স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের অহংকার।বাকী আট জন মুক্তিযোদ্ধার তিন জন হিন্দু এবং পাঁচ জন নামে মুসলিম। যেমন আমাদের সোনা (গাজী) ভাই এবং কামাল১৮ কাকা।অবশ্য সব মুক্তিযোদ্ধাই আমাদের জতীয় অহংকার।মুক্তিযোদ্ধা নয়, কিন্তু নামে মুসলিম হলো রানু ভাতিজা। রোজা না রাখলেও রানু তার ইফতার প্রীতি দিয়ে ইসলাম প্রীতি বজায় রেখেছে। এদিকে মোহাম্মদ গোফরান হলেন মডারেট মুসলিম।স্টিফেন ডব্লিউ হকিং হলেন নামে খ্রিস্টান।তিনি আমাদেরকে কৃষ্ণ গহবর চিনিয়েছেন। এদিকে কৃষ্ণ হলেন ভগবান।
কোন তারকার যদি যথেষ্ট ভর ও ঘনত্ব থাকে তাহলে তার মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র এত শক্তিশালী হয় যে আলোক সেখান থেকে নির্গত হতে পারে না। সেই তারকার পৃষ্ঠ থেকে নির্গত আলোক বেশী দূর যাওয়ার আগেই তারকাটির মহাকর্ষীয় আকর্ষণ তাকে পেছনে টেনে নিয়ে আসে।যদিও সেগুলোর আলোক আমাদের কাছে পৌঁছতে পারে না বলে আমরা সেগুলোকে দেখতে পাই না, তবুও সেগুলোর মহাকর্ষীয় আকর্ষণ আমাদের বোধগম্য হবে। এসমস্ত বস্তু পিন্ডকেই কৃষ্ণ (ভগবান) গহবর বলে। এভাবে যেদিকেই মানুষ যাক না কেন কৃষ্ণ গহবরের ন্যায় ধর্ম তাকে পিছন থেকে টেনে ধরে।সেজন্যই মনে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ধর্ম পিছন থেকে টেনে মুমিনীয় ও হিন্দুয়ানী লুক প্রদান করেছে। অবশ্য সোনা ভাই ও কামাল কাকার চেহারা না দেখায় তাঁদের লুক আমাদের দেখা হয়নি।সম্ভবত ধর্ম তাঁদের লুক পাল্টাতে পারেনি। এদিক থেকে তাঁদেরকে মহাবীর বলা যায়। কেউ আবার মহাবীর আখ্যা থেকে তাঁদেরবে বঞ্চিত করে কিনা সেজন্য হয়ত তারা তাঁদের লুক লুকিয়ে রেখেছেন।
ধর্ম যারা মানে তাদেরকে ধর্মভীরু বলে। ধর্ম মেনে অবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ধর্মভীরু হয়ে গেলেন। এর জন্য ধর্মহীন হয়ত আফসোস বলবে। তবে কে কি বলে তাই নিয়ে ধর্মভীরু ভাবে না।ধর্মভীরুতার মাঝেই তাদের শান্তি। সেজন্য গীতা পাঠককে বলতে শুনলাম ওমশান্তি। আর ত্রিপিটক পাঠক বললেন সাধু সাধূ। সাধু শান্তি সব ধর্মে বিধায় অবশেষে মুক্তিযোদ্ধাগণও সেদিকেই গমন করলেন।
সোনাভাই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কথা বলেন। অথচ তাঁর সহযোদ্ধারা অনেক স্থানে মাদ্রাসা ও সমজিদের পোষক। আমাদের মসজিদের সেক্রেটারী মহোদয় বীর মুক্তিযোদ্ধা। একজন মুক্তিযোদ্ধা তাঁর সহযোদ্ধাদের বিভাজনে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন। অবশেষে ডিসি মহোদয় তাঁদেরকে চেপে ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখালেন। তাঁরা নামাজ বলে চিৎকার করলেও দরজা বন্ধ থাকায় তারা যেতে পারেনি। গায়ক যদিও বললেন সব কটি জানালা খুলে দাওনা। কিন্তু অডিটোরিয়ামে জানালা ছিলো না, খুলবে কি? আর গানে দরজা খোলার কথা বলা হয়নি সেজন্য দরজা আর খোলা হয়নি। আমার এক ছাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলল? বিষয়টা কি? নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না কেন? আমি বললাম চেপে যাও। পাপ হলে ডিসির হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৭