ইতিহাসে কখনো জনগণ কোন বৃহৎ দলের সাথে এত বড় উপহাস করেনি। অদ্ভুত!
জনগণের প্রতিবাদ দুই ভাবেই সম্ভম, ভোট দিয়ে আর না দিয়ে। নতুনভাবে বোঝার চেষ্টা করছি আমার দেশের জনগণকে।টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অনেক চেষ্টা করেও ভোটার দেখাতে পারছে না। এখন উপায় হয়তঃ একটি, আর সেটা কি? উত্তরটা এখন দিলাম না।
স্বতন্ত্র প্রার্থীকেও এত ভয়। নির্বাচন নয় যেন গোপাল ভাঁড়ের গল্প।
পাবনার বেড়া উপজেলায় পাইকহাটি শহীদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র প্রতিমিন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকুর ছেলে রঞ্জনের লোকজন জোর করে শখানেক ব্যালটে সিল দিয়েছেন। (মানব জমিন)।
দেশের এক ঘেয়ে রাজনীতি এবং কতিপয় রাজনীতিকের একগুয়েমির কারণে দেশ তার রস, কষ, গন্ধ হারিয়ে ফেলেছে। এখন কারো ভাল খবর আগের মতন আলো দেয় না, কারণ দেশ অন্ধকারের পথে হাঁটছে; কারো কষ্টের খবরে আর কষ্ট অনুভূত হয় না কারণ দেশের মানুষ তার চাইতেও বেশী কষ্টে আছে। যে দেশে প্রতিটি মুহুরথে মানুষ এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখত আজ সেই দেশের দেশপ্রেমিক মানুষগুলোকে পিছিয়ে যাওয়া ঠেকাতেই ব্যস্থ থাকতে হচ্ছে।
অঞ্জন রায় তার সন্তানের টক শোতে ঝগড়া বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরে বললেন 'জানালা খুলে আকাশ দেখো, টিভি দেখো না'। এই মুহুরথে আমরা আমাদের সন্তানদের, ছোট্ট ভাইবোনদের এর চাইতে ভাল কি আর বলতে পারি?
শান্তনার জন্য একটি ছড়া।
অর্বাচীনের নির্বাচনে, নির্বাচিত অর্বাচীন।
ভাবছে বসে একি হল, বিজয়ী বলা কি সমিচীন!
নাক কান চুলকিয়ে ভাবনার সিঁড়ি বেয়ে,
উত্তর পেল একখানা, নিশ্চয়ই বিজয় তবে একটু অচিন।
অতঃপর আসুন গান গাইঃ
এক তোহি ধনবান হে গৌরি,
বাকি সব কাঙ্গাল।