অন্ধকার থেকে এসেছি, অন্ধকারেই ফিরে যাব।
শোষণের আস্তিনের গহ্বরে, আলো-আঁধারিতে ধাঁধিয়ে জনজীবন-
খুব তো চাইছো আলো দিতে জনপদে। একদিক অন্ধকার করে
আরেকদিক আলোকিত করা খুব কি কৃতিত্ত্বের কাজ!
আলো যদি দিতে চাও-পথশিশুর মুখে, কৃষকের পোড় খাওয়া চোখে,
শ্রমিকের হাড়ের গঠনে-আলো দাও।
আলো যদি দিতেই চাও-জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া
এ শহরের মানুষের জীবন খুঁজে এনে-তারপর দাও।
দশ মাস দশদিন তো কাটিয়ে এসেছি অন্ধকারে;
আবারো যে অন্ধকারেই ফিরে যাব না-
এই নিশ্চয়তা যখন কেউ দিতে পারছো না,
তখন বাঁচুক না ‘সুন্দরবন’!
তার পরিবর্তে যতটুকু অন্ধকার,
আমরা ঠিক সইতে পারবো।
সয়েছি তো কত অন্ধকার, সয়ে চলেছি এখনও
অন্ধকার থেকে এসেছি, অন্ধকারেই ফিরে যাব।
গোঁয়ার গন্ডারের খেয়ালের জুড়িগাড়ি চড়ে, তবে কেন- ‘সুন্দরবন’
অন্ধকারে রেখে যাব!