নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ মামুনূর রশীদ

সৈয়দ মামুনূর রশীদ

কাঙাল মানুষ, কাঙাল মন / আগা-গোড়া কাঙালী জীবন/ দুঃখ করি না, দুঃখ দিই না/ জোৎস্নার দিঘীতে স্নান দিয়ে/ সুখে ভাসতে চাই।

সৈয়দ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অটিজমে আক্রান্ত সন্তানের মা-বাবাদের সমাজে “সুপার প্যারেন্টস” হিসেবে তাদের প্রাপ্য সন্মান প্রতিষ্ঠা করতে হবে;

২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

প্রতিবন্ধি শিশু রিজিয়া সুলতানা। শিশুটির বর্তমান বয়স ছয়। জন্মের প্রায় দুই বছর পরে মা বুঝতে পারে সন্তানের কোথাও সমস্যা হচ্ছে। রিজিয়ার মা বিলকিছ আক্তার অভাব অনটনে সংসার চালায়। স্বামী অন্যত্র বিয়ে করাতে সংসারের খরচ পাওয়া যায় না। প্রতিবেশীদের বাড়িতে কাজ করে তিনি চার সন্তানের সংসার চালান। সন্তানের প্রতি নজর দেয়ার সুযোগ কম। তবুও তিনি তার তৃতীয় সন্তানটির আচরণ এবং শারিরীক সমস্যাগুলো দেখে স্থানীয় এক ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে জানতে পারে শিশুটির হরমোনজনিত সমস্যা রয়েছে। অভাবের সংসারের তিনি হতাশা নিয়ে সন্তানের চিকিৎসা কিংবা সুস্থতার আশা ছেড়ে দেন। এদিকে দিন দিন বাড়তে থাকে স্বামীর অসহযোগিতা। বিলকিছ আক্তারের বাড়ি চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মেখল ছমদ আলীর বাড়ি। তার স্বামীর নাম মোঃ মোজাহের। মেখল ইউনিয়নে পল্লী কর্ম-সংস্থান সহায়ক ফাউন্ডেনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ঘাসফুল বাস্তবায়ন করছে ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসুচি। একদিন সমৃদ্ধি কর্মসুচির এক অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধি শিশুটির মা বিলকিছ আক্তারের সুযোগের দরজা খুলে যায়। গত ১৯ আগস্ট ২০১৭ মেখল ইউনিয়নে কর্মরত সমৃদ্ধি কর্মসুচি এর স্টাফদের মতবিনিময় সভা এবং ঘাসফুল বাস্তবায়নাধীন পিকেএসএফ এর অন্য একটি প্রকল্প পেইজ এর বৃক্ষরোপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফজলুল কাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবন্ধি শিশুটির মা তার সন্তানের চিকিৎসার্থে সাহার্য্য প্রার্থনা করেন। সদাশয় ফজলুল কাদের মহোদয় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি গুরুতের সাথে নেন এবং ঘাসফুল কর্মকর্তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় পিকেএসএফ বরাবরে আবেদনপত্র প্রেরণের পরামর্শ প্রদান করেন। বিলকিছ আক্তার নিরাশার সমুদ্রে যেন হঠাৎ কুল দেখতে পেলেন। পরবর্তী ২৮ আগস্ট তিনি সন্তানের চিকিৎসা সহায়তার জন্য ঘাসফুল বরাবরে আবেদন করলে সংস্থার প্রধান আফতাবুর রহমান জাফরীও বিয়য়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন এবং অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ২৯ আগস্ট যথাযথ প্রক্রিয়ায় পিকেএসএফ বরাবরে আবেদন করেন। পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক মুখ্যসচিব মোঃ আবদুল করিম মহোদয় বিষয়টি জানতে পারে আন্তরিকতার সাথে খোঁজ খবর শুরু করেন এবং দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশনা প্রদান করেন। ইতিমধ্যে ঘাসফুল শিশুটিকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অধিনে পরিচালিত অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে প্রেরণ করলে সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ মাহমুদ এ চৌধুরী আরজু জানান, বাচ্চাটি Congenital Hypothyroidism & Development Delay সমস্যায় ভুগছে। অবশেষে ২৭ নভেম্বর ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ড. জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় কর্তৃক চিকিৎসা সহায়তার আবেদন অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়। গত ০৮ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলা মিলনায়তনে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত উন্নয়ন সংস্থাসমুহের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ সরকারের মুখ্যসচিব ও পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম শিশুটির চিকিৎসা সহায়তার জন্য তার মা বিলকিছ আক্তারের হাতে একলক্ষ বিশ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন। জানা যায় শিশুটির চিকিৎসা সহায়তায় অনুদানের খবর পেয়ে তাদের ছেড়ে যাওয়া বাবা মোজাহের ঘরে ফিরে আসে এবং সহায়তার নগদ অর্থ তার হাতে তুলে দেয়ার অনুরোধ করে। অন্যদিকে শিশুটির মা’ ও একইসাথে চিকিৎসা সহায়তার নগদ অর্থ দাবি করলে ঘাসফুল শিশুটির যথার্থ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য একটি উদ্যোগ হাতে নেয়। মেখল ইউনিয়নে বাস্তবায়নাধীন সমৃদ্ধি কর্মসুচি’র সমন্বয়কারি মোঃ নাছির এবং শিশুটির মা বিলকিছ আক্তারের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত একটি ব্যাংক হিসাব খুলে সেখানে সহায়তার টাকাগুলো জমা করেন। সংস্থার উদ্যোগে চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধানে পরিচালিত অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে শিশুটিকে এনে সেখানে নিয়মিত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব থেকে শিশুটির চিকিৎসাব্যয় নির্বাহে যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হিসাব প্রক্রিয়া সংরক্ষণ এবং চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়। ঘাসফুলের এধরণের উদ্যোগের ফলে শিশুটির সূ-চিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অনুদানের টাকাগুলো অপব্যবহারের হাত থেকে রক্ষা পায়। বর্তমানে বিশিষ্ট শিশু আটিজম বিশেষজ্ঞ ডাঃ আরজু চৌধুরীর তত্বাবধানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে শিশুটির চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতকারে ডাঃ আরজু বলেন, হরমোনের অভাবজনিত রোগটি যতই কম বয়সে নির্ণয় করা সম্ভব হয় ততই মঙ্গল। এক্ষেত্রে নবজাতকের এক থেকে দেড় বছর বয়সের মধ্যে যদি নির্ণয় করা সম্ভব হয় তাহলে রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য, অন্যথায় আজীবন হরমোনের ঔষধ সেবন করতে হয়। তিনি আরো বলেন, হাটহাজারী উপজেলার রিজিয়া সুলতানা নামের কন্যাশিশুটি আমাদের কাছে প্রথম আসে গতবছর আগস্ট মাসে, যখন তার বয়স ছিল পাঁচ। ইতিমধ্যে শিশুটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। শিশুটি আগে বসতে পারতো না, দাঁড়াতে পারতো না, হাঁটতে পারতো না। তিনি আমাদের সামনেই শিশুটির সাথে কথা বলে, হাঁটিয়ে সরাসরি প্রত্যক্ষ করালেন চিকিৎসার অগ্রগতি। প্রতিবন্ধি শিশু রাজিয়া সুলতানার চিকিৎসা সংক্রান্ত অগ্রগতি দেখতে ঘাসফুলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুর রহমান জাফরী এর নির্দেশে একটি পর্যবেক্ষক দল হাটহাজারী মেখল ইউনিয়নে শিশুটির বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ক্ষুদ্র কুঁড়েঘরে তাদের বসবাস। শিশুর মা বিলকিছ আক্তার নাম ধরে ডাক দিলে মেয়েটি জবাব দিয়ে ছুটে আসে। তারপর মা জানান, পাঁচমাস আগেও ডাক দিলে সায় দিতো না। প্রতিবেশী লায়লা বেগম বলেন, মেয়েটি জন্মের পর থেকে অন্যরকম, মাটিতে শুয়ে থাকতো, বুক দিয়ে নড়াচড়া করার চেষ্টা করলেও নড়তে পারতো না। এখন মেয়েটা হাঁটে, হাসে, অল্প অল্প কথাও বলতে পারে। আমাদের সামনেই ঘাসফুল সমৃদ্ধি কর্মসুচি’র সমন্বয়কারী মো: নাছির উদ্দিনের কোলে বসে বাচ্চাটি কথা বলছে, নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে - যা একসময় অকল্পনীয় ছিল বলে তিনি জানান। শিশুটির চিকিৎসা মুলত: থাইরক্র নামের একটি ঔষধ - যা তাকে সারাজীবন সেবন করতে হবে। এছাড়াও রয়েছে নিয়মিত ব্যায়াম এবং বিভিন্নরকম থেরাপি। শিশুটির চিকিৎসায় প্রথমপর্যায়ে ছিল বসার ব্যায়াম, তারপর দাঁড়ানোর ব্যায়াম, হাঁটার ব্যায়াম এবং সর্বশেষ দৌড়ানোর ব্যায়াম। বর্তমানে শিশুটির জন্য