আপনারা যে বিদ্যুৎ বইলা চিল্লান সেই বিদ্যুৎ কত পার্সেন্ট লোক ব্যবহার করে? বিদ্যুৎ আপনাদের ঠান্ডা করতে পারবে ঘরের মধ্যে, কিন্তু ঘরের বাইরে কে আপনাদের বাঁচাবে! সেইখানে আল্লাহতায়ালা তো বিশাল একখান দোযখ ফিট কইরা রাখছে সাত আসমানে। সেইটা থাইক্কা ভুরভুর কইরা তাপ বাইরাইতে থাকে। আমি সিউর, পনের কোটি মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৭ কোটি মানুষ দিনের বেলায় ঘরের বাইরে থাকে। এবং সবার কোন কাম নাই। চারআনার কামও নাই। রাস্তায় মানুষ দেইখা মনে হয় এই সাত কোটি মানুষই রাস্তায় ভিড় কইরা দাড়াইয়া থাকে। আরও মনে হয় কমপক্ষে ৩কোটি মানুষ তো হইবে সন্ধ্যার পরে শাহবাগ থেকে কাকলী পর্যন্ত রাজপথে গাড়ীতে ঝুইল্লা, শুইয়া ও বইসা পাঠাচোদার মত গাব খাইতে থাকে। মিরপুর দশ নম্বরে রাইত এগারোটা পর্যন্ত কমপক্ষে একশোকোটি মানুষ মনে হয় জ্যামে আইটকা থাকে। গরমের মধ্যে সিদ্ধ হইতে থাকা মানুষগুলার দীর্ঘ অপেক্ষা দেইখা জনসংখ্যা সেইরকম মনে হয়।
যা কইতেছিলাম এই যে বাইরে মানুষগুলা থাকে তাদের কারেন্ট দিয়া কি হইবে? তাদের পাছায় তো একটা কইরা এসি লাগানো নাই যে বিদ্যুৎ পাইলেই সে ঠান্ডা হইয়া যাইবে। কাজেই তাদের জন্য একটা বৃষ্টি দরকার। ধুপাইন্না বৃষ্টি, ঝড়-বৃষ্টি - একদম ফাডাইয়া হালানো বৃষ্টি....।
কিন্তু সরকার কি সেজন্য কিছু করছে? বিদ্যুত নিয়া তারা ব্যস্ত - কিন্তু বৃষ্টির জন্য কোন প্রচেষ্টা দেখতেছি না, কোন মিটিং নাই, সুশীলদের টকশো নাই, পাবলিকের আন্দোলন নাই। অথচ সাধারণ মানুষ যারা ঘরের মধ্যেই থাকে না - তাদের জন্য তো সরকারের বৃষ্টি উৎপাদন বা বর্ষানোর চেষ্টা করা উচিত। আর এটা এমন না যে - এর জন্য কোনো প্লান্ট বসানো লাগবে। আসমানে একজন পুরা মাল রেডি কইরা বইসা আছে। শুধু তার একটু হাত-পা ধরতে হবে। সরকার সৌদি আরব গেল, আরেকটু উপরে গেলে তো বিনাপয়সায় এই সাহায্যটা হস্তগত কইরা আনতে পারতো! আর বৃষ্টি হইল বিদ্যুত এরও দরকার হইবে না ঘরের মধ্যে। বাইরে যদি ঠান্ডা থাকে, ঘরও ঠান্ডা থাকবে - এইটা তো সোজা হিসাব।