somewhere in... blog

আমার পরিচয়

আমার মাতৃভাষার নাম বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি । পৃথিবীর মাত্র তিন লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে । ভাষাটিকে ইউনেস্কো এনডেঞ্জার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে ঘোষনা করেছে ।

আমার পরিসংখ্যান

কুঙ্গ থাঙ
quote icon
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবী করছি...
আমার সকল পোস্ট (ক্রমানুসারে)

আজ ১৬ই মার্চ: ভাষাশহীদ সুদেষ্ণা দিবস

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০২

আজ ১৬ই মার্চ। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের মাতৃভাষা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৬ই মার্চ একটি তাৎপর্য্যপূর্ণ দিন। ২৬ বছর আগে এই দিনে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সুদেষ্ণা সিংহ নামের এক তরুণী ভাষাবিপ্লবী। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বেগবান হয় বরাক উপত্যকার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের ভাষা আন্দোলন। রাস্ট্র তাদের ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। আজকের... বাকিটুকু পড়ুন

৯ টি মন্তব্য      ১৬৫ বার পঠিত     like!

মণিপুরিদের রাস উৎসব: একটি ঐতিহাসিক ও সমাজতাত্ত্বিক পর্যালোচনা

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

আগামীকাল ১২ নভেম্বর ২০১৯ উৎযাপিত হবে মণিপুরিদের রাস উৎসব। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষ্ণ, চৈতন্য ও বৈষ্ণবভক্ত মানুষেরা এই পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বিভিন্নভাবে রাসলীলা উদযাপন করে থাকেন। রাসলীলা উদযাপনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এদেশের মণিপুরি জনগোষ্ঠীর। প্রায় ১৭৫ বছর ধরে মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার জোড়ামন্ডপে আয়োজিত হয়ে আসছে তাদের রাস উৎসব।



এক
কী... বাকিটুকু পড়ুন

৪ টি মন্তব্য      ৮৫১ বার পঠিত     like!

কেড়কেড়া ৷আকাশ প্রদীপ ৷

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১


কেড়কেড়া৷ মণিপুরিদের আকাশ প্রদীপ৷ কার্তিক মাস জুড়ে মৈতৈ ও বিষ্ণুপ্রিয়া বৈষ্ণবরা সন্ধ্যা হলে বাঁশের মাথায় বসানো লন্ঠন প্রজ্বলন করে বিষ্ণুর আশির্বাদ কামনা করে৷ উচ্চারণ করা হয় এই মন্ত্র- 'আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।' অর্থাৎ, আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ।

যারা... বাকিটুকু পড়ুন

১২ টি মন্তব্য      ৮৭০ বার পঠিত     like!

মণিপুরি শাড়ির ইতিহাস

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

মণিপুরি শাড়ি বলে আদতে কিছু ছিল না । শাড়ির প্রচলন মণিপুরি সমাজে কখনই ছিল না। মণিপুরি নারীদের ট্র্যাডিশনাল পোষাক হলো লাহিং বা ফানেক যেটা কোমরে প্যাঁচ দিয়ে পরতে হয়, সাথে ফুরিৎ বা ব্লাউজ, এবং ফিতুপ অথবা ইনাফি । ইনাফির উন্নত সংস্করন মৈরাংফি যেটা মুলত কারুকার্যখচিত উড়না বিশেষ। মণিপুরি শাড়ি এই... বাকিটুকু পড়ুন

৩ টি মন্তব্য      ২৩২৭ বার পঠিত     like!

মাইক সার্ভিস

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৪





ছোটবেলায় বিয়ে বা বনভোজনের অনুষ্ঠান হলে বড়রা মাইক ভাড়া করে আনতো ৷ হ্যান্ডলের মতো একটা জিনিষ ম্যানুয়ালি ঘুরাতে হত ৷ দম দেয়া শেষ হলে রেকর্ডটা ঘুরতো আর গান বাজতো ৷ আমরা মাইক সার্ভিসের চারপাশে ভীড় করে দাঁড়াতাম, আর রেকর্ডের ঘুর্ণন দেখতাম ৷ মাইকে নানান ধরনের রেকর্ড বাজতো ৷ আমরা মুগ্ধ... বাকিটুকু পড়ুন

৫ টি মন্তব্য      ৫১৪ বার পঠিত     like!