চলছে দৌড়ানোর ব্যায়াম। গত একবছরের চিকিৎসাপত্র পর্যবেক্ষণে তাকে দেয়া এরকম বিভিন্নধরণের শারিরীক কসরতের বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন; ওখানে বলা হয়েছে দুই’পা জোড় করে নিচু জায়গা থেকে লাফ দেয়া, শিশুটিকে সব কাজ কথা বলে করানো, এক পায়ে দাঁড়ানো, কোমর তোলা, উঠা-বসা করা, টয়লেট ট্রেনিং, সিঁড়ি থেকে নামা, বাচ্চাকে অবজেক্ট সম্পর্কে, বইয়ের ছবি সম্পর্কে, দৈনন্দিন কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়া, ছোট ছোট ছড়া শুনানো, ছোট ছোট জিনিসের মাধ্যমে আদান প্রদান শেখানো ইত্যাদি। অটিজম বিশেষজ্ঞ ডাঃ আরজু বলেন, আমাদের টিমে প্রশিক্ষিত শিশু বিশেষজ্ঞদের শারিরীক চিকিৎসার পাশাপাশি, স্পিস থেরাপিস্ট, চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট, লো-ভিশন থেরাপিষ্ট, ডেভেলপমেন্টাল থেরাপিষ্ট, অকুপেশনাল থেরাপিষ্ট, অপটোমেট্রিস্ট এবং পুষ্টিবিদের সমন্বয়ে একসাথে কাজ করে থাকে। হাসপাতালের জনবলের তালিকায় দেখা যায়; অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তাদের তালিকায় রয়েছে একজন পুর্ণাঙ্গ অধ্যাপক, একজন সহকারি অধ্যাপক, একজন রেজিষ্টার ও একজন সহকারি রেজিষ্টার, তিনজন মেডিকেল অফিসার এবং থেরাপিষ্ট, পুষ্টিবিদ ও সাইকোলজিষ্টসহ ১৪ জন সহযোগি কর্মকর্তা। ডাঃ আরজু জানান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামে আমরা অটিজম প্রতিরোধে কাজ করছি। জনাব আরজু স্বপ্ন দেখেন মা ও শিশু হাসপাতালের এ প্রচেষ্টার মতো সারাদেশে কিছু নিবেদিত পেশাদার লোকজন বা সংগঠন উদ্বুদ্ধ হবে। তিনি আশা করেন গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র মানুষের ঘরে হাসি ফোটানোর কাজটি দায়িত্ব নিতে কেউ কেউ না এগিয়ে আসবেন। তিনি বিশ্বাস করেন প্রতিটি পরিবারে অমুল্য হাসি ও সুখ এনে দিতে পারে একটি সুস্থ, স্বাভাবিক নবজাতক। বাংলাদেশে এসকল বিশেষ শিশুদের চিকিৎসা, শিক্ষা এবং পরিচর্চায় বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডাঃ আরজু বলেন, দেশে অটিজম নিয়ে কাজ করবে এধরণের পেশাদার জনবলের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। যদিও বাংলাদেেেশর প্রধানমন্ত্রী সুযোগ্য কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল এর অক্লান্ত প্রচেস্টায় এ সেক্টরে একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। আলাপকালে তিনি জানান, ঘাসফুল যদি উদ্যোগ নেয় তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাঠপর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়ণমুলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত এনজিওকর্মীদের প্রশিক্ষিত করতে আগ্রহি। যাতে তারা তৃণমুল পর্যায়ে প্রতিটি বাড়িতে নবজাতকদের মধ্যে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের চিহ্নিত করতে পারে, সঠিক চিকিৎসা/পরামর্শ দিতে পারে, ক্ষেত্রবিশেষ বিভিন্ন থেরাপি দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে পারে। তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে আরো কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অটিজম ও শিশু বিকাশ ইনষ্টিটিউট এর রেজিষ্টার ডাঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুলতানা রাজিয়া শিশুটির দেরীতে রোগ নির্ণয় হওয়ায় সারাজীবন থাইরক্র ঔষধ সেবন করতে হবে। শিশুটির পর্যাপ্ত পরিচর্চা ও নানারকম ব্যায়াম ও থেরাপি অব্যাহত রাখতে হবে। হাসপাতালের চিকিৎসার পাশাপাশি শিশুটি যদি নিজঘরে ও আশপাশের প্রতিবেশীদের একটু সহযোগিতা পায় তাহলে খুব সহসা সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তিনি জানান এধরণের সমস্যাগ্রস্থ শিশুদের জন্মের ছয়মাসের মধ্যে চিহ্নিত করতে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা- যা মাঠ পর্যায়ে কর্মরত এনজিওকর্মীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।
