নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতি মানের মারপ্যাচের জটিল খেলা। রাজনীতির খেলায় জয়ী হওয়া টা ও একটি জটিল কৌশল। রাজনীতি এই কৌশলে অনেক সময় জয়ী মনে হলে ও কখনো কখনো জুটে সূচনীয় পরাজয়। আমাদের রাজনীতিতে গত কয়েক বছরে অনেক খেলোয়ারের আবির্ভাব হয়েছে। অনেকেই খেলা হবে খেলা হবে চিৎকার করলে নিজেদের রাজনীতির মাঠ গরম করতে পারলে ও পরবর্তীতে বোরখা পরে শুধু রাজনৈতিক ময়দান থেকেই নয় দেশ থেকে পালিয়েছেন। পেশীশক্তিতে তারা বড় খেলোয়াড় হলেও রাজনৈতিক কৌশলের খেলায় তারা ছিল বড়ই অদূরদর্শী ও দুর্বল। রাজনীতি কখনোই যে পেশীশক্তির খেলা হতে পারে না তা শতাব্দীর পর শতাব্দী থেকে প্রমাণিত। পৃথিবীর বড় বড় পেশীশক্তিরধর রাজনৈতিক খেলোয়ারদের পরাজয় হয়েছে বড়ই করুন ভাবে। যার সর্বশেষ প্রমান বাংলাদেশের পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট ২০২৪ পৃথিবীর ইতিহাসে আরো একটি দিন আরো একটি ইতিহাস একটি স্বৈরশাসকের পতন। যেই স্বৈরশাসকের পতনের জন্য বাংলাদেশের কয়েক হাজার সাধারন মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে আর পঙ্গুত্ব বরন করতে হয়েছে প্রায় পঁচিশ হাজারেরও বেশি মানুষকে। আমাদের সকলেরই স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার পতনের গত জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের কথা জানা ইতোমধ্যে এই নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এই বিপ্লব নিয়ে আমরা অনেক নতুন নতুন তথ্য ও তত্ত্ব পাবো আরো অনেক লেখালেখি হবে গবেষণা হবে অবশ্য তা হতেই হবে। তা না হলে এই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ও আত্মত্যাগ সম্পুর্ন বৃথা হয়ে যাবে। ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্টের গনবিপ্লব কোন কোন বিশেষ গোষ্ঠী নিজেদের বলে চালিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করতে মোটেও দ্বিধা বোধ করবে না যেমনটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে করেছে আওয়ামিলীগ। অবশ্য ইতোমধ্যে কোন কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর আচার-আচরণ কথাবার্তা আর কার্যক্রমে তারা এমনটি ই প্রমান করতে মরিয়া যে ২৪ এর জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার তথা বাংলাদের গনমানুষের বিপ্লব তাদের ই পরিকল্পনা তারাই মাস্টার মাইন্ড!
