নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে ভারতের হাতে স্বাধীনতা হারিয়েছিল হায়দরাবাদ - সিদরাতুল সাফায়াত ড্যারিয়াল

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৬

(লেখাটা ইত্তেফাকে প্রকাশিত, যেন আরো কিছু পাঠক পড়ে ফলে এখানে কপি করে দিলাম, জ্ঞান চোখ খোলার জন্য, লেখক ইত্তেফাকের কন্ট্রিভিউটর সিদরাতুল সাফায়াত ড্যারিয়াল, প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২২ https://www.ittefaq.com.bd/700819)

হায়দরাবাদে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকের শেষ দিকে। তখন থেকেই হায়দরাবাদকে কেন্দ্র করে মুসলিম শিল্প-সংস্কৃতির যে বিকাশ ঘটে তা পুরো দাক্ষিণাত্যকে প্রভাবিত করেছিল। ভারতের ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও হায়দরাবাদ পুরোপুরি স্বাধীনতা বিসর্জন দেয়নি। ব্রিটিশ সরকারের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে এটি একটি দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়। ৮২,৬৯৮ বর্গমাইল এলাকা বিস্তৃত এবং বাংলাদেশের তুলনায়ও আয়তনে বড় দেশ হায়দরাবাদ।

শুধু আয়তনে নয়, সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং সামর্থ্যরে দিক থেকেও স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঠিক থাকার সকল যোগ্যতাই হায়দরাবাদের ছিল। হায়দরাবাদের খনিজ সম্পদের মধ্যে কয়লা, সোনা, লোহা, হীরক প্রভৃতির আকর ছিল। কৃষি সম্পদের মধ্যে চাল, গম, জওয়ার, বজরা, তিল, তিসি ভুট্টা, তামাকের প্রচুর ফলন ছিল। দেশটিতে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ছিল। নিজস্ব আইন আদালত ছিল। বিচার ব্যবস্থা ছিল। নিজস্ব মুদ্রা ছিল, সেনাবাহিনী ছিল, হাইকোর্ট ছিল, ছিল শুল্ক বিভাগ। নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ছিল ভাষা, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। দেশে দেশে রাষ্ট্রদূত ছিল, এমনকি জাতিসংঘে নিজস্ব প্রতিনিধিও ছিল।

১৯৪৭ সালের ১৬ জুলাই ইংল্যান্ডের ভারতীয় বিষয়ক সচিব লর্ড লিষ্টোয়েল লর্ড সভায় বলেছিলেন,‘এখন থেকে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলো হতে ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি প্রত্যাহার এবং তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। দেশীয় রাজ্যগুলো ভারত অথবা পাকিস্তান ডোমিনিয়নের কোনটিতে যোগ দেবে, অথবা স্বাধীন সত্তা বজায় রাখবে তা সম্পূর্ণ তাদের ইচ্ছাধীন। ব্রিটিশ সরকার সে বিষয়ে কোন রকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে না’।

হায়দরাবাদ ভারত বা পাকিস্তান কোনোটিতেই যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটি জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদনও জানিয়েছিল। কিন্তু ভারতের নেতারা সামরিক এই মুসলিম দেশটিকে জোর করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা ‘অপারেশন পোলো’ নামের এক সামরিক অভিযান চালান ভারতীয় সেনাদের দিয়ে। (গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে হায়দরাবাদ-দাক্ষিণাত্যে ছিল পোলো নামক অভিজাত খেলার সবচেয়ে বেশি ময়দান।)

দিনটি ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ ইং। ৭৫ বছর আগে এই দিনে ভারতের শেষ স্বাধীন মুসলিম সালতানাত বা রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বাধীনতার অবসান ঘটে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হাতে হায়দরাবাদের স্বাধীনতার পক্ষের যোদ্ধাদের পরাজয় ঘটে সেদিন।

দাক্ষিণাত্য নামে পরিচিত এই মুসলিম রাষ্ট্রের শেষ সুলতান ওসমান আলী খান নিজাম-উল-মুলক আসেফ জাহ (নবম) ভারতীয় হামলা শুরুর পর ছয় দিন প্রতিরোধ চালিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাপক রক্তপাত এড়াতে তার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ফলে প্রায় ৬০০ বছরের স্বাধীন এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতার অবসান ঘটে। অবসান হয় আসেফ জাহ’র পূর্বপুরুষদের ২২৪ বছরের শাসন।

