নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে বাংলাদেশের অতি প্রগতিশীলদের কাছে একটি শব্দ বিশেষ ভাবে আলোচিত তা হলো " রিসেট বাটন " । এই " রিসেট বাটন " সমালোচনায় আসার করন অতি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন আমাদের অন্তর্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে অবস্থান কালেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন তিনি। প্রায় ১৯ মিনিটের দীর্ঘ ইংরেজি ওই সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন ভয়েস অব আমেরিকার আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংবাদদাতা সোমিনী সেনগুপ্ত। উক্ত সাক্ষাৎকারে ভয়েস অব আমেরিকার তরফ থেকে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বাংলাদেশের অন্তর্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ, সেনাবাহিনীকে ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যত বিষয় সহ বেশ কিছু বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাওয়া হয়েছিলো। আর সেই সময় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক প্রশ্নের উত্তরে " রিসেট বাটন " এর কথাটি উল্লেখ করেন। এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উতাল-পাতাল শুরু করে পতিত স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার দোসরেরা।
এমনকি তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে " স্টেপ ডাউন ইউনূস " হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নানান ধরনের উদ্দেশ্যমুলক ভিত্তিহীন পোস্ট ও দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের আস্ফালনে মনে হচ্ছে হয়তে কিছু দিনের মধ্যেই তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বতীকালীন সরকার কে হটিয়ে চট করে তাদের আপা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরয়ে ক্ষমতার মসনদর বসিয়ে দিবেন। তারা " রিসেট বাটন " নিয়ে জনমনে চরম বিভ্রান্ত সৃষ্টির চক্রান্তে লিপ্ত। অবশ্য আমারা সাধারন জনগন তাদের এই বিভ্রান্তকে সহজে অনুমান করতে সমর্থ হয়েছি ।
রাজনীতিতে" রিসেট বাটন " উৎপত্তি হয়েছিল ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন যখন রাশিয়ার সাথে তাদের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করেন তখন । এই " রিসেট বাটন " শব্দের ব্যবহার করে ওবামা প্রশাসন বুঝাতে চেয়েছিলেন রাশিয়ার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বের যত তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে তার গ্লানিকে পাশ কাটিয়ে দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ককে পুনঃনির্মান করে নতুন করে পথ চলার। এই লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ৬ মার্চ জেনেভায় এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে একটি লালা " রিসেট বাটন " ও উপহার দেন। আর তথ্য প্রযুক্তিতে " রিসেট বাটন " হল একটি শারীরিক বা ভার্চুয়াল বাটন যা ব্যবহার করে কোন ডিভাইস বা সিস্টেমকে তার আসল রুপ ঠিক রেখে নুতন করে সেট করা ত্রুটি বিচ্যুতি সমস্যা মুছে পুনরায় চালু করা । আমরা যারা আধুনিক টেকনোলজির সাথে অভ্যস্ত তারা সবাই এই রিসেট শব্দটির সাথে অতিপরিচিত। বিশেষ করে আমাদের স্মার্ট ফোনে যদি কোন এপ্লিকেশনের বড় সমস্যা করে বা কোন এপ্লিকেশনের কারনে যদি আমাদের স্মার্ট ফোনটি কাজ না করে তা হলে আমরা সেই এপ্লিকেশন টি মুছে দেই আর যদি এপ্লিকেশনটি নির্ণয় করতে না পরি তা হলে স্মার্ট ফোনটি রিসেট দিয়ে আসল রুপে ফিরে যাই। তাতে স্মার্ট ফোনের মাদরবোর্ডে থাকা আসল এপ্লিকেশন গুলি নতুন রুপে শক্তি নিয়ে থাকে আর নতুন করে ইনস্টল করা আজে বাজে এপ্লিকেশন গুলি মুছে যায়। তাতে স্মার্ট ফোনটি নতুন ভাবে জোরালো শক্তি নিয়ে কাজ করে।
গত পনের বছর শেখ হাসিনা ও তার দোসররা জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মুল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ কে। শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কথায় মনে হতো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য সকলের অবদানকে একেবারেই মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। অথচ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নানা ভাবে কলুষিত ও কালিমা যুক্ত করেছে এই শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামিলীগ শাসনামলে ক্ষমতায় থাকা দোসররা। ২০০৯ সালে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামিলীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমেই যেই কাজটি সম্পন্ন করেছে তা হলো আমাদের বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরন। ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয় । এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করে শেখ হাসিনা তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী করার পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গলাটিপে হত্যা করে। এর পর বিভিন্ন কালো আইনের মাধ্যমে মানুষের বাকস্বাধীনতা সহ সকল গনতান্ত্রিক অধিকার সম্পুর্ন ভাবে হরন করে। এছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম সহ জনমনে ভয় সৃষ্টির জন্য এহেন কোন অপকর্ম নাই যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী জোট সরকার দ্বারা সংগঠিত হয় নাই । দুর্নীতি আর অর্থনৈতিক লুটের কথা আর নাই বা বললাম। দেশের অধিকাংশ ব্যাংক গুলিতেই আজ নগদ টাকার হাহাকার ডলার তো নাই বললেই চলে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তাহলে এই সবই কি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? এই কি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কাজ? এই স্বপ্ন নিয়ে কি আমাদের অগ্রজরা মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের জন্য স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন ? না মোটেও না। একটি বৈষম্যহীন বাকস্বাধীনতা ন্যায়বিচারের গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আমাদের অগ্রজরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন। আমাদের অগ্রজদের আত্মদান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামিলীগ ও তার দোসররা বিভিন্ন সময়ে শুধু উপহাস ই করেন নাই বরং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করেছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করেছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে খাটো ও অবমাননা করার জন্য শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়া জরুরি । তাহলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহারের সাহস দেখানোর চেষ্টা করবে না ।
চিরাচরিত ভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের " রিসেট বাটন " চাপা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গরম করে ফেলেছেন । তারা আমাদের বোকা ভেবে বুঝাতে চেয়েছিল প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস " রিসেট বাটন " চাপা কথা বলে আমাদের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের ঐতিহাসিক গনঅভ্যুত্থান আর একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দিতে চাচ্ছেন। আসলে রিসেট বলতে যে কি বুঝায় তা যে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবার ই জানা সেটা হয়তো শেখ হাসিনার দোসররা ভুলে গেছেন। তারা ভাবছিলেন এবার ও তারা আমাদের চেতনার বড়ি খায়িয়ে উত্তেজিত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করবেন । এর মধ্যে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ঝাপিয়ে পরলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) তাপসী তাবাসসুম উর্মি। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে তিনি তার ফেইসবুকে একটি কটূক্তি মুলক পোস্ট করেন। ওখানে তিনি লেখেন, " সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়। " একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে উর্মি নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে মানুষ দাবী করে বলে এক ধরনের বিভ্রান্তকর বক্তব্য দিয়েছেন। তাপসী তাবাসসুম উর্মি একজন সরকারি কর্মচারী তাই তার প্রতিটি কাজই হবে সরকারি চাকুরির বিধিমালা অনুযায়ী। উর্মির প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে উস্কানিমূলক পোস্ট শুধু সরকারি চাকুরির বিধি বিধানই লংঘন করেন নাই বরং তার বক্তব্যে তিনি হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে সংগঠিত গন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সর্বজন সমর্থনে গঠিত সরকার উৎখাতের ও পরিকল্পনাকারিদের একজন। কারন বর্তমান প্রশাসনের অধিকাংশ পদ পদবীতে আছেন পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসররা। তারা চাচ্ছেন যে কোন মূল্যে বর্তমান অন্তর্তবর্তীকালীন সরকারের ভিতর নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সরকারকে বিপদে ফেলতে। তবে আমাদের সাধারণ মানুষের পুর্ন সমর্থন এখনো আছে বর্তমান অন্তর্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি। জানিনা এই সমর্থন তারা কি ঠিক ভাবে ধরে রাখতে পারবেন কি না?
