নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আইনানুগ কর্তৃত্ব বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশনের অপরাধকে সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
সহজ করে বললে কেউ যদি বেআইনীভাবে কিংবা ব্যাংক/বিমা বা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেও নিজের উপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব নম্বরে অর্থ জমা প্রদান বা উত্তোলন বা উত্তোলন করিবার জন্য প্রদত্ত নির্দেশনা, আদেশ বা কর্তৃত্বপূর্ণ আইনানুগ আর্থিক লেনদেন এবং কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করেন সেক্ষেত্রে এটি একটি সাইবার অপরাধ হিসাবে গণ্য হবেন।
এমনকি সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত কোনো ই ট্রানজেকশনকে অবৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও ই-ট্রানজেকশন করেন তাহলে সেটাও অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।
আইনানুগ কর্তৃত্ব বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশনের অপরাধ ও দণ্ড
যদি কোনো ব্যক্তি এমন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। এটার জন্য কোন সাজার বিধান রাখা হয় নি।
তবে, কেউ যদি ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে হ্যাকিং করে কোন অপরাধ করেন সেটা হ্যাংকিংয়ের অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। সেজন্য ১৪ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমান হতে পারে। তার মানে, ব্যাংকিং/মোবাইল ব্যাংকিং/যে কোন বেআইনী ই-ট্রানজেকশন প্রতারণা এর মধ্যে একটু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
ব্যাংকিং/মোবাইল ব্যাংকিং/যে কোন বেআইনী ই-ট্রানজেকশন প্রতারণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনানুগ কর্তৃত্ব বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশন কার্যক্রম করতে হবে, অন্যদিকে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা সার্ভারে,নেটওয়ার্কে বৈধভাবে প্রবেশ করে কোন তথ্য চুরি,বিনাশ, বাতিল, পারিবর্তন বা ক্ষতিসাধন করলে তা হ্যাকিং হিসাবে গণ্য হবে।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৯
অধীতি বলেছেন: আইন তো কতই হয়। প্রয়োগটা হয় ব্যাক্তি বুঝে।