সেই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের তৎকালীন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল স্বাধীন হায়দরাবাদ রাজ্যকে ভারতের সাথে যুক্ত করতে হায়দরাবাদে সেনাবাহিনীকে প্রবেশের অনুমতি দেন। ভারতীয় সেনাদের সেই অভিযান ব্যাপক বিপর্যয় বয়ে এনেছিল স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য। বিশেষ করে মারাথওয়ারা অঞ্চলের পরিস্থিতি হয়ে পড়েছিল ভয়াবহ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহারলাল নেহেরু এই বিপর্যয়ের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তদন্তের ফলাফল কখনও প্রকাশ করা হয়নি। “হায়দারবাদ: একটি মুসলিম ট্র্যাজেডি” শীর্ষক এক প্রবন্ধে অধ্যাপক উইলফ্রেড ক্যান্টওয়েল স্মিথ বিবেকবান হিন্দু প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য উল্লেখ করে লিখেছেন, “যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর মুসলমানরা (গণহারে) ব্যাপক আঘাত ও পাশবিক হামলার শিকার হয়। ধ্বংসযজ্ঞের পর যারা বেঁচে ছিলেন তারাও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। তাদের হাজার হাজার ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় এবং উচ্ছেদ করা হয় কয়েক লাখকে। মুসলিম বাহিনীর সহযোগীদের কথিত সহিংসতার প্রতিশোধ নেয়ার অজুহাত দেখিয়েই এইসব নারকীয় অভিযান চালানো হয়েছিল।” (১৯৫০ সালে প্রকাশিত ‘দ্যা মিডল-ইস্ট জার্নাল’, খণ্ড-৪)

হায়দরাবাদ-দাক্ষিণাত্য আরব ও ইরানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুবাদে ইসলামি সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হয়েছিল। এখানে ফারসি ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। ইসলামপূর্ব যুগেও দাক্ষিণাত্য উত্তর ভারতের মাধ্যমে স্বল্প কিছু কাল পদানত থাকলেও বেশির ভাগ সময়ই স্বাধীন ছিল। ভারতে তুর্কি মুসলিম তোঘলক বংশের শাসনামলে এই দেশটি ১৩৪৭ সালে আলাউদ্দিন হাসান বাহমান শাহের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে। ইরানি বংশোদ্ভূত এই জেনারেল প্রতিষ্ঠা করেন বাহমানী বংশের রাজত্ব।

সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে এই রাষ্ট্র ৫টি পৃথক সুলতানাতে বিভক্ত হয়েছিল। এসবের মধ্যে প্রধান তিন শক্তি হিসেবে বিবেচিত হত আহমাদনগরের নিজামশাহী রাজ্য, বিজাপুরের আদেলশাহী রাজ্য এবং হায়দরাবাদ-গোলকুণ্ডার কুতুবশাহী রাজ্য। এই রাষ্ট্রগুলো শিয়া মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। তাই এই রাষ্ট্রগুলোর প্রধানরা ভারতবর্ষের মোগল সম্রাটদের পরিবর্তে ইরানের সাফাভি বংশের সম্রাটদেরকে নিজেদের সম্রাট হিসেবে মান্য করতেন। আদেলশাহী ও কুতুবশাহী রাজবংশের শাসকরা ছিলেন মূলত তুর্কিভাষী ইরানি বংশোদ্ভূত। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৮৬ ও ১৬৮৭ সনে এই দুই বংশের রাজ্য জয় করে নেন।

১৭২৪ সালে দাক্ষিণাত্য আবারও বিচক্ষণ জেনারেল কামারউদ্দিন খান নিজামুল মুলক আসফ জাহ’র নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই আসফ জাহ ছিলেন উঁচু মানের একজন ফারসি কবি। তিনি নাদির শাহের ভারত আক্রমণের সময় দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন। ভারত বিজেতা নাদির শাহ আসফ জাহের কাছে গোটা ভারতের শাসনভার অর্পণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পরাজিত মোগল সম্রাট মোহাম্মাদ শাহের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সবিনয়ে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৪৮

আজব লিংকন বলেছেন: ভারতবর্ষে প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ ইসলামিক ইতিহাস রয়েছে। এইসব ইতিহাস পরে বেশ ভাল লাগে।
অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল-এর গুরুত্ব অপরিসীম। উনার কারণেই আজ অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠিত।

বর্তমান ভারত তথা হায়দ্রাবাদের আমার পছন্দের একজন ব্যক্তিত্ব হলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: সারা ভারতে এক সময় এক সময় মুসলির শাসন ছিলো।তার আগে ছিলো হিন্দু শাসন।তার আগে ছিলো বৌদ্ধ শাসন।৪৭ অর আগে ছিলো বৃটিশের শাসন।
বৃটিশের কাছ থেকে যখন স্বাধীন হয় তখন অনেক ছোট ছোট রাজ্য ছিলো কিন্তু কোন স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো না।ঐ সমস্ত রাজারা ভারতের সাথে যোগ দেয়।যেমন কাশ্মীর ত্রিপুরা আরো অনেক ছোট ছোট রাজ্য।হাদ্রাবাদ ভারতে যোগ দেয় নি।কিন্তু তারা তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারে নাই কারণ তারা স্বীকৃত কোন রাষ্ট্র ছিলো না।বৃটিশ তাদের স্বিকৃতি দেয় নাই।পাকিস্তান এবং ভারতকে স্বিকৃতি দেয়।বৃটিশ স্বিকৃতি দিলে তালা স্বাধীন থাকতো।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




দিনটি ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪? ইং। ৭৫ বছর আগে এই দিনে ভারতের শেষ স্বাধীন মুসলিম সালতানাত বা রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বাধীনতার অবসান ঘটে। ১৯৮৪?

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.