পোস্টটি উৎসর্গ করলাম আমার মা কে। আমার মা আমাকে ডাকটিকেট সংগ্রহের প্রতি উৎসাহিত করে একটি ডাকটিকেট সংগ্রহের অ্যালবাম কিনে দিয়েছিলেন। সেই থেকে আমার ডাকটিকেট সংগ্রহ শুরু হয়।
ডাকটিকেট সংগ্রহ একটি প্রাচীন বিনোদন ও শিক্ষামূলক শখ হিসেবে বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত। ডাকটিকেট একখন্ড কাগজ যা ডাক মাসুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নানা বর্নের এই ডাকটিকেট গুলোতে ফুটে ওঠে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য,সাংস্কৃতি, বরেন্য ব্যক্তিত্ব, ইত্যাদি বিষয় ফুটে ওঠে। মোট কথা সেই দেশের পরিচয় তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের ডাক ব্যবস্থায় ডাকটিকেটের ব্যবহার আছে। তাই প্রতি বছর প্রচুর পরিমান ডাকটিকেট প্রকাশ পায়। বিশেষ বিশেষ দিনকে স্বরন করে রাখার জন্য ডাকটিকেট প্রকাশ করে থাকে ডাক বিভাগ গুলো। ডাকটিকেট গুলো সাধারনত চারকোনা বা বক্স আকৃতির হয়ে থাকে। তবে ত্রিকোনাকার,গোলাকার,স্টার আকৃতির, সহ বিভিন্ন আকৃতির ডাকটিকেট পাওয়া যায়। ডাকটিকেট গুলো সাধারনত কাগজের তৈরী হয়ে থাকে। কিন্তু কাঠের ফাইবার,সিনথেটিক কাপড় ইত্যাদির ডাকটিকেট ও পাওয়া যায়। অনেক ডাকটিকেটের উপর বিভিন্ন মনিষীর ছবি ছাপা থাকে।ডাকটিকেটের ওপর করা স্টাডিকে ফিলাটেলি বলে। ডিজাইন প্রডাকশন সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। ফিলাটেলি বা ডাকটিকেট সংগ্রহ করে একদিকে যেমন পাওয়া যায় নির্মল আনন্দ, তৃপ্তি তেমনি তা খুলে দেয় জ্ঞানের দুয়ার। সঠিক উপায়ে ডাকটিকেট শুধু জ্ঞান বাড়ায় না, এটি হয়ে উঠতে পারে একটি উত্তম বিনিয়োগ। ডাকটিকেটের দাম কখনো কমে না, বরং দিন দিন বাড়তেই থাকে। ফলে আজ যে দামে ডাকটিকেট কেনা হলো, পরে তা যদি দুর্লভ বা দুষ্প্রাপ্য হয়ে যায়, তাহলে তার দাম বেড়ে যায় অনেকখানি, ডাকটিকেট হয়ে ওঠে দুর্মূল্য।
ডাকটিকেটের শ্রেণীবিভাগঃ
• সাধারন ডাকটিকেট
• স্মারক ডাকটিকেট
• সরকারী ডাকটিকেট
অতীত কথাঃ
খৃষ্টপূর্ব ৩২২ অব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকাল থেকে সংবাদ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা চালু হয়৷ চন্দ্রগুপ্তের সময় কতকগুলি শিৰিত পায়রা একস্থান থেকে অন্যস্থানে সংবাদ বহন করে নিয়ে যেত৷ চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র অশোক রাজা হয়েও এই ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন৷ শের শাহ রাজা হয়ে এবং বাংলাদেশ থেকে সুদূর পাঞ্জাব পর্যনত্ম প্রায় ২ হাজার মাইল রাস্তা প্রস্তুত করে যোগাযোগের পথ সুগম করেন৷ শের শাহের সময় ঘোড়ায় করে ডাক প্রেরণের সুব্যাবস্থা করা হয়েছিল৷
আবিষ্কারঃ
বৃটেনের রোল্যান্ড হিলকে ডাকটিকেটের জনক বলা হয়। ১৮৩৭ সালের কথা, সে সময় প্রেরককে নয় প্রাপককেই ডাক মাশুল দিতে হত। চিঠির পাতার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ডাক মাশুল নির্ধারিত হত। প্রাপক অনেক সময় বিভিন্ন টালবাহানা করে ডাক মাশুল দিতে চাইতো না। এসব অসুবিধা দূর করতে রোল্যান্ড হিল ডাক বিভাগের সংস্কারে বিভিন্ন প্রস্তাব আনেন, যার অন্যতম ছিল ডাকটিকেটের প্রচলন। ১৮৪০ সালে তাঁর প্রস্তাবানুসারেই প্রাপকের পরিবর্তে প্রেরক কর্তৃক ডাকমাশুল দেবার রীতি প্রবর্তন করা হয়। ওজনের ভিত্তিতে ডাক মাশুল দেবার পদ্ধতিও এ সময় চালু করা হয়।
ডাকটিকেটের জন্মঃ
