নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
রাজনীতিতে এসে নিজেকে নয় বরং রাজনীতিকেই অলঙ্কৃত করেছেন দেশে এমন রাজনীতিবিদের সংখ্যা এখন হাতেগোনা। মহান স্বাধীনতার তরে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে নিবেদিত হয়েই ক্ষান্ত না হয়ে বরং স্বাধীন দেশকে গড়ার জন্য নিজের তিলে তিলে গড়ে তোলা ক্যারিয়ার তথা বিচরণকে বিসর্জন দিয়ে নাম লিখেছেন জনতার কাতারে। এই ভূখণ্ডের এমনই একজন রাজনীতিবিদ শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
স্বাধীনতা পূর্বেই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্যার বিলেতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, স্যারের স্ত্রী বিলকিস আক্তার ম্যাডামেরও সুনির্দিষ্ট সম্মানজনক ক্যারিয়ার ছিলো ওখানে। সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে দেশে এসে স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা আর দেশপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেন এই ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞানীকে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামের সাথে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী এসব শুধু বলার জন্য বলা নয়। ওনাকে বুঝার জন্য বলে রাখা ভালো, তাঁর ভূ-তত্ত্ব বিষয়ে ষ্ট্রাকচারাল এ্যানালাইসিসে নতুন উদ্ভাবন `হুসেইন’স মেথড অব এক্সটেনশন' আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ভূ-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তার জীবন বৃত্তান্ত “হু ইজ দি ওয়ার্ল্ড” কেমব্রিজ বায়োগ্রাফী জার্নাল এবং আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনিষ্টিউশন প্রকাশিত পুস্তকে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে '৬৮ সালে এমএসসি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে '৭০ সালে এমএসসি, '৭৩ সালে ডিআইসি ডিপ্লোমা ও '৭৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। '৭৫ সালে বিলাত থেকে ফিরে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন এবং পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। '৮৭ থেকে '৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূ-তত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। '৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য তিনি ঢাবি'র শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করেন। এই আলোকিত রাজনীতিক ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি'র সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এ.জি.এস ও ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষার্বষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভি.পি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে তিনি '৭১- এ বিলাত প্রবাসীদের সংগঠিত করেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন।
রাজনীতিতে এসেও তিনি আলো ছড়ানো শুরু করেন। বারবার সাংসদ, একাধিক বার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলের প্রায় তিন দশক ধরে স্থায়ী কমিটিতে এবং বর্তমানে স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলছেন তিনি। তিনি কুমিল্লা -২ আসন থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। '৯১-৯৬ সময়ে বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী, '৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং ২০০১-০৬ সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। "প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ" পদ্ধতির উদ্ভাবক এর জন্য তিনি জাতীয় পুরষ্কার স্বর্নপদক লাভ করেন। তিনি ২০০৩ সালে ৫৬ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
৭৮ বছর বয়স্ক এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, শুধুমাত্র দেশকে ভালোবেসে জনগণের প্রেমে অন্ধ হয়ে নিজের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে নিবেদিত রেখেছেন নিজেকে।
দেশাত্মবোধকে ধারণ করে রাজনীতি করেন বলেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৭, ২০১২ ও ২০১৪ সালে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৫ বছর কারান্তরীণ ছিলেন। এখনো জেল-জুলুম সহ্য করে চলছেন, তাঁর সারাজীবনের কষ্টার্জিত সঞ্চয় অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি পারিবারিক সদস্যদের প্রতিষ্ঠান সমূহ অকার্যকর করে রাখা হয়েছে, প্রতিনিয়ত মানসিক এমন কোন কষ্ট নেই যা দেওয়া হচ্ছে না, এ বয়সেও সপ্তাহে ৩/৪ দিন কাটাতে হয় কোর্টের বারান্দায়। হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলার গ্লানি প্রভাবে ভর করেছে অসুস্থতাও। তবুও অদম্য তিনি, রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন দেশের তরে।
আমার মতো তরুণরা ক্লান্ত হয়ে গেলেও বিগত ১০ বছরে (আইন অঙ্গনের সুবাদে স্যারকে কাছ থেকে ১০ বছর যাবত দেখার সুযোগ হয়েছে) কোনদিন স্যারকে রাজনীতি নিরাশ হতে কিংবা কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা বলতেও দেখিনি। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনরা রাজনীতিতে আছেন বলেই মানুষ এখনো স্বপ্ন দেখে দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ে কলুষিত হওয়া রাজনৈতিক অঙ্গন সুস্থ ধারায় ফিরে আসবে। আজ স্যারের ৭৮তম জন্মদিন। বরেণ্য এই রাজনীতিক ১৯৪৬ সালের ১লা অক্টোবর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। জন্মদিনে শুভেচ্ছা রইল প্রিয় নেতা।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবের মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত আইনজীবী প্যানেলের সদস্য
০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: গেজেট টা কমেন্ট করা হয়েছে। দেখে নিন মহান জ্ঞানী।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
যাক ইচ্ছা তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কারখানাটা বন্ধ করে দেন।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন:
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
সোনাগাজী বলেছেন:
গেজেট আপনার মতো লোকেরা করেছে; উনি ১৯৭১ সালে লন্ডনে্ ছিলো, ওকে!
