somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

২৫ শে মে, ২০১০ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বটিয়া ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের অতি নিকটে অবিস্থত একটি গ্রাম। অথচ এই গ্রামের শিক্ষার হার খুব বেশী নয়।এই গ্রামে একটি মাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে অনেক বছর আগে গ্রামের অনেকগুলি বিদ্যাউৎসাহী তরুণের প্রচেষ্টার ফসল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হযেছিল এটি। এটি নিয়ে গ্রামবাসী গর্ব করতে পারে। কারণ সব গ্রামে স্কুল থাকে না। একটি দিক দিয়া বটিয়া গ্রামবাসী অত্যন্ত ভাগ্যবান যে তাদের গ্রামে একটি স্কুল আছে। যে গ্রামে একটি স্কুল আছে সে গ্রামের শিক্ষার হার যে ধীরে ধীরে বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে আগের তুলনায় অনেক ভাল ভাল শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার মান যে বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এই বিশেষ সুযোগ গ্রামবাসীকে কাজে লাগাতে হবে।

কিন্তু একটি বিষয় দেখে আমি খুবই হতাশ বোধ করছি যে, বিদ্যালযটি বর্তমানে গ্রামবাসীর কাছেই অবহেলার স্বীকার হচ্ছে। গ্রামের অনেকের কাছেই এখন যথেষ্ট পরিমাণ নগদ টাকা থাকার ফলে তারা আর ছেলে-মেয়েদেরকে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতে চাইছে না। হয়তো এখানে ফ্রি পড়ানে হয় বলে কিংবা অনেক গরীব মানুষের ছেলে-মেয়েরা পড়ে বলে যাদের পয়সা আছে তাদের এখানে পড়াতে ভাল লাগে না। ফলে উপজেলা সদরে বেশ কতগুলো কেজি স্কুল গড়ে উঠেছে সেখানে এখন সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। এসব কেজি স্কুলের মাসিক বেতন ৩০০/৫০০ টাকা হলেও কেউ থামছে না। ছাত্র বেতন বেশী হলেও এসব স্কুলের শিক্ষকরা তেমন মানসম্পন্ন নয়। অন্তত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলনায় তারা অনেক কম মান সম্পন্ন। কিন্তু তারপরও তারা অনেক ছাত্র পাচ্ছে। অবস্থাপন্নরাও কেজি স্কুলে পড়ানোটাকে একটা ফ্যাশন মনে করে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। ফলে অবহেলিত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যায়টি।

আমার কথা হচ্ছে যে, শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাই যথেষ্ট যেটা গ্রামের স্কুলের কাছ থেকেই ঢের বেশী পাওয়া সম্ভব। এর জন্য অনেক পথ পাড়ি দিযে জয়পাড়ায় যাবার কোন দরকার নেই। বরং এখানে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি পেলে আরো ভাল ও বেশী মানসম্পন্ন শিক্ষকের জন্য সরকারের কাছে দাবি করা যাবে। শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে এই বিদ্যায়টিই যথেষ্ট হতে পারে।

পরিশেষে গ্রামবাসীর প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, আমাদের গ্রামের গৌরব বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের পূর্বসুরীরা অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের স্বপ্ন ছিল এটি গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালাবে। তাদের সেই সুন্দর আর পবিত্র স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আসুন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দূরের স্কুলে না পাঠিয়ে এই স্কুলেই পাঠাই। আমাদের সাধ্য মতো ভূমিকা রাখি একে এগিয়ে নিয়ে যাবার
৭৮ বার পঠিত
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

১. ২৫ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৫৮

ফিরোজ খান বলেছেন: ভাই শিক্ষা আর টাকা এক হয় না, তাতে কি চলুক আপনার স্কুল ভাল মতে।

আমারা দোয়া করি, তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হোক, গ্রামের স্কুলের প্রতি মায়া জন্ম নিক তাদের মনে।



আর আপনার কমেন্ট এর উত্তর নিচে দিলাম। -



লেখক বলেছেন: বস, বিদ্রোহ বিদ্রোহ ভাবটা ভাল লাগল



উত্তেজিত হবেন না, প্লিজ, একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত সবাই লাফায়, নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত যেয়ে সবাই হাপায়

তারপর কেউ শুয়ে পড়ে, কেউ আবার ঘোড়া ছোটায়।

যারা শেষ পর্যন্ত যায় তারাই, সফল।



আমি বলছি না যে, আপনি আমি সেখানে যাব, কিন্তু যেই যাক, তারাই সফল, যদিও আজকের যুগ, বড় যৌগিক, তারপরও সরলতা সব যুগের মহৌষধ.



ভাল থাকবেন।



মুছে ফেলুন

২৬ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০

লেখক বলেছেন: মি. ফিরোজ খান, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এই অধমের ব্লগে আসার জন্য। ভাল থাকবেন।

২. ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কৌশিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। এই বিষয়টা নিয়ে আরো বেশী বেশী লেখা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুদায়বিয়ার সন্ধি এবং মহানবী (সা) এর অসামান্য নীতিবোধ !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:১১



মক্কার কিছু দূরে হুদায়বিয়া নামে এক গ্রাম । বসেছে সেখানে এক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত আছেন মহানবী (সো) এবং উল্লেখযোগ্য কয়েকজন সাহাবী । মুশরেক কুরাইদের পক্ষ থেকে উপস্থিত রয়েছে কয়েকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের মার্চেন্ট নেভি: সম্ভাবনার সমুদ্রপথ ও চ্যালেঞ্জের ঢেউ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:২২



বাংলাদেশের সামুদ্রিক শিল্প এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই দেশটি দীর্ঘদিন ধরে তার নৌ-বাণিজ্য এবং মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। অথচ, এই খাতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিকানা দাও

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১২ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঠিকানা দাও
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

ঠিকানা দাও, পাঠাই পাওয়ার জন্য-
প্রস্তাব! তুমি আমার প্রেম অনন্য।
ভালোবাসি বলার জন্য খুব ব্যাকুলতা
মন খাঁ খাঁ করে, শূন্যতা!
বেঁধে রাখতে চাই মায়ার বাঁধনে
তুমি থাকো মুহূর্তে মনে মনে।
বলে দাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×