বালাঃ মণিপুরিদের একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি-সংস্কৃতি

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮



'বালা কাপানি' হলো কৃষিনির্ভর মণিপুরি সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি অনুষঙ্গ। যৌথ কৃষিপদ্ধতি মণিপুরিদের আদিম স্বয়ংসম্পূর্ণ সমাজব্যবস্থার অংশ ছিল। প্রাকৃতিক ভূমিকে যৌথ প্রয়াসে বাসভূমি ও চাষভূমিতে পরিণত করে চাষবাস এবং উৎপাদন প্রথায় ভোগ বন্টনও ছিল সাম্যভিত্তিক। লকেই-সাগেই-শিংলুপ ভিত্তিক সমাজে একমসয় ব্যক্তিকে ছাপিয়ে যৌথ চেতনাই প্রবল ছিল; পরস্পরের প্রতি সাহায্য... বাকিটুকু পড়ুন

৯ টি মন্তব্য      ৪০৬ বার পঠিত     like!

তুলসীতলার গল্প

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৬

তুলসীতলায় প্রতিদিন কুকুরটি এসে মুতে (শব্দটি অ-কুকুর সমাজে সেন্সরড হতে পারে) চলে যায়..



সকালে কিংবা বিকালে, কোন কোনদিন রাতের বেলা, সুযোগ বুঝে যখন কেউ দেখে না...



কুকুরটি পালিত নাকি বেওয়ারিশ, কেউ জানেনা...



এ সময়টিতে সাধারনত ধর্মকর্মের ধুম পড়ে... এখানে ওখানে মন্দির তৈরীর উৎসব চলে আর চতুর্দিকে লেগে থাকে পূজার্চ্চনা... এ সময়টিতে ঘরে ঘরে... বাকিটুকু পড়ুন

১৩ টি মন্তব্য      ২৯১ বার পঠিত     like!

আপোকপা

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৬





মণিপুরি ধর্মে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া বিষয়টি হলো আপোকপা উপাসনা। এজন্য মণিপুরীদের আদিধর্মকে অনেকে 'আপোকপা ধর্ম' হিসাবেও চিনে থাকেন। আপোকপা শব্দটি এসেছে মণিপুরি মৈতৈ ভাষার 'পোকপা' শব্দ থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ হলো ‘যিনি জন্ম দিয়েছেন’ বা ‘যার কাছ থেকে আমি সৃস্ট হয়েছি’। আদিধর্মে স্পস্ট ভাষায় পুর্বপুরুষকে দেবতা জ্ঞানে... বাকিটুকু পড়ুন

৮ টি মন্তব্য      ৫৩৭ বার পঠিত     like!

মণিপুরি ধর্মের উৎস ও বিবর্তন

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৩





মণিপুরি ধর্ম হলো মণিপুরিদের আদিধর্ম, মণিপুরিদের মধ্যে 'আপোকপা ধর্ম' বা 'সানামাহি ধর্ম' নামেও পরিচিত। ব্রিটিশ এবং ভারতীয় বিভিন্ন গবেষকের গবেষনা কর্মে এ ধর্মকে 'Manipuri Religion' বা 'Sanamahism' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাচীন এই ধর্মটি স্বাভাবিক ভাবেই তাদের আদিম সাম্যসমাজের সামগ্রিক জীবন-ভাবনা ও জীবনাচরনের অনুষঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। প্রাক-শ্রেণীসমাজের... বাকিটুকু পড়ুন

৮ টি মন্তব্য      ২৪৭৬ বার পঠিত     like!

বাংলাদেশের মণিপুরি সমাজ: তাদের আদিধর্ম ও ক্ষয়িষ্ণু সংস্কৃতি

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২৬

বাংলাদেশের অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের থেকে মণিপুরিদের জাতিগত সংকট ও বিপর্যয়ের চেহারাটা কিছুটা ভিন্ন। মণিপুরিরা বাস করে সমতলে- বৃহত্তর সিলেট, মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের নানান অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তারা এসেছে মণিপুর নামের একটি প্রাগৈতিহাসিক ভূখন্ড থেকে, যে ভূখন্ডটি ১৮৯১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে... বাকিটুকু পড়ুন

১৭ টি মন্তব্য      ৭৬২ বার পঠিত     ১১ like!