২০০৮ সালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামিলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকেই শেখ হাসিনার ভিতর একদিকে যেমন অহংকার অহমিকা আর দম্ভের জন্ম হয় অন্য দিকে তিনি হয়ে উঠেন একজন অপ্রতিরোধ্য হিংস্র মনোভাবের একনায়কের মহারানী। দেশে সাধারন মানুষের আশা আকাংখা মতামতকে সম্পুর্ন ভাবে উপেক্ষা করে গুম খুনের মাধ্যমে এক আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি করে দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের মহারাজ্যে পরিনত হয় আমার প্রান প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। সাধারন রাস্তার টোকাই ছেলেও শুধুমাত্র গায়ে মজিব কোট জরিয়ে আর জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনা বা তার দল বা পরিবারের কারো আশীর্বাদে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গিয়ে কানাডা, আমেরিকা বা দুবাইতে আমিরী হালে জীবন যাপন করছে। চট্রগ্রামের খাতুগঞ্জের ভুষিমালের ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম হয়ে গিয়েছিলেন ব্যবসায়িক টাইকুন। দেশের প্রাইভেট সেক্টরের অনেক গুলি ব্যাংক ই শুধু শেখ পরিবারের স্বার্থের কথা বিবেচনায় তার হাতে তুলে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে রীতিমতো ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ গ্রাহকরা এস.আলমের সহ বেশ কয়েকটি গ্রপের মালিকানার ব্যাংক থেকে নিজেদের আমানতের টাকা দিনের পর দিন ঘুরে তুলতে পারছেন না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাত-ই-ইসলাম অনেকটা অংশ দখল করে আছে। তবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভুমিকা চিরকালের প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও বর্তমান রাজনীতিতে তারা ও নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে প্রমানে ব্যস্ত। আর সেই পথ ধরেই জামাত-ই-ইসলাম বর্তমান রাজনীতিতে নিজেদের অনেকটাই তালেবর ভাবছেন। তাদের ধ্যান ধারনা ও পরিকল্পনা দেখে মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হয়তো তাদের হাতেই। অবশ্য একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ই মুল লক্ষ্য জনগনের ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া। আর এই রাষ্ট্রীয় ক্ষামতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই রাজনীতি। তবে এই ক্ষমতায় আসার জন্য কোন ছলচাতুরী প্রতারনা পেশীশক্তি বা জবরদখলের পন্থা অবলম্বন জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। তার পরিনাম কখনোই সুখকর হয় না। যার জলন্ত প্রমান সদ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিতারিত আওয়ামী জোট সরকার। এবার আসি জামাত-ই-ইসলাম ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কথায়। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এক ভিন্ন রুপের আবির্ভাব ঘটে জামাত-শিবিরের। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে সিনিয়র সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপর যে নির্যাতন করেছে, এর জন্য তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। আমার ধারনা এই ঘোষণার মধ্যে ডা. শফিকুর রহমানের একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। সেই উদ্দেশ্যের কথায় পরে আসি। এর আগে বলতে চাই জামা-ই-ইসলাম তথা ডা. শফিকুর রহমানদের রাজনৈতিক ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই জামাত-শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার দায়ে ক্ষমতা লিপ্সু শেখ হাসিনার নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন পর্যন্ত দিয়েছেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যে শুধু জামাত-শিবির তাই নয় বরং শেখ হাসিনার মতের বিরুদ্ধে যাওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও মত ই তার প্রতিহিংসার শিকার। যেহেতু জামাত-শিবিরের কথা বলছিলাম তাই আপতত এখানে থাকি। জামাতের আমির ডা. শফিকুর রহমান নিজের ও তার দলের স্বার্থরক্ষার জন্য আওয়ামিলীগকে ক্ষমার কথা বললেও আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়ে যেই সকল জামাত-শিবিরের নেতা কর্মীরা জীবন দিয়েছেন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তারা এবং তাদের পরিবারের কোন সদস্যই শেখ হাসিনা তথা আওয়ামিলীগকে ক্ষমা তো করবেন ই না বরং শেখ হাসিনা ও আওয়ামিলীগ সরকারে থাকা ইনু, মেনন সহ সকলের বিরুদ্ধে বদলা নিতে বদ্ধপরিকর। যার প্রমান গত জুলাই আগষ্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনা স্বৈরশাসনে পতন। গত জুলাই আগষ্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুল কারনই ছিল শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী জোট সরকারের বিরুদ্ধে আত্যাচার নির্যাতনের ই প্রতিবাদ। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারকে দীর্ঘদিন নগ্ন ভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার মুলেই ছিল ভারত। অর্থাৎ ভারতের সরাসরি মদদে ই শেখ হাসিনা এতোটা ভয়ংকর হওয়ার শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছে।