আমরা জানি দেশের বিশেষ শিশুদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পরিচর্চায় বিশেষ মা, বিশেষ শিক্ষক, বিশেষ চিকিৎসক প্রয়োজন। সমাজে, পরিবারে এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে ও প্রতিটি স্তরে দায়িত্বশীলদের এসব বিশেষ শিশু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতাও জরুরী। সুতরাং আমাদের দেশে বিশেষ শিশুদের উপযোগি পরিবার, সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক কর্মযজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মুলত: প্রতিটি শিশু সব দক্ষতা নিয়ে জন্মায় না। আশ-পাশের মানুষ, আবহাওয়া, প্রকৃতি তাকে শেখায়। শিখতে শিখতে তার দক্ষতা বেড়ে যায়। এধরণের অর্জিত দক্ষতা তার বিকাশ ঘটায়। তাদের দেহের সাথে মানসিক বিকাশ ধাপে ধাপে সংগঠিত হয়। যেমন একটি শিশুর ৩ মাস বয়স পর্যন্ত পরিচিত শব্দে পিতা মাতার ভাষা বুঝে এবং কান্নার মাধ্যমে তার সমস্যা বুঝানোর চেষ্টা করে। একসময় ধীরে ধীরে ছোট ছোট শব্দ দিয়ে শুরু করে পুরো বাক্য বলা শেখে। ভাষা শেখার মাধ্যমে তারা অন্যান্য বিকাশ, বুদ্ধিবৃত্তীয়, সামাজিক, আবেগীয় ও শারীরিক প্রভৃতি সবধরণের বিকাশই ধাপে ধাপে একটি নিয়মের মাধ্যমে ঘটে। মুলত: প্রতিটি শিশু সব দক্ষতা নিয়ে জন্মায় না। আশ-পাশের মানুষ, আবহাওয়া, প্রকৃতি তাকে শেখায়। শিখতে শিখতে তার দক্ষতা বেড়ে যায়। এধরণের অর্জিত দক্ষতা তার বিকাশ ঘটায়। তাদের দেহের সাথে মানসিক বিকাশ ধাপে ধাপে সংগঠিত হয়। যেমন একটি শিশুর ৩ মাস বয়স পর্যন্ত পরিচিত শব্দে পিতা মাতার ভাষা বুঝে এবং কান্নার মাধ্যমে তার সমস্যা বুঝানোর চেষ্টা করে। একসময় ধীরে ধীরে ছোট ছোট শব্দ দিয়ে শুরু করে পুরো বাক্য বলা শেখে। ভাষা শেখার মাধ্যমে তারা অন্যান্য বিকাশ, বুদ্ধিবৃত্তীয়, সামাজিক, আবেগীয় ও শারীরিক প্রভৃতি সবধরণের বিকাশই ধাপে ধাপে একটি নিয়মের মাধ্যমে ঘটে। সাধারণত সমাজে লক্ষ্য করা যায়, অটিজমে আক্রান্ত কিংবা প্রতিবন্ধি শিশুদের মা-বাবারা এক কঠিন সময় পার করে থাকে। পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ শিক্ষাঙ্গন ও চলাফেরায় রাস্তাঘাটে তারা বিভিন্নভাবে বৈষম্যেও শিকার হয়ে থাকেন। অবজ্ঞা আর হেয় প্রতিপন্ন নয় মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে এসকল বিশেষ শিশু’র মা-বাবাদের সমাজে “সুপার প্যারেন্টস” হিসেবে তাদের প্রাপ্য সন্মান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানবিক সমাজে এসকল বিশেষ শিশুদের জন্য রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের মেধাবিকাশের পথ সুগম করতে হবে। বিশেষ শিশু’র মা-বাবাদের প্রতি সামাজিক করুণা নয় বরং তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঘাসফুল মনে করে সামাজিক দায়দ্ধতা ও মানুষের প্রতি মমত্ব নিয়ে সমাজের এসব বিশেষ শিশুদের উন্নয়নে সকল উন্নয়ণ সংস্থা, ক্লাব, পেশাদারি সংগঠন, সুশীল সমাজ, স্থানিয় সরকার, সরকারি বিভিন্ন সেবামুলক প্রতিষ্ঠান, দপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে একযোগে কর্মকান্ড পরিচালনা সম্ভব হলে এদের রাষ্ট্রিয় সম্পদ হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।
--সৈয়দ মামুনূর রশীদ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বিশেষ শিশু’র মা-বাবাদের প্রতি সামাজিক করুণা নয় বরং তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে

একশত ভাগ সহমত।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: লেখা যথেষ্ট লম্বা। আপাতত চোখ বুলিয়ে গেলাম মাত্র। মূল বক্তব্য বুঝতে পেরেছি। “সুপার
প্যারেন্টস” হিসেবে তাদের প্রাপ্য সন্মান
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সহমত। আরো কিছু পয়েন্ট এর সাথে সহমত।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: শিশুদের জন্য আমার সীমাহীণ মেয়ে। অথচ তাদের জন্য আমি কিছুই করতে পয়ারি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.