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: গেজেটটি ভালো করে পড়ে মন্তব্য করলে ভালো হতো। বকবক করলেই বিদ্বান হওয়া সাজে না!
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
জিয়া জীবিত থাকলে আপনার নামও গেজেটে উঠতো।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩১
ব্লগার আয়নাল ভাই ইতি বলেছেন: শুভ জন্মদিন
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি নিজে বিদ্বান মানুষ?
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি ব্লগে নিয়মিত আইন বিষয়ক লেখা পোস্ট দিয়ে থাকেন। সেই আইনী সহয়াতায় আপনার নাম সহ সেলফোন নাম্বারও দেয়া থাকে। সহজ মার্কেটিং। আপনি কখনো ব্লগের বিজ্ঞাপণ ব্যবহার করেননি। যাইহোক, ব্লগ কর্তৃপক্ষের তাতে সমস্যা নেই। আমারও কোনো সমস্যা নেই।
শুধু জানতে ইচ্ছে করে আপনি যেই আইনী সহয়তা সহ আইন বিষয়েক পোস্ট দিয়ে থাকেন সেই আইনী সহায়তা নিতে হলে ম্যাক্সিমাম কতো সময় লাগতে পারে। (মিনিমাম সময়ের প্রয়োজন নেই) আপনি আপনার জীবনে কয়টি মামলা নিশ্পত্তি করেছেন? বিচারের রায় করেছেন। বিচারে আপনার মক্কেল বাদী বিবাদী জয়ী হয়েছেন তার ফলাফল সম্ভব হলে জানাবেন। তবে জরুরী নয় জানাতেই হবে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: অনেকগুলো বিষয়ের অবতারণা করেছেন। যার পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে দেওয়া দুরূহ
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আদালতকে আপনারা রাজনীতির ক্ষেত বানিয়ে অনেক বড় ধরনের অন্যায় করেছেন। আপনারা যদি রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট হোন তাহলে কার পক্ষে লড়বেন? ন্যায় তো আর থাকে না। আপনার দল আগে না আপনার ন্যায় আগে? যদি ন্যায় আগে হতো, তাহলে আর রাজনীতি করতেন না।
আমার মন্তব্য পড়ে মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আজ আপনার বড় ভাই বা পিতা হলে আমার কথাগুলোই তিনি বলতেন।
দেশের জন্য, নিপীড়িত মানুষের জন্য, বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করুন। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিন। সারাদিন যেই সকল নিঃস্ব লোকজন কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচারের আশায় তাঁদের দিকে তাঁকাবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আমি যে কোন বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দল সেখানে মূখ্য নয়। আদালত কে আমরা নয় বরং রাজনৈতিক কারণে আদালত কতটুকু ব্যবহৃত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। রাজনৈতিক মামলার বিচার করতে করতেই বিজ্ঞ বিচারকরা কাহিল! যার প্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণ কোয়ালিটি পূর্ণ বিচারিক সেবা পাচ্ছে না এবং বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: উনি বয়স্ক মানুষ। উনার সার্টিফিকেট অন্য রকম ওয়ার কথা।৭১ পরে যারা জন্ম গ্রহন করেছে তাদের সার্টিফিকেট এর মতো।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সরকার ২০২১ সালে গেজেট টি দিয়েছে।
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৪০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি নিজে লিখেছেন যে, ১৯৭১ সালে তিনি লন্ডনে ছিলেন; আপনার মাথায় বিশাল সমস্যা আছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৯
এম টি উল্লাহ বলেছেন: তর্ক না করে দয়া করে গেজেটি পড়ুন। আপনার উত্তর গেজেটেই আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালে তিনি লন্ডনে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করে, মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হয়েছিলেন? উনাকে সার্টিফিকেট কি আপনি সই করে দিয়েছেন?