নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে যারা টুপি পরে, দাড়ি রাখে তাদের আমরা অনেকে মোল্লা বলে ডাকি, মৌলবি বলি বা হুজুর বলি। হোক সে নামাজী, বে নামাজী, বা মোনাফেক। তবে দাড়ি টুপি দুইটাই যাদের বেশভূষা, তাদের মধ্যে ৯৯%-ই আলহামদুলিল্লাহ নামাজী।
লোকাল বাস সিটিং বাস, ভলভো, এলাকায়, রাস্তা ঘাটে, অফিসে, কলেজে অনেক এমন অনেক ইনডোর আউটডোর অনেক জায়গাতেই এমন লোক চোখে পড়ে। ## ভাবি, কেমন তাদের জীবন। নামাজ রোজা, সুন্নাত, ফরজ, ঈমান নিয়ে চলাফেরায় তাদের কত কিছুইনা তাদের মেনটেইন করতে হয়। ছাড় দিতে হয়, সেক্রিফাইস করতে হয়। বঞ্চিত হতে হয়। ## আমরা ঘুম থেকে উঠি ৯ টায়, গাড়িতে বসে Android Smartphone, ট্যাব, ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, কানে হেডফোন, গান, মিউজিক ভিডিও, গেমস কত কি। ## পাশ দিয়ে সুন্দর মেয়ে গেলে হয় ঘাড় নয় চোখ অটোমেটিক ৪৫ ডিগ্রি ঘুরে যায়। আজান দিলেও ঠায় কাজ করতে থাকি। পানি দাড়িয়ে খাওয়া কোন প্রবলেম মনে করিনা, খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ্? ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ফিআমানিল্লাহ? কি যে বলেন ভাই, ১৪০০ বছর পিছিয়ে দিতে চান নাকি আমাকে? ## বস বা সিনিয়র ছাড়া কাউকে সালাম টালাম না দেয়া। সিনেপ্লেক্সে নতুন কি মুভি আসলো, গারলফ্রেন্ড বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পপকর্ণ টাইম এনজয় করা। ## ইউটিউবে কোন মিউজিক ভিডিওটা ট্রেনডি, হট। অফিস শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পার্ট টাইম ড্রিঙ্কিং। বাসায় যেতে যেতে কানে হেডফোন দিয়ে মাথা দুলিয়ে গান। শুয়ে শুয়ে চেটিং, ফেসবুক, ইউটিউব। লেট নাইট মজাস।
## হোয়াট আ লাইফ।
আর ঐ মোল্লা, দারিওলা, হুজুর টাইপের ছেলেটা সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগেই ফজর পড়ে ফেলে। অফিসে কলেজে বাইরে যাওয়ার সময় বাসা থেকে ডান পা দিয়ে বের হয়, ফি আমানিল্লাহ বলে বের হয়। রাস্তায় মুরুব্বি ভাই ব্রাদারদের সাথে দেখা হলে, বয়সে ছোটবড় সবাইকেই সালাম দেয়। বাসে বয়স্ক কেউ দাঁড়ালে উঠে বসতে দেয়। আজানের পর কাজ একটু সাইডে রেখে নামাজে যায়। আবার এসে কাজ। সন্ধ্যার পর যেখানেই থাকুক এশারের নামাজ মিস হয়না। ## Android Smartphone, ট্যাব, ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এগুলোও তার কাজে লাগে। কিন্তু গান বাজনা শোনে না। ইউটিউবে লারনিং সাইতগুলোও মাঝে মাঝে কাজে লাগায়। মিউজিক ভিডিও, সিনেপ্লেক্স, 3D এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখে ## আমি ভাবি, অমন স্মার্ট জীবনকে সে উপভগ করতে পারেনা, কাম উপভোগ করার সুযোগ পায়না, কাম উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়। ## বেচারা।
###...
মৃত্যুর পর ওর মত মোল্লারাই কি উপভোগ করবে শান্তি নাকি আমি? মৃত্যুর পর ওর মত মোল্লারাই কি দোজখের আগুনে পুড়বে নাকি আমি? আমি, আপডেটেড ছেলে, এখন মজা করছি, মৃত্যুর পরেও মজা করব? নাকি ঐ বেকডেটেড ছেলেটা এখনও সব মজা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মৃত্যুর পরেও বঞ্চিত হবে?
###...