পৃথিবীতে ডাকটিকেটের প্রথম জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৮৪০ সালে৷ অবশ্য ইংল্যান্ডে এর বহু পূর্ব থেকেই চিঠিপত্র আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ছিল৷ অষ্টম হেনরীর রাজত্বকালে ডাক ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সাধারণ লোকের কোনোও সুবিধা হয়নি৷ কারণ তখন রাজার কর্মচারীরা ব্যতীত সাধারণ লোকের চিঠিপত্র আদান-প্রদানের কোনোও সুযোগ ছিলো না৷ প্রথম জেমস ইংল্যান্ডের রাজা হলে পর জনসাধারণকেও পত্রবিনিময়ের সুযোগ দিয়েছিলেন৷ জেমস চিঠিপত্র প্রেরণের সুব্যবস্থার জন্য একজন পোস্টমাস্টার জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন এবং দূরত্ব অনুসারে পত্রের জন্য মাশুলের হার নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন৷ এরপর ইংল্যান্ডে ঘোড়ায় করে ডাক প্রেরণের ব্যবস্থা তুলে দিয়ে ১৭৮৪ সাল থেকে সশস্ত্র প্রহরী প্রহরাধীনে ঘোড়ার গাড়ি করে ডাক প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়৷ এই ব্যবস্থা প্রবর্তন হওয়ায় ইংল্যান্ডের জনসাধারণ বিশেষ উপকৃত হয়েছিলেন এবং সেজন্যই ইংল্যান্ডে বহুদিন এই প্রথা চালু ছিলো৷
ডাকটিকেট মুদ্রণঃ
মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে ইংল্যান্ডের কোনো এক স্কুলের শিৰক মিঃ রোল্যান্ড হিলের পরামর্শ অনুসারে ডাকটিকেট মুদ্রণ করা হয় এবং ১৮৪০ সালের ৬ই মে ইংল্যান্ডেই প্রথম ডাকটিকেট বিক্রি শুরু হয়৷ টিকেটে ইংল্যান্ডেশ্বরীর প্রতিকৃতি মুদ্রিত ছিল৷ এই টিকেটের নক্সা করেছিলেন শিল্পী হেনরী ক্যরবুল্ড এবং মুদ্রণ কার্য করেছিলেন মিঃ জ্যাকব পরকিনস৷
প্রথমে দু’রকম টিকেট বের করা হয়েছিল৷ একটা কাল রং-এর এক পেনি দামের আর একটা নীল রং-এর দু’পেনি দামের৷ ডাকটিকেট সংগ্রাহকদের কাছে এই এক পেনির টিকেটটা ‘পেনি বস্নাক’ নামে বিশেষ পরিচিত৷ ১৯৪০ সালে ইংল্যান্ডের ডাকটিকেটের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ায় ইংল্যান্ড ৬টি স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছিল৷
উপ-মহাদেশে প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশঃ
মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে সিন্ধু প্রদেশের ডেওয়াকে উপ-মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম ডাকটিকেট বের হয় ১৮৫২ সালের ১লা জুলাই তারিখে৷ তখন দু’পয়সা দামের লাল, সাদা ও নীল রং-এর তিন রকম ডাকটিকেট ছাপা হয়েছিল৷ ১৮৫৫ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত উপ-মহাদেশের সকল ডাকটিকেটই ছাপা হতো ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ডাকটিকেট মুদ্রাকর ভি-লা-রম্ন কোম্পানিতে৷
বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেটঃ
স্বধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন অর্থাৎ ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখ বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এ সময় ৮টি ডাকটিকেট প্রকাশের মধ্যদিয়েবাংলাদেশের ডাকটিকেট ছাপানো শুরু করে। ডাকটিকেট গুলো প্রকাশিত হয় লন্ডনের ফরম্যাট ইন্টারন্যাশ্নাল সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে। সে সময় মুদ্রিত ডাকটিকেট গুলোর মূল্যমান ছিল ১০পয়সা, ২০পয়সা, ৫০পয়সা, ১.০০রূপী, ২.০০রূপী, ৩.০০রূপী, ৫.০০রূপী, ১০.০০রূপীর। এই ডাকটিকেট গুলোর নকশা প্রনয়ন করেন বিমান মল্লিক।
বাংলাদেশের ডাকটিকেট প্রথম প্রকাশিত হয়, ১৯৭১ সালের ২৬শে জুলাই, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন অবস্থায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি বর্হিবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিভিন্ন বন্ধুভাবাপন্ন দেশের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশে ডাকটিকেট প্রচলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অধ্যাপক-শিল্পী বিমান মল্লিক বাংলাদেশের প্রথম ৮টি ডাকটিকিটের নকশা করেন।
