নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আবারো আলোচনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার মেয়ররা প্রার্থী হওয়া নিয়ে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ ঘনিয়ে আসায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার স্বার্থে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার মেয়ররা সংম্লিষ্ট পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবে কিনা?
কারণ তফসিলের পূর্বেই অনেকে পদত্যাগ করার নীতি গ্রহণ করেছেনে আবার অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন ।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে কিনা এই সংক্রান্তে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (১) দফার (চ) উপ-দফা এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ অনুচ্ছেদের (১) দফার (গ) উপ-দফাটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় চেয়ারম্যান/মেয়ররা স্বীয় পদে থেকে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। যদিও সরাসরি সুযোগটি বারিত করা হয় নি কিন্তু উক্ত বিধান মতে, কেউ যদি প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন তাহলে তিনি এমপি নির্বাচন করতে পারবেন না।
এই দুইটি আইনে লাভজনক পদের কথা বলা হলেও সরাসরি উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা অন্য কোনো পদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। “লাভজনক পদ” কোনটি সে সম্পর্কে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ অনুচ্ছেদেই একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, “ প্রজাতন্ত্রের বা কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। উল্লেখ্য যে "লাভজনক পদ" (Office of profit) অর্থ প্রজাতন্ত্র কিংবা সরকারি সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের ৫০% এর অধিক অংশীদারিত্ব সম্পন্ন কোম্পানীতে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত কোন পদ বা অবস্থান।"।
অপরদিকে সংবিধানের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (১) দফার (চ) উপ-দফায় বলা হয়েছে, সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে কোন ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী হবার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবেন না।
এই দুইটি অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ এবং উচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু আইনী সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি লাভজনক পদ হিসেবেই বিবেচিত হবে। তাই একজন উপজেলা চেয়ারম্যান তার পদে বহাল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রার্থী হতে গেলে তাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে আগে পদত্যাগ করতে হবে, তারপর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে । এটা শুধু উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রেই নয়, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বেলায়ও প্রযোজ্য।
অর্থাৎ এই পদে থাকা ব্যক্তিগণ তাদের পদে থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এই সংক্রান্তে দায়ের হওয়া একাধিক রিটে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই মর্মে একটি পরিপত্র জারি করেছে, যেটি বহাল আছে এখন।
ওই পরিপত্রে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে “সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ” হিসেবে সাব্যস্ত করত সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র, জেলা বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটিকেও "লাভজনক পদ" হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: তাও ঠিক!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৭
অরণি বলেছেন: ভালো সুযোগ।