তাপসী তাবাসসুম উর্মি শুধু অন্তর্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়েই কটুক্তি করে থামেন নাই তিনি একই সাথে শহীদ আবু সাঈদকে " সন্ত্রাসী " আখ্যা দিয়ে তার ফেইসবুক আইডিতে আরো একটি পোস্ট দেন। ঐ পোস্টে উর্মি লেখেন, " মানে কত বড় বোকার স্বর্গে আছি এইটা শুধু চিন্তা করি। আবু সাইদ! বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী একটা ছেলে যে কী না বিশৃংখলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতেই মারা পড়লো সে নাকি শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে! " তিনি আরও লেখেন, " আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসীর জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদে কেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দালাল হয়ে গিয়েছি এ কথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি। এই যে একটা সন্ত্রাসীর মৃত্যুকে অজুহাত বানিয়ে কত নিরীহ পুলিশ ভাইদের হত্যা করা হলো তার দায়ভার কি এই অথর্ব সমাজ নিবে? এই ছেলের জন্য প্রধান উপদেষ্টা তার দলবল নিয়ে চলে আসলেন রংপুর। লালমনিরহাট থেকে এই উপদেষ্টা দলের জন্য আবার পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। রংপুরের বাকি সাত জেলা থেকেও গাড়ি পাঠাতে হয়েছে। " আবু সাইদের বাড়িতে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে উর্মি আরও লেখেন, " এই আহাম্মকি ভ্রমণের জন্য এত বড় গাড়িবহর পুরো বিভাগ থেকে যে গেল তার তেল খরচ কে দিয়েছে? যাই হোক, ভিডিওটা দেখুন। ভালো মতো দেখুন আর মুখস্থ করুন। আর কী বলব! "
আমি নিশ্চিত এসব কথার কোনটাই তাপসী তাবাসসুম উর্মির নয়। উর্মি জানেন এই কথার পরিনাম মোটেও শুভ নয়। উর্মি সরকার প্রধানের গাড়ী বহরের তেল খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উর্মি কি তার প্রিয় শেখ হাসিনার সরকারের দুর্নীতি, গুম, হত্যা নিয়ে এর আগে টু শব্দটি পর্যন্ত করছেন? না মোটে ও না উর্মি আজ নিজের হীন স্বার্থ উদ্ধারের জন্যই মরিয়া হয়ে এই সকল ঘৃণিত অপকর্মে নেমেছেন। আজ শেখ হাসিনার দোসররা উর্মি কে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সাথে তুলনা করার মত ঘৃণিত সাহস দেখাচ্ছে। তাদের উচ্ছ্বাসে মনে হচ্ছে তাপসী তাবাসসুম উর্মি তাদের একমাত্র ত্রাণকর্তা। তিনিই শেখ হাসিনাকে চটকরে দেশে ঢুকিয়ে হুট করে আবার ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দিবেন।
ইতোমধ্যে " রিসেট বাটন " চাপার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, " কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার "। এর আগের কোন সরকার প্রধান ই তাদের কোন কথা বা কাজে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হলে তার কোন বিবৃতি আমাদের জনগনের সামনে তুলে ধরেন নাই। বর্তমান অন্তর্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান তাকে নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসরদের অহেতুক সমালোচনার জবাব খুবই সুন্দর ভাবে জাতির সামনে তুলে ধরে জাতিকে একটি সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে বেহুদা সমালোচকদের মুখে চুনকালি দিতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে বর্তমান অন্তর্তবর্তীকালীন সরকারে দায়িত্ব হবে দ্রুত রিসেট বাটনেট চাপার পর নতুন করে সব কিছু ইনস্টলেশন করা। তা না হবে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে সংগঠিত অভ্যুথান যে কোন সময় ছিনতাই হয়ে যেতে পারে নতুন কোন স্বৈরাচারের হাতে।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৪৯
আমি সাজিদ বলেছেন: যা করার করে দ্রুত ইলেকশন দিয়ে বিদায় হন। বাকিটা দেশের মানুষ বুঝে নিবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইহার নাম গণতন্ত্র। সবাই সবাইকে নিয়ে কথা বলবে, সমালোচনা করবে।