করছেন, বয়সে কম হলেও তাদের অনেকে মন্তব্যে দুর্বিনীত বা অহংকারী হতে দেখা গেছে। এসব প্রবণতা নতুন ব্লগারদের আসা ও থাকার পরিবেশকে বৈরী করে তোলে।
৮) নিজের লেখায় প্রেরণাদায়ক/প্রাসঙ্গিক মন্তব্য পেলে কী করা উচিত
আন্তরিকভাবে এবং যথাসম্মানে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। মন্তব্যকারীর উদ্দেশ্য যা-ই হোক লেখকের জন্য এটি বিরাট পাওয়া। প্রকৃত লেখকের কাছে একটি মন্তব্য একটি প্রেরণা। অন্যের দৃষ্টিতে নিজেকে দেখা যে কতটা আনন্দের, সেটি ভালো লেখকমাত্রই বুঝতে পারেন। নিজের লেখায় অন্যের উপস্থিতিকে সম্মান করার মানে হলো মেহমানের সেবা করা। যথাসময়ে মন্তব্যের উত্তর দেওয়া উচিত এবং প্রতি-উত্তর হওয়া উচিত মন্তব্যের ক্রমানুসারে। ২০নম্বর মন্তব্যকারী যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন তিনি যেন ১২নম্বর মন্তব্যকারীর আগে উত্তর না পান। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হতে পারে, কিন্তু পরাম্পরায় যেন ভুল না থাকে। কেউ মন্তব্য দিতে শুরু করেও কিছু সময় বিরতি দিয়ে দিয়ে একেকজনের উত্তর দেন। পাঠক তার চতুরতা বুঝতে পেরে দুঃখ পান। পাঠকের মন ভাঙ্গা ব্লগ লেখকের জন্য কল্যাণকর নয়, কারণ এটি একটি ইন্টারএকটিভ ফোরাম। একদিন দু’দিন দেরি হতে পারে, অনলাইনে আসতে না পারলে মাসাধিকও দেরি হতে পারে। কিন্তু সময় নিয়ে একসাথে সকলের উত্তর দেওয়া এবং দেরিতে উত্তর দিলে দুঃখ প্রকাশ করা উত্তম স্বভাব।
৯) নিজের লেখায় পাঠকের পরামর্শ/সংশোধন পেলে কী করা উচিত
পরামর্শটি সঠিক না হলেও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা উচিত কারণ, পাঠকের উদ্দেশ্য যা-ই হোক, সকলের কাছে এর অর্থ হলো লেখার মানউন্নয়ন করা। পাঠকের পরামর্শকে ভুল বলার আগে বিভিন্ন উৎস থেকে যাচাই করে নিতে হবে, সকল দৃষ্টিকোণ থেকে সেটি ভুল কিনা। পরামর্শটি একান্তই ভুল হলে, বিনীতভাবে এবং অল্প কথায় সেটি বলা যেতে পারে। সঠিক হলে তো কোন কথাই নেই, ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা না বলে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। তবে যারা চোখ বন্ধ করে ইতিবাচক-নেতিবাচক সকল সংশোধন সম্মানের সাথে গ্রহণ করেন, তারা অনেক বিচক্ষণ।
১০) নিজের লেখায় তাচ্ছিল্যপূর্ণ/অসম্মানজনক/অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য হলে কী করা উচিত
‘নো রিএকশন নীতি’ মোতাবেক কিছুই করা উচিত নয়। (কারণ যতই লেখবেন, ততই ক্যাচাল বাড়বে। শেষে দেখবেন শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে দু’একটা কিল-গুঁতো দেবার খায়েস জাগতেছে। কিন্তু সেটি তো সম্ভব নয়। অতএব, অহেতুক খায়েস জাগিয়ে লাভ কী!) অন্য লেখক/পাঠকেরাই তার মূল্যায়ন করবেন। অন্তরটা একটু বড় থাকলে ধন্যবাদ বা শুভেচ্ছাও দেওয়া যেতে পারে, কারণ তার