সংসারে কি কেবল সংসারী থাকবে?
এক-আধ গন্ডা বাচ্চা জন্মাবে
ভোর থেকে রাত অব্দি অর্থের পিছে ছুটবে
রাতে বাসায় ফিরে ঘড়ির কাঁটা ধরে খেয়ে
বিছানায় যাবে,
দেহঘড়ি ধরে খেলবে কিছক্ষণ বিছানার খেলা!
তারপর দেহের পাশে দেহ রেখে, লতার মতো দেহ জড়িয়ে,
ভোঁস ভোঁস করে নাক ডেকে ঘুমোবে-সকাল এসে চৈতন্যে শিস না বাজানো পর্যন্ত!
এরই ফাঁকে দু-একটি বিলম্বিত সন্ধ্যা বা রাতে
কেউ কেউ গোপনে শরীরের আড়মোড়া ভেঙে আসবে উপ-পত্নীর ঘরে;
পাঁচকান হবে না!
সংসারে কি কেবল এমনতর মানুষই থাকবে,
সংসার বিবাগী থাকবে না!
সংসারে কি মানুষ কেবল সুখের পিছেই ছুটবে?
সুখের পিছে ছুটতে ছুটতে কেউ কেউ অন্যের সুখ খুন করে, হরণ করে।
সব খোয়ানো সেই মানুষটির কি হবে?
সংসার তাকে নিয়ে উপহাসের পান্ডুলিপি রচবে নাকি
সে-ও হবে আরেকজনের সুখ হন্তারক!
সংসারে কি সবাই সুখ হন্তারক আর সুখের ধারক-বাহক হবে,
দুখের প্রতিপালক কেউ কি হবে না!
কষ্টের চোখে কাজল টেনে কেউ কি রাত জেগে
অন্ধকার খোদাই করে লিখবে না বিরহের কবিতা!
কিংবা দুঃখের দোতারায় কেউ কি তুলবে না কূল ভাঙা বিবাগী সুর!
সবাই কি কেবল সুখের উর্বর জমিনে বুনবে স্বপ্নবীজ,
কেউ কি বেদনার ধু ধু বালুচর-ঊষর জমিনে
পুতবে না দু-একটি দুঃখের বাদাম গাছ!
সবাই কি কেবল একই বাঁধানো পথে হাঁটবে?
ভিন্ন পথে, বন বাদারে হেঁটে হেঁটে যে আবিষ্কার করবে আরেক সভ্যতা;
তাকে নিয়ে কি তোমাদের সাজাতেই হবে-‘বাউন্ডুলে আখ্যান’!