নেট থেকে সংগৃহিত লালন
লালনের ধর্মপরিচয় নিয়ে কোন বাসনা ছিল না, না তার জবানীতে না তার গায়কীতে। তিনি বরঞ্চ জাতপাত নিয়ে বিচলিত ছিলেন। বৈশ্বিক মানবতার পূজারী লালন যেকোন ধর্ম প্রবর্তকদের থেকে এজন্যই এগিয়ে থাকেন শত মাইল সম্মুখে। ভাব অনুষঙ্গে মানুষের চিরন্তন নব-উৎকর্ষতা তিনি প্রকাশ ঘটিয়েছেন সুরে। এমন স্বর্গ তিনি আরশীনগরে খুঁজেছেন, হৃদয়ে পেয়েছেন নরকের সন্ধান।
বাংলার মাটি থেকে যুগান্তকারী ভাবনার ফসলে গোলা ভরিয়েছেন। বৈশ্বিক পরিবর্তনে দর্শনের উন্নততর ধারা থেকে সম্পূর্ণ বিযুক্ত থেকেও রবীন্দ্রনাথের অন্যতম প্রভাবক হয়েছেন। একজন লালন আমাদের বাঙালীত্বের মানবিক স্ফূরণ সম্পাদন করেছেন, সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে অনুভবের বাস্পায়ন ঘটিয়েছেন।
লালন আজ সেই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে স্খলিত। বাংলাদেশের মাটিতে ভূমিষ্ট কীর্তিমান মহাপুরুষ লালনের এই মাটি দিয়ে নির্মিত প্রতিমূর্তি আজ হটিয়ে দিয়েছে বৈদেশিক ভাবমূর্তির পূজারীরা।