উত্তর আপনা আপনিই এসে পড়ে।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
ওয়ান টাইপ বলেছেন: তাহলে পৃথিবীতে ভাল হয়ে থাকব কেন? যাকে ভাল লাগেনা কেন তাকে মেরে ফেলবনা? শাস্তি? যদি কেউ প্রমান করতে না পারে? কেন অন্য কোন গরিবের জন্য মায়া দেখাব, সাহায্য করবো? উশটা লাথি মারলে কারও কিছু বলার আছে? কাল এলাকার ঐ বলদটারে একটা কসাইয়া থাপ্পর মাড়লাম, চুপ চাপ চলে গেলো? এলাকার চেয়ারম্যানের পোলায় 'রাখাল' এর পিতার জায়গা জরজবস্তি দখল করল। সরাকার আইন কিছু বলল না, নিজেরদের আপন লোক বলে কথা। বেচারা 'রাখাল'এর ফ্যামিলি কি বিচার পাবেনা? মরে গেলে পচে গেলাম, তাইলে ঐ রাখালদের জন্ম কেন এই পৃথিবীতে। বলদ হইয়া সহ্য করার জন্য, নাকি শক্তিশালী হইয়া বলদদের মারার জন্য?
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: পরকালে শাস্তির ভয়ে ভাল হয়ে থাকতে হবে এমনটা ঠিক না। মানুষ হিসেবেই ভাল হয়ে থাকা যায়, এই কারনটাই যথেষ্ট।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: পরকালের শান্তি পেতে হলে হতে হবে একজন ভালো মানুষ অমানুষ নই।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে সব মানুষই কিন্তু শুধু নরকের ভয়ে ভালমানুষ হয় না।
দুনিয়াতে ২১% মানুষ মুসলমান<< বাকি দের দোজকে যাবার ভয় কিন্তু তেমন জোরালো না।
তাই বলে কি ৭৯% মানুষ যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে দুনিয়াতে???
আমার ২ জন চাইনিজ স্টাফ আছে... তারা কোন ধম` অবলম্বন করেনা।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম তোমরা চুরিকরা/মিথ্যা বলা এই গুলি কর না কেন??
উত্তর দিলো.এই গুলি খারাপ তাই করিনা.. এতে মানুষের ক্ষতি হয় তাই করা ঠিক না।
আগে মানুষের জ্ঞান কম ছিলো তাই ভয় এবং লোভ দেখিয়ে ভাল রাখার চেস্টা কাজ করতো। এখন মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই তারা দোজখের ভয় ভিত না তাই তো দেশে এতো দূনিতি/ভ্যজাল হচ্ছে।
এখন দরকার মানুষের মানবিক শিক্ষা.. তবে আমাদের দেশের ভন্ডামী/দূনিতি/ভ্যাজাল কমবে। ধম`র ভয় দেখিয়েহবেনা।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
সাবুজ বলেছেন: আরন্যক লেখক কে বলছি ,দেহতো সার হবে ,বুঝলাম ,কিন্তু আত্নাটার কি হবে ?
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
ওয়ান টাইপ বলেছেন: ## এখানে বলা হচ্ছে অপশনের কথা। পরকালে শাস্তির ভয়ে মানুষ ভাল কাজ করেনা। যে করার নিজে থেকেই করে। এর মানে কী? এর মানে আমার ইচ্ছা, আমি ভাল করবো, না খারাপ করবো। তাহলে বলতে হয় মানুষ আইন মানে নিজে থেকেই, শাস্তির ভয়ে কেউ আইন মানে না। খুন করা ঠিক না, এটা ভেবে খুন করেনা, আর খুন করলে ফাসি হবে এটা ভেবে খুন করে না।
## যদি পৃথিবীতে ভাল মন্দ কাজের পরিণাম মৃত্যুর পর নাইই পুরস্কৃত-তিরস্কৃত হয়ে থাকে, তাহলে পৃথিবীতে কেন আইন কানুন থাকবে। এখানেও তো অমন অপশন থাকার কথা। আইন আদালত কিছুরই দরকার ছিলনা। রেডিও টেলিভিশনে শুধু জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হতো।
সিমপ্লি ভাবলেই হয়। ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার, আর পাপের জন্য শাস্তি, আলটিমেটলি।
প্রিপারেসন, এক্সাম, রেজাল্ট, প্রাইজ/পানিশমেন্ট। সিম্পল ইজ দ্যাট।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
খোলা মনের কথা বলেছেন: সবার সব কিছু বোঝার ক্ষমতা আল্লাহ পাক দেয়নি। ধন্যবাদ
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