আমাদের গনতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার, ভোটাধিকার হারানোর পিছনের একমাত্র শক্তি ই ভারত। জামাত-ই-ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসার স্বপ্নে ভারতের সাথে একটু প্রেমের সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু জানিনা এটি কি তার ভাগ্যের পরিহাস কিনা যে ভারত তার সেই প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো।গত ২৭ আগষ্ট ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইমক্যাব)-এর নেতৃবৃন্দ ও এনডিটিভি’র একজন সিনিয়র সাংবাদিকের আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত প্রেমের এই প্রস্তাব করেছিলেন জনাব শফিকুর রহমান। তবে ভারত সরকারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে জামাত-ই-ইসলামের আমিরের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক নেতা মরহুম রুহুল আমিন গাজীর নামাজে জানাজায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জামাত নেতাদের সাথে শেখ হাসিনার প্রিয়, তেলবাজ ও চাটুকার সাংবাদিকদের সাথে চা, ডাল পুরির গোল টেবিল বৈঠক দেখে অনেকেই বিস্মিত হলেও আমি জানি এটাই জামাত-ই-ইসলামের রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শ। ১৯৮৬ এবং ১৯৯৬ সালের আওয়ামী পুরনো প্রেম এত দ্রুত কি করে ভুলবেন জামাত-ই- ইসলাম? এছাড়া জামাত-ই-ইসলামের ভিতর আরো একটা কৌশল হয়তো জন্ম নিশেছে তারা আওয়ামিলীগের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে আওয়ামিলীগের ভোটারদের হয়তো তাদের পকেটে এনে ক্ষমতার মসনদে আসীন হবেন। আমি আগেই বলেছি একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য ই হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তবে সেটা কোন নোংরা পদ্ধতি অবলম্বনে নয়। ছাত্র শিবিরের ছেলেরা এত দিন নিজেদের পিঠ বাঁচাতে নাকিনছাত্রলীগের ঘরে লালিত পালিত হয়ে নতুন করে আপন ঘরে ফিরতে শুরু করছেন। আবার অনেকেরই ধারনা ছাত্রলীগের ছেলেদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ই শিবির আজ তাদের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শিবির তাদের আত্মরক্ষায় ছাত্রলীগের ছায়া আশ্রয় নিয়ে ছাত্রলীগের সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবে যে কাজ করছে তাদের অপকর্মের যে শরিকদার হয়েছে এটাই সত্য। আর শিবিরের রাজনৈতিক রেকর্ড ও ঐতিহ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও বিদ্যমান। তাই আমি নিশ্চিত গত ১৫ বছরের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা যত অপকর্ম করেছে তার অধিকাংশেরই অন্তরালে থাকা শিবিরের নেতা কর্মীদের সহযোগিতা। এর আগে ছাত্রলীগের ভিতর থেকেও ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাদের অভিযোগ ছিল ছাত্রশিবির ছাত্রলীগে পুনর্বাসিত হয়ে সংগঠনের বড় বড় পদ বাগিয়ে নিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর এমনটি শোনা গেছে।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগষ্ট অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধারন হওয়ার পর ২৫ আগষ্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে তিনি ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে অনেকটাই খাটো করে এই বিপ্লবের একক কৃতিত্ব শুধু ছাত্রদের দেয়া চেষ্টা করেই হয়তো বলেছিলেন, " ছাত্ররা তাদের অর্থাৎ উপদেষ্টা পরিষদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা , তারা যখন বলবে, তখন তারা চলে যাবেন "। জানিনা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোন গোষ্ঠীর উৎসাহে এমনটি বলেছেন। তার এমন বক্তব্যের পর আমাদের ছাত্রদের ভিতর এক ধরবের অহমিকার ছাপ দেখলাম। তারা সরকারের নানা নিয়োগ, বদলিতে ও ভুমিকা রাখতে শুরু করলেন। তবে জনগনের কাছ ৎেকে সংগ্রহ করা ত্রানের টাকার সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হলেন তারা।কারন ছাত্রদের সমন্বকের বেশে অনেকেই তাদের দায়িত্বের সীমা অনেকটা ইতোমধ্যে লংঘন করতে চেষ্টা করছেন।