মণিপুরি বর্ষপঞ্জি সম্বন্ধে কিছু তথ্য

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৩১

মণিপুরি বর্ষপঞ্জি বা মারি-ফাম (মণিপুরাব্দ হিসাবেও পরিচিত) একটি চন্দ্রনির্ভর বর্ষপঞ্জি। বর্তমান ভারতের মণিপুর রাজ্যসহ আসাম, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে বসবাসরত মণিপুরিরা এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে। অষ্টাদশ শতকে মণিপুরের শাসকগোষ্টি তাদের নিজস্ব ধর্ম বিসর্জন দিয়ে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহন করার পর মহারাজ ভাগ্যচন্দ্রের শাসনামলে প্রাচীন মণিপুরি বর্ষপঞ্জির সাথে ভারতীয়... বাকিটুকু পড়ুন

১৭ টি মন্তব্য      ৪৫০ বার পঠিত     ১১ like!

শব্দকরদের বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:২৭

দরিদ্রতা এবং সভ্য সমাজের বিরূপতার শিকার হয়ে চরম বিপন্নতার মুখে পড়েছে শব্দকর জনগোষ্ঠি। হতদরিদ্র এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বাস বাংলাদেশের সিলেট ও মৌলবীবাজার জেলায়। সমকালীন ইতিহাসে দারিদ্রের যে সীমারেখা চিন্হিত করা হয় শব্দকরেরা তার চেয়ে অনেক নীচু অবস্থানে জীবন অতিবাহিত করে। স্থানীয়ভাবে তারা 'ডুকলা' নামে পরিচিত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত "বাংলাদেশের... বাকিটুকু পড়ুন

২১ টি মন্তব্য      ৩৮৬ বার পঠিত     ১৫ like!

ভুমির মালিকানা, স্বাধীন গারো রাজ্য এবং আধিপত্যবাদের কাছে গারোদের আদিম সাম্যবাদী সমাজের পতন

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ২৪ শে মে, ২০১০ রাত ১২:১৪

রামায়ন মহাভারতের মতো প্রাচীন মহাকাব্য এবং ভারতীয় পুরাণগুলোতে যাদেরকে 'কিরাত' আখ্যা দেয়া হয়েছে, মান্দি বা গারোরা হলো সেই সমাজের মানুষ। আর্যরা যখন শ্রেণীসমাজে উত্তরিত হয়েছে, বর্ণাশ্রম সৃষ্টি করে সুযোগ ও অধিকারের বৈষম্য প্রতিষ্ঠা করেছে, অনার্য কিরাতরা তখন আদিম সাম্য সমাজকে ধরে রেখেছে, গোষ্ঠীজীবনের উপর ভিত্তি করে সাম্যমুলক যৌথ চেতনার উত্তরন... বাকিটুকু পড়ুন

১৩ টি মন্তব্য      ১৮৯৮ বার পঠিত     ১০ like!

কয়েকটি মজার ছবি ও একটি কৌতুক (১৮+)

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৪
৬৭ টি মন্তব্য      ৬৭৩৪ বার পঠিত     ৪৭ like!

ধর্মান্তরিত আদিবাসীরা ভালো নেই

লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ, ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৬

ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশায় ধর্মান্তরিত হওয়া আদিবাসীদের একটি বড় অংশ দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। নিয়মিত আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ধর্মান্তর করার কিছু দিন পর অর্থ প্রদান বন্ধ করে দেওয়া এবং খ্রিস্ট ধর্ম শুদ্ধভাবে পালনে চাপ দেওয়ার কারণেই তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে ধর্মান্তর ঠেকাতে উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা গঠন করেছে 'আদিবাসী... বাকিটুকু পড়ুন

২১ টি মন্তব্য      ১১০৭ বার পঠিত     ১৭ like!
আরো পোস্ট লোড করুন
ব্লগটি ১২৪৬২৬ বার দেখা হয়েছে

আমার পোস্টে সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার করা সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার প্রিয় পোস্ট

আমার পোস্ট আর্কাইভ