রেজিস্টারড বলগার বলেছেন: হুজুর হইলেই একটা লোকরে বিশ্বাস করা যাবে - এমন কথা পুরাপুরি সঠিক না। তবে তাদের মধ্যে অনেক ভাল লোক আছে। আবার অনেকে আছে ভাল লোকের ভান করে, কিন্তু সিচুয়েশন মত চেহারা পরিবর্তন করে ফেলে।
খুব গুরুত্বপূর্ন কোন কাজে হুজুরদেরকেও যাচাই ছাড়া বিশ্বাস করতে গেলে ঠকতে পারেন।
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
ওয়ান টাইপ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ভাল মন্দ মানুষের লেবাস দেখে বিচার করা যায় না।
তবে কিছুতা বেতিক্রম আছে। একজন সাধারণ মানুষ, শার্ট প্যান্ট, বা গেঞ্জি জিন্স পড়া, আর অন্যদিকে একজন ধর্মীয় লেবাসের ভদ্রলোক (যে ধর্মেরই হোক, হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান)। এখন ফার্স্ট এপারেন এ কাকে আপনার ভাল মানুষ বলে মনে হবে? নিশ্চয়ই দ্বিতীয় বেক্তিকে। হতে পারে দুজনের কে কেমন আপনি জানেন না। এর মানে হচ্ছে, সাধারন লেবাসের একজন ভাল হতেও পারে, খারাপও হতে পারে। আর ধর্মীয় লেবাসের জন খারাপও হতে পারে তবে ভাল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আমি কিন্তু প্রথম লেবাসেরই একজন।
তবুও মনে করি, শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় গেয়ান, নমনীয়তা থাকলে একজন মানুষকে ভাল বলে বিশ্বাস করা-ই যায়।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: না হয় বুঝলাম, আমার জাহান্নাম হবে, তবে এই যে গালিগুলো দিলেন তার জন্য কি জান্নাতুল ফেরদৌউস পাবেন আপনি?
আর একটা জিনিস শেখাই| প্রত্যেক মন্তব্যের ডানে কতগুলো চিহ্ন পাবেন, তার সর্ববামের সবুজ চিহ্নে ক্লিক করলে একটা ঘর পাবেন, সেখানে প্রতিউত্তর করুন|
আর ভাল হতে কারো ভয়ের দরকার নেই| মানবতা লাগে| আমার মানবতা আছে বলেই কিন্তু আপনাকে গালি দেই নি, আপনি কিন্তু ধর্মবিশ্বাসী হয়েও দিলেন| আর কিছু বলব না| যা বলার বলেছি
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অবশ্যই ধর্ম আছে বলেই পৃথিবীটা এখনো বাসযোগ্য। ধর্মের বাধা না থাকলে যে কী কী হতো ভাবাই যায় না...
১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
অগ্নিবীণা! বলেছেন: ধর্মীয় রীতিনীতিই মূলত স্মার্ট!!!
১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
ওয়ান টাইপ বলেছেন: আমার কথার মাঝে কথাও গালি জিনিসটা ব্যাবহার করা হয় নি। দেখাতে পারবেন না। তবুও, আমার কোন কথায় আপনার খারাপ লেগে থাকলে, ক্ষমা চাচ্ছি। আপনাকে কষ্ট দেয়া নয়, বোঝানই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আপনি জাহান্নামে যে যাবেন, সেটা আমি সিওর না, আমিওযে জান্নাতুল ফেরদাউস পাব, এতাও সিওর না। যদি আমরা দুজনই জান্নাতে যাওয়ার কাজ করে থাকি, অবশ্যই ইনশাল্লাহ জান্নাতে যাব।
একজন প্রশ্ন করেছিল, মরার পর দেহ পচে যাবে, ওকে, কিন্তু আত্মাটার কি হবে?
উত্তর না দিলেও চলবে।
শুধু বলবো, ## আপনি শুধু মানবতা বজায় রাখুন, ## আমি মানবতা আর ইনশাল্লাহ ইসলাম ধর্ম বজায় রাখি। মৃত্যুর পর কি হয়, দুজনই টের পাব।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ক্যাচাল
তবে আমি ধর্মের মধ্যেই শান্তি পাই।
পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ক্যাচাল
তবে আমি ধর্মের মধ্যেই শান্তি পাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মৃত্যু পর কী হবে আমি জানি| বলি? মৃত্যুর পর কিছুই হবে না| বড়জোর দেহ পঁচে সার হতে পারে|
হুজুরের অনুভূতি আহত হলে, আমি দুঃখিত