তার পর ও আমি বলবো আমাদের সৌভাগ্য যে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন বিশ্ব সমাদৃত ব্যক্তি আমাদের দেশের হাল ধরেছেন। তবে তার সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই আছেন উড়ে এসে জুরে বসেছেন আবার অনেকে ২০০৭ সালের এক এগারোর সরকারের সুবিধা ভোগী আবার কারো আছে আওয়ামিলীগ তথা ভারত প্রীতি। প্রশাসনের প্রতি স্তরে এখনো শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্তদের দাপট। সব কিছু মিলিয়ে এখনো প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার জনগনের আশা আকাংখার কাছাকাছি আসতে হয়তো আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ঐকান্তিক ইচ্ছায় বাংলাদেশকে একটি বিশেষ স্হানে এনে দাড় করাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন এটাই বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের বিশ্বাস। ইতোমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল ব্যক্তবে তারেক রহমান বলেছেন , " অন্তর্বর্তী সরকার হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে লাখো-কোটি জনতার গণ–অভ্যুত্থানের ফসল , এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। " তারেক রহান তার বক্তব্যে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারে রাষ্ট্র পুর্নগঠন ও কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কারকে সমর্থন ও সহযোগিতা কথা সম্পুর্ন ভাবে ব্যক্ত করে এই সরকারের পথচলাকে আরো মসৃণ আরো সহজ করে দিয়েছেন । তবে আমাদের আশা বর্তমান সরকার কারো কোন পাতা ফাঁদে পা দিবেন না। বর্তমান রাজনৈতিক মাঠের সবচেয়ে বৃহৎ খেলোয়াড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দীর্ঘ সতের বছর রাজনৈতিক ভাবে চরম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এই দলের সকল নেতা কর্মী। কিন্তু ৫ আগষ্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর থেকেই বিএনপির এক শ্রেণীর নেতা কর্মীদের ভিতর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর দখলদারিত্বের মনোভাব চলে আসছে এবং সেই পথেই হাঁটছে। যদি ও বিএনপির হাইকমান্ড ইতোমধ্যে এই সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ দলীয় শাস্তির ব্যবস্হা নিয়েছেন তার পর ও এই সকল দখলবাজ সন্ত্রাসী সুবিধাবাদীদের নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের কঠিন হয়ে পরেছে বিএনপির জন্য। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির কাজ হবে নিজেদের দকের ভিতর সংস্কার দলের ভিতর থাকা আগাছা পরগাছা পরিস্কার করে অতীতের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে দেশের সাধারন জনগনের প্রত্যাশার পথে হাটা।
একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দেশের স্বার্থে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই সুষ্ঠু ও স্বাধীন ভাবে রাজনীতি করবে। প্রতিটি নাগরিক তার সুষ্ঠুও সুস্থ মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে । তবে রাজনীতিতে কোন ধরনের ছলচাতুরী, ভান্ডামী, সন্ত্রাস, কালো টাকার প্রভাব,পেশীশক্তি কখনোই কোন শুভ পরিনাম বয়ে আনে নাই আর ভবিষ্যতেও আনবে না। তাই আমাদের রাজনীতিতে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পরিনতির কথা মাথায় নিয়ে পথ চললে ভবিষ্যৎ রাজনীতি দেশ ও জাতির কল্যায়ন বয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপ্নের সেই সোনার বাংলাদেশ হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪০
আহরণ বলেছেন: তালেবানের পথে..... @ ভাইয়া।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নানা সেক্টরে যেখান থেকে আওয়ামিলীগ বিতাড়িত হচ্ছে সেখানে সেখানে পুনর্বাসিত হচ্ছে জামায়াত। নিয়োগ,বদলি,পদায়ন ইত্যাদি দেখে মনে হয় জামায়াতের ছত্রছায়ায় দেশ চলছে।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭
নিমো বলেছেন: @লিটন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ, দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর নূতন বাংলাদেশে আপনি আর কাদেরকে দেখতে চাচ্ছেন? এখন নূতন জাতীয় পতাকা, নূতন রাষ্ট্রভাষা কী হবে সেটা বলেন। নূতন সংবিধানটা শফিক কবে লিখবে সেটা জানান।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ১৯৭১ এর স্বাধীনতা আর বর্তমান আন্দোলনের অনেক পার্থক্য
এর গভীরতা সকলে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে ।
....................................................................................
এখানে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার কথা আসে কি করে ???