প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশের ইতিহাসঃ
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য জন স্টোনহাউসের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯৭১-এর এপ্রিলের শেষদিকে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ডাকটিকেট প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সে অনুযায়ী স্টোনহাউস যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি গ্রাফিক শিল্পী অধ্যাপক বিমান মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক প্রস্থ ডাকটিকেটের নকশা তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নির্দেশ মতো বিমান মল্লিক ডাকটিকিটের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা, নকশা তৈরির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সংবাদপত্র, রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে নিরাপরাধ বাঙালি জনসাধারণের ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অমানুষিক অত্যাচারের কাহিনী শিল্পীর অজ্ঞাত ছিল না। তাই সেই প্রস্তাব ও দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি পূর্ববঙ্গের বাঙালিদের স্বাধিকার সংগ্রামে সাধ্যমতো সাহায্যদানের সুযোগটি গ্রহণ করেন। বিমান মল্লিক অধ্যাপনার কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে আটটি ডাকটিকিটের নকশা তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এক স্মৃতিচারণে বলেছেন, 'এই ডাকটিকেট প্রকাশের ফলে মুজিবনগর সরকার যে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে, এই ধারণা বিদেশে সমর্থন লাভ করে।'
ডাকটিকেটের একটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল, অন্য একটিতে ছিল ব্যালটবাক্স। ব্যালটবাক্স গণতন্ত্রের প্রতীক। আরেকটি ছিল শিকল ভাঙার ছবি। এর দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে বাংলাদেশ পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়েছে। একটি টিকিটে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, আরেকটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার চিত্র। ১৯৭১-এর ২৯শে জুলাই বাংলাদেশের প্রথম ৮টি ডাকটিকেট ও ফাস্ট ডে কাভার বিভিন্ন দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ উপলক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আটটি ডাকটিকেট বিশিষ্ট্য প্রতি সেটের মূল্য ছিল ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রথম আটটি ডাকটিকেটের মূল্যঃ
• ১০ পয়সা বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান।
• ২০ পয়সা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকান্ড।
• ৫০ পয়সা সাড়ে সাত কোটি মানুষ।
• ১ টাকা ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফল।
• ২ টাকা ব্যালটবাক্স গণতন্ত্রের প্রতীক।
• ৩ টাকা ১০ এপ্রিল ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা।
• ৫ টাকা বঙ্গবদ্ধ শেখ মুজিবর রহনাম।
• ১০ টাকা বাংলাদেশকে সমর্থন করুন।
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পরবর্তী ডাকটিকেটঃ
• ১৯৭২ সালের বিজয় দিবসে প্রকাশিত ডাকটিকিটের ডিজাইনার ছিলেন কে. জি. মুস্তফা।
• ১৯৭২ সালের স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রতীক ছিল সংগ্রামের প্রতীক হিসাবে আগুনের ফুলকি, যার ডিজাইনার নিতুন কুন্ডু।
• সাত বীরশ্রেষ্ঠের স্মরণে প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশিত হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮২; ডিজাইনার ছিলেন আহমেদ এফ করিম।
আমার নিজস্ব সংগ্রহ থেকে কিছু ডাকটিকেটঃ
বাংলাদেশ