একটি মন্তব্য মানেই লেখার জন্য একটি ইতিবাচক সাড়া। মন্তব্যকারীর অসম্মানজনক মন্তব্য প্লাস লেখকের ধন্যবাদ: এর যোগফল যায় লেখকের পক্ষে। প্রতিক্রিয়া দেখালে সেটি অন্য লেখকদের মনেও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয়টি হলো, এতে লেখকের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। একান্তই যদি ‘রিএকশন নীতি’ অনুসরণ করতে হয়, তবে সম্মানের সাথে ‘মাত্র একবার’ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা যেতে পারে। এরপর একাধিকবার মন্তব্য আসলেও আর উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই। এসব বিষয় খেয়াল করেই প্রথম প্রতিক্রিয়াটি পরিপূর্ণভাবে দেওয়া উচিত।
১১) ব্লগসাইটের ব্যবস্থাপনায় বা সঞ্চালনায় অভিযোগ থাকলে কী করা উচিত
পাবলিক ব্লগ একটি সামাজিক ক্ষেত্র। বাস্তবিক জীবনে যেমন সমাজে আছে সমাজপতি আর মোড়ল, ব্লগেও তেমনি আছে। কুমিরের সাথে ঝগড়া করেও জলে বাস করা যায়। তবে কুমিরের মতো স্বভাব ও শক্তি থাকতে হয়। সেটি না থাকলে এবং ভবিষ্যতে মোড়ল হবার দুরারোগ্য ব্যাধি (মজা করে বললাম) না থাকলে, সংশ্লিষ্ট ব্লগসাইটের বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষকে জানানোটাই উত্তম পন্থা। এ নিয়ে আরেকটি পোস্ট খরচ করার মতো মোড়ল ব্লগারও আছেন। তাদেরকে সেটি করতে দেওয়াই উত্তম। তবে মজার ব্যাপার হলো, ব্লগ কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে পোস্ট দিলে তাতে প্রচুর হিট পাওয়া যায় এবং সহজেই বিখ্যাত হওয়া যায়। এসবের ভালো-মন্দ উভয় দিক আছে। ভালো দিকটি তাৎক্ষণিকভাবে আসে কিন্তু থাকে না। মন্দটি থাকে গোপনে অনেকদিন, চিরদিন। বিধিমোতাবেক জানাবার পরও কোন ফল না হলে এবং সমস্যাটি দুঃসহ ও সর্বজনব্যাপী হলে, সবকিছু মূল্যায়ন করে একটি পরিপূর্ণ পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। সেটি অভিযোগ পোস্ট হিসেবে নয়, স্থায়ি এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবন্ধ আকারে দেওয়া যেতে পারে। (৫ ডিসেম্বর ২০১৪)
উৎসর্গ: ৬ষ্ঠ বাংলা ব্লগ দিবস ২০১৪। ব্লগ ও ব্লগারের জন্য গতানুগতিক কিছু চিন্তাকণা উপহার হিসেবে নিবেদন।
------------------------------
ব্লগ ও ব্লগিং বিষয়ে সামু’তে প্রকাশিত আরও কয়েকটি পোস্ট:
ক. সংকলিত ব্লগ লেখার কৌশল
খ. ৩৯টি ব্লগিং অভিজ্ঞতা
গ. আধুনিক ব্লগারদের ১০টি প্রিয় ভুল
ঘ. লেখকের প্রতি পাঠকের আস্থা
ঙ. অন্যের পোস্টে সৃজনশীল মন্তব্য
চ. ‘মন্তব্য’ নিয়ে সামু’র সহব্লগারদের মন্তব্য
ছ. ব্লগার হিসেবে মালালা ইউসুফজাই
জ. ভারচুয়াল পারসোনালিটি – একটি আলোচনা
ঝ. বাংলা ব্লগের সম্ভাবনা
--------------------------
‘কেন ব্লগিং করবেন’ শীর্ষক অনুচ্ছেদটি লেখকের অন্য একটি লেখা থেকে উদ্ধৃত।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