ভারত
সৌদি-আরব
বাহরাইন, জর্ডান, আরব-আমিরাত, সুদান
মিশর, থাইল্যান্ড
ফিলিপাইন্স
চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া
শ্রীলংকা
আমেরিকা, স্কটল্যান্ড
ইটালি, নরওয়ে, ইংল্যান্ড
কিউবা, ম্যাগিয়ার
অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, আইরি, কলোম্বিয়া
পাকিস্তান
উইকিপিডিয়াতে ফিলাটেলি এবং ডাকটিকেট সংগ্রহ নিয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এমন দুটি পেজ হলোঃ
১। http://en.wikipedia.org/wiki/Philately এবং
২। http://en.wikipedia.org/wiki/Stamp_collecting
তবে এ সংক্রান্ত আরও ৪ টি সাইট হলোঃ
১। http://www.mediabd.com
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফিলাটেলির ওপর বিভিন্ন সংগঠন এবং ওয়েবসাইট গড়ে উঠেছে। এ সংগঠনটি ১৯৮৬ সাল থেকে ডাকটিকেট এবং ফিলাটেলি সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম বেচাকেনা করে আসছে। ১৯৯৮ সাল থেকে তারা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিলাটেলি এবং বাংলাদেশের ডাকটিকেট বিশ্ব বাজারে তুলে ধরছে। বাংলাদেশ ডাকঘর থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু ডাকটিকেট এবং ফার্স্ট ডে কভার তারা সংরক্ষণ করছে। প্রতিটি প্রকাশনীর ডিজাইনারসহ বেশ কিছু তথ্য সেখানে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মোট ৮১১টি দুর্লভ স্ট্যাম্প তাদের সংগ্রহে আছে। পে-পল অ্যাকাউন্ট বা অন্যান্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এখান থেকে ডাকটিকেট সরাসরি ক্রয় করার সুবিধা আছে।
২। http://www.stamps.net
ডাকটিকেটের মূল্যমান অটুট রাখতে সব সময় নজর দিতে হবে এর সংরক্ষণের ওপর। বাজারে অনেক দেশি-বিদেশি স্ট্যাম্প অ্যালবাম পাওয়া যায়। তাছাড়া ‘মাল্টি প্রটেক্টর’ ডাকটিকেটের স্থায়িত্ব বাড়ায়। ডাকটিকেট তুলতে চিমটা, আতশী কাচ ব্যবহার করতে হয়। এ সাইটটি ডাকটিকেট সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে তা সংরক্ষণ এবং বিক্রয়ের যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে। বিভিন্ন অনলাইন স্ট্যাম্প ক্যাটেলগের মাধ্যমে জানা যাবে বিশ্বের ডাকটিকেটগুলোর ইতিহাস এবং আদ্যোপানন্ত। সে ক্ষেত্রে কিছু ডলার খরচ করতে হবে। এছাড়া এ সাইটে পাওয়া যাবে ডাকটিকেট সংগ্রাহকদের ক্লাব ও সোসাইটির ঠিকানা।
৩। http://www.bangladeshpost.gov.bd
এটি বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। এ সাইটে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেটসহ অন্যান্য ডাকটিকেট এবং উদ্বোধনী খাম সংরক্ষণ করা হয়েছে। ১৯৭১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ডাকটিকেটগুলো বছরওয়ারি বিন্যন্ত করা হয়েছে। পছন্দ হলে পরে ডাকঘরে গিয়ে নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে ডাকটিকেট সংগ্রহ করা যায়। জিপিওর কাউন্টার ফিলাটেলিক ব্যুরোতে সারা বছর ডাকটিকেট সরবরাহ করা হয়। শুরুতে বিনিময় প্রথায়, অর্থাৎ অদল-বদল করে বাড়িতে আসা চিঠিপত্রে থাকা ডাকটিকেট সংগ্রহ চললেও, সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে কেনাবেচা করতেই হবে।
৪। http://www.myphilately.com
এ সাইটটি দেবে সারা বিশ্বের ডাকটিকেট সংগ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ। এখানে ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা আছে। নিজের সংগ্রহগুলো এখানে তুলে ধরা যাবে। ডাকটিকেট সংগ্রাহক অনেক বন্ধু জুটে যাবে এখানে। বাংলাদেশের ডাকটিকেটগুলো বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে একটি অনন্য ভূমিকাও রাখা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৮